বাংলাদেশ গ্রন্থগার সমিতি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বাংলাদেশ গ্রন্থগার সমিতি
সংক্ষেপেএল এ বি
প্রতিষ্ঠাকালজুলাই ১৯৫৬; ৬৭ বছর আগে (1956-07)
ঢাকা
ধরনঅলাভজনক বেসরকারি সংস্থা
সদরদপ্তরল্যাব-ইলিস ভবন, ৯৯/২ শ্যামলী হাউজিং (২য় প্রকল্প), আদাবর, মোহাম্মদপুর
অবস্থান
এলাকাগত সেবা
বাংলাদেশ
দাপ্তরিক ভাষা
বাংলা, ইংরেজি
সভাপতি
ড. মো: মিজানুর রহমান
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট

বাংলাদেশ গ্রন্থাগার সমিতি (লাইব্রেরি এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) দেশের গ্রন্থাগার বিষয়ক শীর্ষ বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। এর আদি নাম ছিলো পাকিস্তান গ্রন্থাগার সমিতি (পাকিস্তান এসোসিয়েশন অব লাইব্রেরি), বাংলাদেশের স্বাধীনাতার পর গঠনতন্ত্র সংশোধনীর মাধ্যমে নামকরণ হয় বাংলাদেশ গ্রন্থগার সমিতি। এটি বাংলাদেশের গ্রন্থাগার ও গ্রন্থাগারিকদের জন্য একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান।[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

বাংলাদেশ গ্রন্থগার সমিতি ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসে পাকিস্তান গ্রন্থাগার সমিতি (পাকিস্তান এসোসিয়েশন অব লাইব্রেরি ) নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[২] এসোসিয়েশনের প্রথম আহ্বায়ক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোলের অধ্যাপক ড. নাফিস আহমেদ। ১৯৫৭ সালের ৩০ জুন পাকিস্তান লাইব্রেরি এসোসিয়েশনের গঠনতন্ত্র গৃহীত হয়। এসোসিয়েশনের প্রথম সাধারণ সভাটি ঢাকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তথ্য সংস্থা অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠানটি গ্রন্থাগার বিজ্ঞান বিষয়ে একটি সার্টিফিকেট কোর্স প্রবর্তন করে, যা ছিল পূর্ব পাকিস্তানে প্রথম। এর পর গ্রন্থাগার বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি চালু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকার বাইরে ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে রাজশাহীতে এ সার্টিফিকেট কোর্স চালু করা হয়। বর্তমানে দেশের বিভাগীয় শহরগুলিসহ বড় বড় জেলা শহরগুলিতেও সমিতির উদ্যোগে এ কোর্স পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়াও ঢাকায় স্থাপিত ইনস্টিটিউট অব লাইব্রেরি অ্যান্ড ইনফরমেশন সায়েন্স (আইএলআইএস) নামের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে গ্রন্থাগার বিজ্ঞানে ডিপ্লোমা কোর্সও পরিচালনা করে থাকে।[১]

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভের পর পাকিস্তান গ্রন্থাগার সমিতির নতুন নামকরণ হয় বাংলাদেশ গ্রন্থাগার সমিতি। ১৯৭৬ সালে এটি আন্তর্জাতিক ফেডারেশন অব লাইব্রেরি এসোসিয়েশনস এবং কমনওয়েলথ লাইব্রেরি এসোসিয়েশনের সদস্য হয়। ১৯৮৯ সালে এটি উপাত্ত নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করা শুরু করে। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে গ্রন্থাগার বিজ্ঞান বিষয়ক নানা সেমিনার-সিম্পোজিয়াম ও প্রশিক্ষণ কোর্স আয়োজনের পাশাপাশি দেশের গ্রন্থাগার ও গ্রন্থাগারিকদের নানা দাবি আদায়েও সংগঠনটি কাজ সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান (২০১২)। "বাংলাদেশ গ্রন্থাগার সমিতি"বাংলাপিডিয়া (২য় সংস্করণ)। ঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশআইএসবিএন 9843205901। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-০৫ 
  2. "Library Association Of Bangladesh (LAB)"বাংলাদেশ গ্রন্থাগার সমিতি (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৯-১১-০১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-০৫