প্রিয়া রাজবংশ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
প্রিয়া রাজবংশ
জন্ম
ভেরা সুন্দর সিং

৩০ ডিসেম্বর ১৯৩৬
মৃত্যু২৭ মার্চ ২০০০(2000-03-27) (বয়স ৬৩)
পেশাঅভিনেত্রী
কর্মজীবন১৯৬৪–৮৬
সঙ্গীচেতন আনন্দ

প্রিয়া রাজবংশ (৩০শে ডিসেম্বর ১৯৩৬ – ২৭শে মার্চ ২০০০; জন্মগতভাবে ভেরা সুন্দর সিং নামে পরিচিত) হলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, যিনি ১৯৭০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত হির রাঞ্ঝা এবং ১৯৭৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত হাসতে জখম-এর মতো হিন্দি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে অধিক পরিচিত লাভ করেছেন, যদিও তাঁর চলচ্চিত্র জীবনে তিনি মুষ্টিমেয় চলচ্চিত্রে করেছিলেন।

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

প্রিয়া রাজবংশ ১৯৩৬ সালের ৩০শে ডিসেম্বর তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের শিমলার বীর সুন্দর সিং নামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর বাবা সুন্দর সিং বন বিভাগের রক্ষক ছিলেন। তিনি তাঁর ভাই, কমলজিৎ সিং (গুলু) এবং পদমজিৎ সিংয়ের সাথে শিমলায় তাঁর শৈশব অতিবাহিত করেছেন। তিনি অকল্যান্ড হাউস এবং শিমলার কনভেন্ট অফ জিমস অ্যান্ড মেরি-এ পড়াশোনা করেছিলেন, যেখানে তিনি স্কুলের অধিনায়ক ছিলেন। তিনি ১৯৫৩ সালে সিমলার সেন্ট বেডে কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন এবং ভার্গব মিউনিসিপাল কলেজে (বিএমসি) যোগদান করেন, উক্ত সময়ে তিনি শিমলার খ্যাতিমান গেইটি মঞ্চে বেশ কয়েকটি ইংরেজি নাটকে অভিনয় করেছিলেন।

তাঁর বাবা জাতিসংঘের কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন, যার ফলে স্নাতক শেষে তিনি যুক্তরাজ্যের লন্ডনে মর্যাদাপূর্ণ রয়্যাল একাডেমি অফ ড্রামাটিক আর্টে (আরএডিএ) যোগদান করেছিলেন।[১][২][৩]

পেশা[সম্পাদনা]

লন্ডনে থাকাকালীন মাত্র ২২ বছর বয়সে, লন্ডনের একজন আলোকচিত্রীর তোলা প্রিয়া রাজবংশের একটি ছবি হিন্দি চলচ্চিত্র জগতে পাঠানো হয়েছিল। রাজপুত কোটা পরিবারের অন্তর্ভুক্ত ঠাকুর রণবীর সিং নামে ডাকা সেই সময়ের একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা তাঁর কথা জানতে পেরেছিলেন। ঠাকুর রণবীর সিং ইউল ব্রাইনার এবং উরসুলা অ্যান্ড্রেস অভিনীত জনপ্রিয় ব্রিটিশ এবং হলিউড চলচ্চিত্র লিখেছিলেন এবং তৈরি করেছিলেন এবং পিটার ও'টুল এবং রিচার্ড বার্টনের সাথে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। রণবীর সিং জনপ্রিয় অভিনেতা রণজিৎকে "জিন্দেগি কি রাহে" (জীবনের রাস্তা) নামে একটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রথম প্রস্তাব করেছিলেন।[৪]

পরবর্তীকালে ১৯৬২ সালে, রণবীর সিং চেতন আনন্দ (দেব আনন্দ এবং বিজয় আনন্দের ভাই)-এর সাথে দেখা করেন এবং তাঁরা প্রিয়া রাজবংশকে তাঁদের চলচ্চিত্র, হকিকত-এ অভিনয় করার জন্য নির্বাচন করেন। এই চলচ্চিত্রটি বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল এবং প্রায়শই এটিকে সেরা ভারতীয় যুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম হিসেবে গণ্য করা হয়। শীঘ্রই তিনি তাঁর পরামর্শদাতা, চেতন আনন্দের (যিনি তাঁর স্ত্রী থেকে সবে বিচ্ছিন্ন হয়েছিলেন) সাথে একটি সম্পর্কে জড়িয়ে যান। প্রিয়া চেতনের চেয়ে অনেক ছোট ছিলেন। এরপরে, তিনি কেবল চেতন আনন্দের চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন, যেখানে তিনি গল্প থেকে শুরু করে চিত্রনাট্য, গানের কথা এবং প্রযোজনার পরবর্তী কার্যক্রম, প্রতিটি দিকের সাথেই জড়িত থাকতেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Feeding on Priya's memories, Gullu lives on... The Tribune, 3 August 2002.
  2. Priya Rajvansh, the adored Shimlaite The Tribune, Chandigarh, 21 April 2000.
  3. Glamour girls from Himachal Pradesh The Tribune, 16 March 2007.
  4. S, Irfan (২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮)। "Guftagoo with Ranjeet : An Interview"। Rajya Sabha TV। 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]