প্রাগপুর স্থলবন্দর
প্রাগপুর স্থলবন্দর কুষ্টিয়া জেলার একটি প্রস্তাবিত স্থলবন্দর।[১][২] এটি কুষ্টিয়া জেলার প্রথম স্থলবন্দর।[৩][৪]
প্রাগপুর স্থলবন্দর | |
---|---|
অবস্থান | |
দেশ | বাংলাদেশ |
অবস্থান | প্রাগপুর, দৌলতপুর উপজেলা, কুষ্টিয়া |
স্থানাঙ্ক | ২৪°০০′১২″ উত্তর ৮৮°৪৫′৪৯″ পূর্ব / ২৪.০০৩২২৮২° উত্তর ৮৮.৭৬৩৬২০৭° পূর্ব |
বিস্তারিত | |
পোতাশ্রয়ের ধরন | সরকারি স্থলবন্দর |
স্থাপনের জন্য ঘোষণা দেওয়া হয় | ২০১১ |
অবস্থান[সম্পাদনা]
কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলা সদর থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে প্রাগপুর সীমান্ত এলাকা। প্রাগপুরের ভারতীয় সীমান্ত অংশের নাম শিকারপুর, যা পশ্চিমবঙ্গের কাসিমপুর থানার অন্তর্ভুক্ত। প্রাগপুর এলাকা থেকে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার দূরত্ব মাত্র ১২০ কিলোমিটার। আর প্রাগপুর থেকে ঢাকার দূরত্ব ২৫০ কিলোমিটার।[৫] প্রাগপুর পয়েন্ট দিয়ে ঢাকা থেকে সড়কপথে কলকাতার মোট দূরত্ব ৩৫০ কিলোমিটার।[২]
প্রাগপুর থেকে লালন শাহ সেতু হয়ে বাংলাদেশের জাতীয় মহাসড়ক এন৭০৪-এর দুরত্ব মাত্র ২০ কিলোমিটার। ওপারে পশ্চিমবঙ্গের শিকারপুরে ভারতের জাতীয় মহাসড়ক রয়েছে।[৩]
ইতিহাস[সম্পাদনা]
২০১১ সালে তৎকালীন বাংঅলাদেশ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শাজাহান খান কুষ্টিয়া জেলায় সফরে এসে প্রাগপুর সীমান্তে প্রাগপুর স্থণলবন্দর স্থাপনের ঘোষণা দেন। এরপর প্রাগপুর সীমান্তে সরেজমিনে স্থলবন্দরের সম্ভাব্যতা যাচাই করে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দল।[৩] কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগ ২০১১ সালে দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া ত্রি-মোহিনীতে একটি দিক নির্দেশনামূলক বোর্ড স্থাপন করেন।[৫] বাংলাদেশ সরকার ২০১২ সালে প্রাগপুর স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠার জন্য উদ্যোগ নেয়।[২]
২০২৩ সালের ১৮ই মে ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার (রাজশাহী) মনোজ কুমার প্রাগপুর স্থলবন্দরের জন্য নির্ধারিত স্থান দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা পরিদর্শন করেন।[৬]
গুরুত্ব[সম্পাদনা]
প্রাগপুর থেকে দেশের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো।[২] ২০১২ সালে ০৬টি স্থলবন্দর প্রতিষ্ঠার ঘোষনা দেওয়া হয়, এর মধ্যে প্রাগপুর স্থলবন্দরের গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি।[৩]
কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্যদের বক্তব্য-
“ | প্রাগপুর স্থলবন্দরটি চালু হলে এখানকার নদী ভাঙন কবলিত হাজারও মানুষের কাজের সুযোগ সৃষ্টিসহ ব্যবসা-বাণিজ্যের অবারিত দ্বার উন্মেচিত হবে | ” |
— আফাজউদ্দিন আহমেদ, [৫] |
“ | প্রাগপুর সীমান্তে স্থলবন্দর হলে দৌলতপুরসহ কুষ্টিয়ায় উন্নয়ন হবে। এ বন্দর দিয়ে মালামাল পরিবহনের ক্ষেত্রে ঢাকার দূরত্ব অনেকাংশে কমে যাবে। তাই এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি এই বন্দর। | ” |
— রেজাউল হক চৌধুরী, [৫] |
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা"। বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন-বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ। ২০২৪-০৪-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-২৪।
- ↑ ক খ গ ঘ এস এম আব্বাস, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট (২০১২-০৮-২১)। "স্থাপিত হতে যাচ্ছে আরো ০৬টি স্থলবন্দর"। বাংলা নিউজ ২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-২৪।
- ↑ ক খ গ ঘ কুষ্টিয়া (২০২৩-০৭-১৯)। "এক যুগ ধরেই শুধু তৎপরতা, বাস্তবায়নে নেই অগ্রগতি"। জাগো নিউজ ২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-২৪।
- ↑ কুষ্টিয়া, প্রতিনিধি (২০২২-১১-১৫)। "পুরোদমে চলছে ১২ স্থলবন্দর, ঢেলে সাজানো হচ্ছে আরও ১২টি"। জাগো নিউজ ২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-২৪।
- ↑ ক খ গ ঘ কুদরতে খোদা সবুজ, কুষ্টিয়া প্রতিনিধি (২০১৬-০৮-২৭)। "প্রাগপুরে ৫ বছরেও শুরু হয়নি স্থলবন্দর নির্মাণ কাজ"। বাংলা ট্রিবিউন। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-২৪।
- ↑ দৌলতপুর (কুষ্টিয়া), প্রতিনিধি (২০২৩-০৫-১৯)। "দৌলতপুরে প্রস্তাবিত স্থলবন্দরের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার"। মানবজমিন। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৪-২৪।