ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী
অধ্যক্ষ মাওলানা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী | |
---|---|
সিলেট-৫ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১ অক্টোবর ২০০১ – ২৮ অক্টোবর ২০০৬ | |
পূর্বসূরী | হাফিজ আহমেদ মজুমদার |
উত্তরসূরী | হাফিজ আহমেদ মজুমদার |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ২৫ ডিসেম্বর ১৯৪৭ তালবাড়ি, কানাইঘাট, সিলেট, পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমানে- বাংলাদেশ) |
নাগরিকত্ব | পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | মুরারিচাঁদ কলেজ |
জীবিকা | রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী |
ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী (জন্ম: ২৫ ডিসেম্বর ১৯৪৭) বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী যিনি সিলেট-৫ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।[১][২][৩]
জন্ম ও প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]
ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী ২৫ ডিসেম্বর ১৯৪৭ সালে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার তালবাড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মাওলানা আবদুল হক চৌধুরী। সিলেট আলিয়া মাদরাসা থেকে ১৯৫৯ সালে দাখিল, ১৯৬৩ সালে আলিম, ১৯৬৫ সালে ফাজিল, ১৯৬৭ সালে কামিল পাস করেন। ১৯৭১ সালে সিলেট এমসি কলেজে বিএ পাস করেন এবং একই কলেজে বাংলা অনার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন।
কর্মজীবন[সম্পাদনা]
কর্মজীবনের শুরুতে তিনি সিলেট নগরীর মিরাবাজার শাহজালাল জামেয়া স্কুলের অধ্যক্ষ ছিলেন। তিনি সিলেট নগরীর পাঠানটুলা শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা, মেজরটিলার আল-আমীন জামেয়া উচ্চ বিদ্যালয় ও জালাালাবাদ ইন্টারন্যাশনাল আলিম মাদ্রাসা এবং সোবহানীঘাটস্থ জালালাবাদ কলেজ প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। কানাইঘাটের তালবাড়ী 'জামেয়া ইসলামিয়া ইউসুুুুফিয়া ফাজিল মাদ্রাসা' প্রতিষ্ঠা করেন। ব্যবসায়ী হিসেবেও তার ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। তিনি সিলেটের আল-হামরা ইন্টারন্যাশনাল শপিং সেন্টারের ভাইস চেয়ারম্যান[৪] ও আন-নূর প্রোপ্রাটিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান।[৫]
রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]
একাত্তরে ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী সিলেট এমসি কলেজে বিএ শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় ছাত্রসংঘের সভাপতি নির্বাচিত হন। বর্তমানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ১৯৮৬, ১৯৯১[১] ও ১৯৯৬[২] সালে জামায়াতের প্রার্থী হয়ে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন। ৯৬ সালের নির্বাচনে মাত্র কয়েক শত ভোটের ব্যবধানে তিনি পরাজিত হলেও ২০০১ সালের নির্বাচনে চারদলীয় জোটের প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থির নিকট পরাজিত হন। ২০১৪ ও ২০১৮[৬] সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন নাই।[৭][৮][৯]
সমালোচনা[সম্পাদনা]
২০০৮ সালে নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্যোগ নিলে আলোচনায় আসেন ফরিদ উদ্দিন চৌধুরীর। ২০১০ সালে ৪০ জন শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর তালিকা করে সরকার, যাতে ২৪ নম্বরে তাকে রাখা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অভিবাসন পুলিশকে একটি তালিকা দেওয়া হয়। সে তালিকায়ও তার নাম ছিল। এ ছাড়া বিভিন্ন দূতাবাসে তার নাম সহ ৪০ যুদ্ধাপরাধীর তালিকা পাঠায় সরকার। [১০]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ ক খ "মাওলানা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ ক খ "ফরিদ উদ্দীন চৌধুরী"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৫।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "৮ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ "হাফিজের আয় মামুনুরের ঋণ বেশি : সিলেট-৫"। www.bhorerkagoj.com। ২০১৯-০৬-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৫।
- ↑ "কানাইঘাটে আন-নূর টাওয়ারের যাত্রা শুরু"। Daily Nayadiganta। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৫।
- ↑ "জাপাকে আওয়ামী লীগের না জামায়াতে বিএনপির অনীহা"। কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৫।
- ↑ "সিলেটে জামায়াত প্রার্থী বাদ পড়ায় নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ"। দৈনিক নয়াদিগন্ত। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৫।
- ↑ "প্রার্থী নিয়ে দুই জোটেই ভজকট"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৫।
- ↑ "সিলেটে জামায়াতের দুই প্রার্থী : ছাড় দিতে নারাজ স্থানীয় বিএনপি"। Bhorer Kagoj। ২০১৮-১২-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৫।
- ↑ খবর, সিলেট-৫ (৪ ডিসেম্বর ২০১৮)। "'বদর কমান্ডার' ফরিদ ফের আলোচনায়"। দৈনিক সমকাল। ২৫ জুন ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।