বানৌজা নির্মূল
ইতিহাস | |
---|---|
বাংলাদেশ | |
নাম: | বানৌজা নির্মূল |
নির্মাণাদেশ: | ২০০৯ |
নির্মাতা: | উচ্যাং শিপইয়ার্ড |
অভিষেক: | ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১২ |
অর্জন: | ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ |
কমিশন লাভ: | ২৯ অগাস্ট, ২০১৩ |
মাতৃ বন্দর: | চট্টগ্রাম |
শনাক্তকরণ: | পি৮১৩ |
অবস্থা: | সক্রিয় |
সাধারণ বৈশিষ্ট্য | |
প্রকার ও শ্রেণী: | দুর্জয়-শ্রেণীর টহল জাহাজ |
ওজন: | ৬৪৮ টন |
দৈর্ঘ্য: | ৬৪.২ মিটার (২১১ ফু) |
প্রস্থ: | ৯ মিটার (৩০ ফু) |
গভীরতা: | ৪ মিটার (১৩ ফু) |
প্রচালনশক্তি: |
|
গতিবেগ: | ২৮ নট (৫২ কিমি/ঘ; ৩২ মা/ঘ) |
সীমা: | ২,৫০০ নটিক্যাল মাইল (২,৯০০ মা; ৪,৬০০ কিমি) |
সহনশীলতা: | ১৫ দিন |
লোকবল: | ৬০ জন |
সেন্সর এবং কার্যপদ্ধতি: |
|
রণসজ্জা: |
|
বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ (সংক্ষেপেঃ বানৌজা) নির্মূল বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি দুর্জয়-শ্রেণীর টহল জাহাজ। জাহাজটি যুদ্ধকালীন সময়ে দেশের জলসীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষা, শত্রু জাহাজ ও সাবমেরিন বিধ্বংসী অভিযান এবং বাণিজ্যিক জাহাজের নিরাপত্তা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এছাড়াও, শান্তিকালীন সময়ে অবৈধ মৎস্য নিধন, জলদস্যুতা দমন, মানবপাচার ও চোরাচালান প্রতিরোধসহ সুনীল অর্থনীতির পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।[১][২][৩][৪][৫][৬]
বৈশিষ্ট্য ও যান্ত্রিক কাঠামো[সম্পাদনা]
বানৌজা নির্মূল জাহাজটির দৈর্ঘ্য ৬৪.২ মিটার (২১১ ফু), প্রস্থ ৯ মিটার (৩০ ফু), গভীরতা ৪ মিটার (১৩ ফু) এবং ওজন ৬৪৮ টন। জাহাজটি গলুই স্ফীতাকার হওয়ার কারণে এটি উত্তাল সমুদ্রেও স্থিতিশীল থাকতে পারে। জাহাজটিতে চলাচলের জন্য দুইটি শ্যাফট যুক্ত দুইটি এসইএমটি পিয়েলস্টিক ডিজেল ইঞ্জিন রয়েছে। জাহাজটির সর্বোচ্চ গতিবেগ ২৮ নট (৫২ কিমি/ঘ; ৩২ মা/ঘ) এবং সর্বোচ্চ পাল্লা ২,৫০০ নটিক্যাল মাইল (২,৯০০ মা; ৪,৬০০ কিমি)। জাহাজটি ৬০ জন সৈন্য নিয়ে একটানা ১৫ দিন সমুদ্রে অভিযান পরিচালনা করতে সক্ষম। এই জাহাজটি স্বল্প মাত্রার ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী অভিযান ও চালাতে পারে।
অস্ত্রসজ্জা[সম্পাদনা]
এই জাহাজটিতে রয়েছে ১টি এইচ/পিজে-২৬ ৭৬ মিমি কামান এবং ৪টি সি-৭০৪ জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র । বিমান বিধ্বংসী অস্ত্র হিসেবে রয়েছে ২টি ওয়েরলিকন ২০ মিমি কামান। এছারাও জাহাজটিতে রয়েছে বারোটি ইডিএস-২৫এ ২৫০ মিমি ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী রকেট লঞ্চার এবং ডিকয়।
ইলেক্ট্রনিক্স[সম্পাদনা]
জাহাজের প্রধান র্যাডার হিসেবে আছে ১টি এসআর৬০ ই/এফ ব্যান্ড সমুদ্রপৃষ্ঠ অনুসন্ধান র্যাডার। ৭৬ মিমি কামানের গোলাবর্ষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য রয়েছে রাশিয়ার তৈরি ১টি এমআর-১২৩-০২/৭৬ র্যাডার। ২টি ২০ মিমি কামানের জন্য রয়েছে ২টি টাইপ ৩৪৭ আই ব্যান্ড গোলাবর্ষণ নিয়ন্ত্রণ র্যাডার। সি-৭০৪ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য রয়েছে টাইপ ৩৫২ আই ব্যান্ড র্যাডার। এই র্যাডার সমুদ্রপৃষ্ঠ অনুসন্ধানের কাজেও ব্যবহার করা যায়। জাহাজটিতে সম্মুখভাগে বসানো ১টি ইএসএস-৩ সোনার রয়েছে যার পাল্লা ৮,০০০ মিটার (২৬,০০০ ফু)। জাহাজটিতে আরো রয়েছে জেআরসিএসএস যুদ্ধ ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ০৭ (সাত) বছরের অগ্রগতির তথ্য প্রচারের ব্যবস্থাকরণ সম্পর্কিত" (পিডিএফ)। ২০১৬-০৪-০৭।
- ↑ "বানৌজা বঙ্গবন্ধুকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান, এমপিএ সংযোজন এবং বানৌজা দুর্জয়, নির্মূল ও সুরমার কমিশনিং অনুষ্ঠান" (পিডিএফ)। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুন ২০২২।
- ↑ "Full Video || বঙ্গোপসাগরে নৌবাহিনীর মিসাইল উৎক্ষেপণ মহড়া 16Jan.20| Bangladesh Navy Missiles"।
- ↑ "শান্তি রক্ষায় তৎপর বানৌজা নির্মূল"।
- ↑ "ভূ-মধ্যসাগরে শান্তিরক্ষার দায়িত্ব পালন শেষে দেশে ফিরেছে নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ 'আলী হায়দার' ও 'নির্মূল'"। আইএসপিআর। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-১১-২৮।
- ↑ "Corvette Fighter Ship - Bangladesh 🇧🇩"।