বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন
![]() | |
![]() | |
নামকরণ | বৌদ্ধ ধর্ম |
---|---|
গঠিত | ১৯৮১ (ঢাকা আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহার নির্মাণ কমিটি হিসেবে) ১৯৮৪ (বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন হিসেবে)[১] |
প্রতিষ্ঠাতা | এস.কে চৌধুরী বিশ্বপতি বড়ুয়া |
ধরন | ধর্মীয় সংগঠন |
সদরদপ্তর | আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহার, মেরুল বাড্ডা, ঢাকা |
যে অঞ্চলে | বাংলাদেশ |
পরিষেবা | বাংলাদেশী বৌদ্ধ ধর্মের মানুষদেরর ধর্মীয় সামাজিক-সাংস্কৃতিক সহ সার্বিক স্বার্থরক্ষা |
দাপ্তরিক ভাষা | বাংলা |
সভাপতি | দিব্যেন্দু বিকাশ চৌধুরী[২] |
পরবর্তী সভাপতি | নেত্রসেন বড়ুয়া[২] |
নির্বাহী সভাপতি | অশোক বড়ুয়া[৩] |
সাধারণ সম্পাদক | ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয়[৩] |
প্রধান প্রতিষ্ঠান | ঢাকা আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহার নির্মাণ কমিটি |
ওয়েবসাইট | bdbuddhistfederation |
বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন হচ্ছে বাংলাদেশে বসবাসকারী বৌদ্ধদের ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত একটি সংস্থা। সংস্থাটি প্রাথমিকভাবে ১৯৮১ সালে রাজধানী ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠালগ্নে এই সংস্থাটির নাম ছিল ‘ঢাকা আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহার নির্মাণ কমিটি’। তখন এই সংস্থাটির ২৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত কমিটির সভাপতি ছিলেন এস.কে চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বিশ্বপতি বড়ুয়া। পরবর্তীতে ১৯৮৪ সালে সংস্থাটির নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন রাখা হয়।[১] একই বছরের নভেম্বর মাসে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ বিভাগে সংস্থাটি নিবন্ধিত হয়েছিল। এর সদর দপ্তর ঢাকার মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে অবস্থিত।[৩]
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এই সংস্থাটি রাজধানী ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানের শীর্ষস্থানীয় পেশাজীবী ব্যক্তিদের কাছ থেকে সাহায্য সহযোগিতা পেয়ে আসছে।ধর্মীয় দিক ছাড়াও বাংলাদেশে বসবাসকারী বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষদের বিভিন্ন জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় কাজ নিরলসভাবে কাজ করে আসছে।
এই সংস্থাটি প্রচেষ্টায় এবং একক তত্ত্বাবধায়নে রাজধানী ঢাকার মেরুল বাড্ডায় ১৯৮১ সালে ঢাকা আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহার প্রতিষ্ঠিত হয়। এছাড়াও 'ন্যাশনাল বুদ্ধিস্ট ইয়ুথ ফেডারেশন' নামে সংস্থাটির একটি যুবসংগঠন রয়েছে।[১]
উদ্দেশ্য
[সম্পাদনা]এই সংস্থার মূল উদ্দেশ্য গুলো হলো:[১]
- বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে গৌতম বুদ্ধের অহিংসা, সাম্য, করুণা ও মৈত্রীর বাণী প্রচার করা।
- বাংলাদেশে বসবাসরত বৌদ্ধ ধর্মীয় মানুষদের সাংস্কৃতিক ও সামাজিক ঐতিহ্য রক্ষা করা।
- বাংলাদেশের বৌদ্ধদের মধ্যে তাদের ধর্ম প্রচার এবং ধর্ম শিক্ষা প্রদান করা।
- বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষদের বিভিন্ন জাতীয় এবং আর্থসামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
- বৌদ্ধদের মধ্যে শিশু নারী এবং বয়স্ক শিক্ষার প্রসার ঘটানো।
- কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পদ্ধতির স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তোলা।
- সার্বিকভাবে প্রথম সম্প্রদায়ের মানুষদের মধ্যে জনহিতকর কাজের প্রসার ঘটানো।
প্রকাশনা
[সম্পাদনা]এই সংস্থাটির সর্বপ্রথম স্মরণিকা নামে একটি বার্ষিক মুখপত্র প্রকাশ করে। পরবর্তীতে এর নাম পরিবর্তিত হয়ে যায়। বর্তমানে বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের মুখ্য বার্ষিক মুখপত্রের নাম দীপঙ্কর। শ্রীজ্ঞান অতীশ দীপঙ্করের নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়।[১]
শিক্ষাবৃত্তি প্রদান
[সম্পাদনা]এই সংস্থাটি প্রতিবছরই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করে থাকে। এই বৃত্তির নাম হচ্ছে নিরোধ-শান্তা শিক্ষাবৃত্তি। সংস্থাটির সদর দপ্তর মেরুল বাড্ডায় অবস্থিত আন্তর্জাতিক বৌদ্ধবিহারে প্রতিবছরই জাকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হাতে বৃত্তির চেক দেওয়া হয়ে থাকে। বর্তমানে এই বৃত্তি হিসেবে প্রত্যেককে আট হাজার টাকা করে দেয়া হয়। [৪]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ ঙ সুকোমল বড়ুয়া (২০১২)। "বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন"। ইসলাম, সিরাজুল; মিয়া, সাজাহান; খানম, মাহফুজা; আহমেদ, সাব্বীর। বাংলাপিডিয়া: বাংলাদেশের জাতীয় বিশ্বকোষ (২য় সংস্করণ)। ঢাকা, বাংলাদেশ: বাংলাপিডিয়া ট্রাস্ট, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। আইএসবিএন 9843205901। ওএল 30677644M। ওসিএলসি 883871743। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১৬।
- ↑ ক খ "বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের নির্বাচন সম্পন্ন"। www.channelionline.com। চ্যানেল আই। ২০ মার্চ ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১৬।
- ↑ ক খ গ "বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন"। www.bdbuddhistfederation.org (ইংরেজি ভাষায়)। বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন। ২০ মার্চ ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১৬।
- ↑ "নিরোধ-শান্তা শিক্ষাবৃত্তি পেলো ১০২ শিক্ষার্থী"। www.bdbuddhistfederation.org। বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন । ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ এপ্রিল ২০২০।