বিষয়বস্তুতে চলুন

বানৌজা দুর্জয় (২০১৩)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইতিহাস
বাংলাদেশ
নাম: বানৌজা দুর্জয়
নির্মাণাদেশ: ২০০৯
নির্মাতা: উচ্যাং শিপইয়ার্ড
অভিষেক: ২৬ অগাস্ট, ২০১২
অর্জন: ফেব্রুয়ারি, ২০১৩
কমিশন লাভ: ২৯ অগাস্ট, ২০১৩
মাতৃ বন্দর: চট্টগ্রাম
শনাক্তকরণ: পি৮১১
অবস্থা: সক্রিয়
সাধারণ বৈশিষ্ট্য
প্রকার ও শ্রেণী: দুর্জয়-শ্রেণীর টহল জাহাজ
ওজন: ৬৪৮ টন
দৈর্ঘ্য: ৬৪.২ মিটার (২১১ ফু)
প্রস্থ: ৯ মিটার (৩০ ফু)
গভীরতা: ৪ মিটার (১৩ ফু)
প্রচালনশক্তি:
  • ২ x এসইএমটি পিয়েলস্টিক ১৬পিএ৬ভি-২৮০এসটিসি ডিজেল ইঞ্জিন (গণচীন)
  • ২ x শ্যাফট
গতিবেগ: ২৮ নট (৫২ কিমি/ঘ; ৩২ মা/ঘ)
সীমা: ২,৫০০ নটিক্যাল মাইল (২,৯০০ মা; ৪,৬০০ কিমি)
সহনশীলতা: ১৫ দিন
লোকবল: ৬০ জন
সেন্সর এবং
কার্যপদ্ধতি:
  • এসআর৬০ ই/এফ ব্যান্ড সমুদ্রপৃষ্ঠ অনুসন্ধান র‍্যাডার
  • এমআর-১২৩-০২/৭৬ গোলাবর্ষণ নিয়ন্ত্রণ র‍্যাডার
  • টাইপ ৩৫২ আই ব্যান্ড সমুদ্রপৃষ্ঠ অনুসন্ধান ও গোলাবর্ষণ নিয়ন্ত্রণ র‍্যাডার
  • টাইপ ৩৪৭ আই ব্যান্ড গোলাবর্ষণ নিয়ন্ত্রণ র‍্যাডার
  • ইএসএস-৩ সোনার
রণসজ্জা:
  • ১ x এইচ/পিজে-২৬ ৭৬ মিমি কামান
  • ২ x ওয়েরলিকন ২০ মিমি কামান
  • ২ x ২ সি-৭০৪ জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র
  • ২ x ৬ ইডিএস-২৫এ ২৫০ মিমি ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী রকেট লঞ্চার
  • ডিকয়

বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ (সংক্ষেপেঃ বানৌজা) দুর্জয় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি দুর্জয়-শ্রেণীর টহল জাহাজ। জাহাজটি যুদ্ধকালীন সময়ে দেশের জলসীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষা, শত্রু জাহাজ ও সাবমেরিন বিধ্বংসী অভিযান এবং বাণিজ্যিক জাহাজের নিরাপত্তা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এছাড়াও, শান্তিকালীন সময়ে অবৈধ মৎস্য নিধন, জলদস্যুতা দমন, মানবপাচার ও চোরাচালান প্রতিরোধসহ সুনীল অর্থনীতির পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।[][]

বৈশিষ্ট্য ও যান্ত্রিক কাঠামো

[সম্পাদনা]

বানৌজা দুর্জয় জাহাজটির দৈর্ঘ্য ৬৪.২ মিটার (২১১ ফু), প্রস্থ ৯ মিটার (৩০ ফু), গভীরতায় ৪ মিটার (১৩ ফু) এবং ওজন ৬৪৮ টন। জাহাজটির গলুই স্ফীতাকার হওয়ার কারণে এটি উত্তাল সমুদ্রেও স্থিতিশীল থাকতে পারে। জাহাজটিতে চলাচলের জন্য ২টি শ্যাফট এবং ২টি এসইএমটি পিয়েলস্টিক ডিজেল ইঞ্জিন রয়েছে। জাহাজটির সর্বোচ্চ গতি ২৮ নট (৫২ কিমি/ঘ; ৩২ মা/ঘ) এবং সর্বোচ্চ পাল্লা ২,৫০০ নটিক্যাল মাইল (২,৯০০ মা; ৪,৬০০ কিমি)। জাহাজটি ৬০ জন সৈন্য নিয়ে একটানা ১৫ দিন সমুদ্রে থাকতে পারে। এই জাহাজটি স্বল্প মাত্রার ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী অভিযান ও চালাতে পারে।

অস্ত্রসজ্জা

[সম্পাদনা]

জাহাজটিতে রয়েছে ১টি এইচ/পিজে-২৬ ৭৬ মিমি কামান এবং ৪টি সি-৭০৪ জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র। বিমান বিধ্বংসী অস্ত্র হিসেবে রয়েছে ২টি ওয়েরলিকন ২০ মিমি কামান। এছারাও জাহাজটিতে রয়েছে ১২টি ইডিএস-২৫এ ২৫০ মিমি ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী রকেট লঞ্চার এবং ডিকয়।

ইলেক্ট্রনিক্স

[সম্পাদনা]

জাহাজের প্রধান র‍্যাডার হিসেবে আছে ১টি এসআর৬০ ই/এফ ব্যান্ড সমুদ্রপৃষ্ঠ অনুসন্ধান র‍্যাডার। ৭৬ মিমি কামানের গোলাবর্ষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য রয়েছে রাশিয়ার তৈরি ১টি এমআর-১২৩-০২/৭৬ র‍্যাডার। ২০ মিমি কামানের জন্য রয়েছে ২টি টাইপ ৩৪৭ আই ব্যান্ড গোলাবর্ষণ নিয়ন্ত্রণ র‍্যাডার। সি-৭০৪ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য রয়েছে টাইপ ৩৫২ আই ব্যান্ড র‍্যাডার। এই র‍্যাডার সমুদ্রপৃষ্ঠ অনুসন্ধানের কাজেও ব্যবহার করা যায়। জাহাজটিতে সম্মুখভাগে বসানো ১টি ইএসএস-৩ সোনার রয়েছে যার পাল্লা ৮,০০০ মিটার (২৬,০০০ ফু)। জাহাজটিতে আরো রয়েছে জেআরসিএসএস যুদ্ধ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]