ফেওয়া হ্রদ

স্থানাঙ্ক: ২৮°১২′৫১″ উত্তর ৮৩°৫৬′৫০″ পূর্ব / ২৮.২১৪১৭° উত্তর ৮৩.৯৪৭২২° পূর্ব / 28.21417; 83.94722
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ফেওয়া হ্রদ (फेवा ताल)
ফেওয়া হ্রদে অন্নপূর্ণা পর্বতের প্রতিফলন
ফেওয়া হ্রদ (फेवा ताल) নেপাল-এ অবস্থিত
ফেওয়া হ্রদ (फेवा ताल)
ফেওয়া হ্রদ (फेवा ताल)
নেপালে অবস্থান
অবস্থানকাস্কী
স্থানাঙ্ক২৮°১২′৫১″ উত্তর ৮৩°৫৬′৫০″ পূর্ব / ২৮.২১৪১৭° উত্তর ৮৩.৯৪৭২২° পূর্ব / 28.21417; 83.94722
হ্রদের ধরনস্বাদুপানির হ্রদ
প্রাথমিক অন্তর্প্রবাহহর্পন & ফিরকা নদী
অববাহিকা১২২.৫৩ কিমি (৪৭.৩১ মা)
অববাহিকার দেশসমূহনেপাল
সর্বাধিক দৈর্ঘ্য৪ কিমি (২.৫ মা)
সর্বাধিক প্রস্থ২ কিমি (১.২ মা)
পৃষ্ঠতল অঞ্চল৫.২৩ কিমি (২.০ মা)
গড় গভীরতা৮.৬ মি (২৮ ফু)
সর্বাধিক গভীরতা২৪ মি (৭৯ ফু)
পানির আয়তন০.০৪৬ কিমি (০.০১১ মা)
পৃষ্ঠতলীয় উচ্চতা৭৪২ মি (২,৪৩৪ ফু)
হিমায়িতDoes not freeze
দ্বীপপুঞ্জTal Barahi (तालबाराही)
জনবসতিPokhara, Sarangkot, Kaskikot, Dhikurpokhari

ফেওয়া হ্রদ নেপালের পোখরা উপত্যকায় অবস্থিত একটি স্বাদুপানির হ্রদ। সারাংকোট এবং কাসিকোট গ্রামের সন্নিকটে এই হ্রদের অবস্থান। প্রাকৃতিক ঝর্ণা এই হ্রদের পানির উৎস হলেও বাধের মাধ্যমে পানি ধরে রাখা হয়, তাই এটি পুরোপুরি প্রাকৃতিক হ্রদ নয়।[১] ফেওয়া হ্রদ নেপালের দ্বিতীয় বৃহত্তম হ্রদ। নেপালের গণ্ডকী অঞ্চলের বৃহত্তম হ্রদ এটি, বেগনাস হ্রদ এর চেয়ে কিছুটা আকারে ছোট।[২] সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭৪২ মিটার উচ্চতায় ফেওয়া হ্রদের অবস্থান। ফেওয়া হ্রদের আকার ৫.২৩ বর্গকিলোমিটার (২ বর্গমাইল)।[৩] এর গড় গভীরতা ৮.৬ মিটার (২৮ ফুট) এবং সর্বোচ্চ গভীরতা ২৪ মিটার (৭৯ ফুট)।[৪] ফেওয়া হ্রদের সর্বোচ্চ জলধারণ ক্ষমতা ৪৩,০০০,০০০ ঘনমিটার (৩৫,০০০ একর-ফুট)।[৫] অন্নপূর্ণা পর্বতশ্রেণী এই হ্রদের উত্তর প্রান্ত থেকে ২৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।[৬] মাছাপুছারে পর্বতের অপূর্ব প্রতিফলনের জন্য এই হ্রদ বিশেষ জনপ্রিয়।[৭] এই হ্রদের একটি দ্বীপে তাল বরাহী মন্দির রয়েছে।[৮]

অর্থনীতি[সম্পাদনা]

ফেওয়া হ্রদের মাঝখানের দ্বীপে অবস্থিত তাল বরহী মন্দির
ফেওয়া হ্রদে নৌকা-চালনা

ফেওয়া হ্রদ এবং সংশ্লিষ্ট এলাকা নেপালের পোখারা অঞ্চলের প্রধান পর্যটন আকর্ষণ। ফেওয়া হ্রদের উত্তর প্রান্ত পোখারার পর্যটন অঞ্চল হিসেবে গড়ে উঠেছে। এই এলাকা সাধারণভাবে লেক-সাইড নামে পরিচিত। এখানে পর্যটকদের জন্য হোটে, রেস্তোরা, বারসহ বিভিন্ন সুবিধাদি রয়েছে।[৯] ফেওয়া হ্রদের পানিপ্রবাহ দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়। ফেওয়া হ্রদের দক্ষিণ প্রান্ত থেকে ১.৫ কিলোমিটার দূরে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির অবস্থান।[১০] এই হ্রদের একটি অংশ বাণিজ্যিকভাবে মৎস্য উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।[১১]

পর্যটন আকর্ষণ[সম্পাদনা]

তাল বরহী মন্দির: ফেওয়া হ্রদের মাঝখানে একটি দ্বীপের উপরে অবস্থিত তাল বরহী মন্দির। এটি পোখারা অঞ্চলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থাপনা। দুইতলা বিশিষ্ট এই মন্দিরটি হিন্দু দেবতা বিষ্ণকে উৎসর্গ করে নির্মিত হয়েছে। সপ্তাহের শনিবারে মন্দিরটি সাধারণ লোকারণ্য হয়।
বাইদাম: ফেওয়া হ্রদের পূর্ব প্রান্ত বাইদাম নামে পরিচিত। এখানে সুপ্রচুর হোটেল, লজ, রেস্তোরা, বইয়ের দোকান ও স্যুভেনিরের দোকান অবস্থিত। এটি নেপালের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন আকর্ষণ। পোখারায় আগত পর্যটকরা সাধারণত এখান থেকেই তাদের গন্তব্য শুরু করে।[১২]

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Shrestha, P; Janauer, G. A. (২০০১)। "Management of Aquatic Macrophyte Resource: A Case of Phewa Lake, Nepal" (পিডিএফ)Environment and Agriculture: Biodiversity, Agriculture and Pollution in South Asia। Ecological Society (ECOS): 99–107। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০১৭ 
  2. Aryal, Vijay (২৮ অক্টোবর – ২ নভেম্বর ২০০৭)। "Phewa Lake Watershed Area: A Study on the Challenges to Human Encroachment" (পিডিএফ)Proceedings of Taal 2007: The 12th World Lake Conference, Jaipur, India। International Lake Environment Committee: 2292–2299। [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. Rai, Ash Kumar (২০০০)। "Evaluation of natural food for planktivorous fish in Lakes Phewa, Begnas, and Rupa in Pokhara Valley, Nepal" (পিডিএফ)Limnology1: 81–89। ডিওআই:10.1007/s102010070014 [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  4. Shrestha, Purushottam (২০০৩)। "Conservation and management of Phewa Lake ecosystem, Nepal" (পিডিএফ)। Aquatic Ecosystem Health and Management Society। পৃষ্ঠা 1–4। ৮ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০১৭ 
  5. Pokharel, Shailendra (২০০৩)। "Lessons from Nepal on Developing a Strategic Plan for the Integrated Lake Basin Management: Conservation of Phewa Lake of Pokhara, Nepal" (পিডিএফ)। International Lake Environment Committee: World Lake Database। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০১৭ 
  6. Gulia, K. S.। "Himalayan Treks in Nepal"। Discovering Himalaya: Tourism of Himalayan Region। Delhi, India: Isha Books। পৃষ্ঠা 63। আইএসবিএন 81-8205-410-9 
  7. Giri, Bikash; Chalise, Mukesh Kumar (২০০৮)। "Seasonal Diversity and Population Status of Waterbirds in Phewa Lake, Pokhara, Nepal"Journal of Wetlands Ecology1 (1/2): 3–7। ডিওআই:10.3126/jowe.v1i1.1568। ২৪ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০১৭ 
  8. Shrestha, Nanda R. (১৯৯৭)। "Pot Goes Pop on Kathmandu's Freak Street"। In the Name of Development: A Reflection on Nepal। Lanham, Maryland: University Press of America। পৃষ্ঠা 163আইএসবিএন 0-7618-0758-6 
  9. Gurung, Tek B.; Wagle, Suresh K.; Bista, Jay D.; Dhakal, Ram P.; Joshi, Purushottam L.; Batajoo, Rabindra; Adhikari, Pushpa; Rai, Ash K. (২০০৫)। "Participatory fisheries management for livelihood improvement of fishers in Phewa Lake, Pokhara, Nepal"Himalayan Journal of Sciences3 (5)। আইএসএসএন 1727-5210 
  10. Rai, Ash Kumar (২০০৮)। "Environmental Impact from River Damming for Hydroelectric Power Generation and Means of Mitigation" (পিডিএফ)Hydro Nepal. Journal of Water, Energy and Environment1 (2): 22–25। আইএসএসএন 1998-5452। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০১৭ 
  11. Pantha, M. B. (১৯–২১ অক্টোবর ১৯৯৪)। "Sustainable Development of Inland Fisheries Under Environmental Constraints in Nepal"। Regional Symposium on Sustainable Development of Inland Fisheries Under Environmental Constraints। Bangkok, Thailand: Indo-Pacific Fishery Commission, IPFC Working Party on Inland Fisheries। FAO Fisheries Report (FIRI/R512 Suppl.): 129–140। আইএসএসএন 0429-9337 
  12. SAARC TOURISM Nepal[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]