কমলা নদী
কমলা নদী | |
---|---|
স্থানীয় নাম | कमला नदी (নেপালি) |
অবস্থান | |
দেশ | নেপাল ও ভারত |
রাজ্য | বিহার |
প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য | |
উৎস | |
• অবস্থান | মাইথানের নিকটে, সিন্ধুলিগাধি, সিন্ধুলি জেলা, চুড়িয়া রেঞ্জ, নেপাল |
• স্থানাঙ্ক | ২৭°১৫′ উত্তর ৮৫°৫৭′ পূর্ব / ২৭.২৫০° উত্তর ৮৫.৯৫০° পূর্ব |
• উচ্চতা | ১,২০০ মিটার (৩,৯০০ ফুট) |
মোহনা | বাগমতী |
• অবস্থান | বাদলাঘাট, খাগরিয়া জেলা, ঝানঝাড়পুর (মধুবনী), বিহার, ভারত |
• স্থানাঙ্ক | ২৫°৩৩′৫৪″ উত্তর ৮৬°৩৫′০৬″ পূর্ব / ২৫.৫৬৫০০° উত্তর ৮৬.৫৮৫০০° পূর্ব |
দৈর্ঘ্য | ৩২৮ কিলোমিটার (২০৪ মাইল) |
কমলা নদী[১] হল নেপালের একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী। এই নদীটি চুরিয়া পর্বত শৈলশিরা থেকে উৎপন্ন হয়ে নেপাল এর তরাই অঞ্চলে প্রবাহিত হয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে। নদীটির পার্বত্য পথে বহু উপনদী রয়েছে। এছাড়া বহু পার্বত্য ঝরনা বা জলস্রোত এই নদীতে যুক্ত হয়েছে। নদীটি নিম্নপ্রবাহে বিহারে প্রায়শই বন্যা ঘটায়। এই বন্যা বিহারের জনজীবনের বিপর্যয় ঘটায়।
উৎস
[সম্পাদনা]কমলা নদী নেপালের মাইথন নামক স্থানে উৎপন্ন হয়। এই এলাকাটি সিন্ধুলিয়া গাধি এলাকার অন্তর্গত। নদীটি নেপালের চুরা পর্বত শৈলশিরার ১২০০ মিটার বা ৩৬০০ ফুটের বেশি উচ্চতা থেকে উৎপন্ন হয়েছে। এই এলাকাটি বছরের বেশির ভাগ সময় বরফ আচ্ছাদিত থাকে; এর কারণে নদীটির বছরের সব সময় জলের যোগানের অভাব হয় না। এই উৎস অঞ্চলটি নেপালের মধ্যাংশে অবস্থিত।
প্রবাহ
[সম্পাদনা]কমলা নদী নেপালের চুরিয়া শৈলশ্রেণী থেকে উৎপন্ন হয়ে প্রথমে পার্বত্য ভূমি দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এই সময় বহু পার্বত্য ঝরনা ও ছোট পার্বত্য নদী এই নদীতে যুক্ত হয়েছে। এর পর নদীটি নেপালের অন্তর্গত তরাই অঞ্চলে প্রবেশ করে। এই অঞ্চলের থেকেই নদীর সমভূমি প্রবাহ শুরু হয়। এই প্রবাহে নদীর গতি কিছুটা কমে শান্ত হয়। এর পর নদীটি নেপালের তরাই অঞ্চল অতিক্রম করে বিহার এর মধুবনী জেলা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। ভারতেরজয়নগর এর থেকে ৩.৫ কিলোমিটার বা ২.২ মাইল উজানে একটি ব্যারেজ তৈরি করা হয়েছে। এই ব্যারেজ নদীর ছল নিয়ন্ত্রণ করে। এর পর নদীটি প্রধানত দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয়ে বাগমতী নদীতে মিলিত হয়েছে।
মোহনা
[সম্পাদনা]কমলা নদীটি এর মোহনা হল বিহারের মাগমতী নদীতে। এই নদীটি বিহার এর খাগরায়া জেলায় বাগমতী নদীতে মিলিত হয়েছে।
নদীর অববাহিকা
[সম্পাদনা]কমলা নদীর মোট অববাহিকার আয়তন হল ৭২৩ বর্গ কিলোমিটার বা ২৭৯২ বর্গ মাইল। এই অববাহিকার মধ্যে ৪৪৮৮ বর্গ কিলোমিটার বা ১৭৩৩ বর্গ মাইল ভারতের বিহারের অন্তর্গত। বাকি ২৭৪৪ বর্গ কিলোমিটার বা ১০৫৯ বর্গ মাইল নেপালের অন্তর্গত। এই অবাহিকায় বছরে মোট ১২৬০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়। এই অববাহিকার মধ্যে বিহারের ২৭৪৪ বর্গ কিলোমিটার কৃষি জমি। কমলা নদীর মোট দৈর্ঘ্য ৩২৮ কিলোমিটার বা ২০৪ মাইল। এর মধ্যে নেপালে ২০৮ মাইল প্রবাহিত হয়েছে বাকি ১২০ কিলোমিটার ভারতে প্রবাহিত হয়েছে। এই নদীটির জলের দ্বারা এই অববাহিকা এলাকার কৃষিকাজ সম্পন্ন হয়। নদীটির অববাহিকায় বর্ষার সময় বন্যার সৃষ্টি হয়। এই বন্যায় কৃষিজমিতে নতুন পলি সঞ্চার হয়।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "River basin"। সংগ্রহের তারিখ ১৮ নভেম্বর ২০১৬।