পিরামালাই কাল্লার

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

পিরামালাই কাল্লার হল কাল্লারদের একটি উপজাতি এবং সেই হিসেবে তারা মুক্কুলাথর সম্প্রদায়ের একটি অংশ যেটি আবার মারাভার এবং আগমুদয়ার জাতিগুলিকেও অন্তর্ভুক্ত করে। তারা তামিলনাড়ুর সর্বাধিক অনগ্রসর শ্রেণী / ডিনোটিফাইড শ্রেণীর অন্তর্গত।[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৬৪৫, ১৬৫২, ১৬৫৫ এবং ১৬৫৬ তারিখের তাম্র ফলকের শিলালিপিগুলি পিরামালাই কাল্লার সম্পর্কে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করেছে। এই অনুসারে, থিরুমলাই নায়কের আমলে, সম্প্রদায়ের সদস্যদের গ্রামের রক্ষক ("কাভালকার") হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছিল। কোন গ্রামের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দায়ী পিরামালাই কাল্লার গোষ্ঠীকে সেই গ্রামে যে কোনও চুরির জন্য ক্ষতিপূরণ দিতে হত।[২]

পিরামালাই কাল্লারদের স্থানীয় সর্দারেরা, যেমন তিরুমাল পিন্না থেভার, পঞ্চায়েত সংগঠিত করে বিচারকের দায়িত্ব পালন করতেন। এটি ১৬৫৫ সালের শিলালিপিতে বর্ণিত হয়েছে।[২][৩]

তাদের বিচার বিভাগ ও শাসন-প্রণালীর আলাদা আলাদা ব্যবস্থা ছিল। তারা ব্রিটিশ শাসনে যোগ দিতে অস্বীকার করে। ১৭৬৭ সালে, মেলুরের কাছে প্রায় ৫০০০ কাল্লারকে ব্রিটিশ বাহিনী একদিনে হত্যা করেছিল কারণ তারা কর দিতে অস্বীকার করেছিল।[৪]

ব্রিটিশ শাসনের সূচনা এবং নায়ক রাজবংশের পতনের সাথে, পিরামালাই কাল্লাররা প্রহরী হিসাবে তাদের কাজ হারাতে শুরু করে। তারা ১৮০০ - ১৮০১ সালের দক্ষিণ ভারতীয় বিদ্রোহে অংশগ্রহণ করেছিল, যার ফলে মাদুরাই এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলি ব্রিটিশ শাসনের অধীনে আসে। বিদ্রোহী কাল্লাররা কর দিতে অস্বীকৃতি জানালে ব্রিটিশরা কাভালকার প্রথা বাতিল করে।[৫][৬] 

পিরামালাই কাল্লাররা দরিদ্র হতে শুরু করে এবং জমি চাষের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে, সেইসঙ্গে তারা ব্রিটিশদের প্রতি বিরোধিতা অব্যাহত রেখেছিল।[৭] তারা অপরাধী উপজাতি আইনের (সিটিএ) অধীনে একটি অপরাধী উপজাতি হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ হয়েছে।[৮] [ক]

১৯২০ সালের ৩রা এপ্রিল তারিখে পেরুঙ্গামানল্লুর গ্রামে পিরামালাই কাল্লারদের একটি দল সিটিএ এর প্রতিবাদে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। গ্রামের একটি স্মৃতিস্তম্ভে ১৬ জন বাসিন্দার নাম রয়েছে যারা ঘটনার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গিয়েছিল।[১০] সিটিএ আইনটি, যা মূলত ১৮৭১ সালে প্রবর্তিত হয়েছিল এবং তারপর ১৯১১ সালে সংশোধিত হয়েছিল, সেটি ১৯৪৮ সালে বাতিল করা হয়।[১১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

টীকা

  1. Although the Criminal Tribes Act was introduced in 1871, its provisions were not generally applied in South India until the amended Act of 1911.[৯]

উদ্ধৃতি

  1. http://www.bcmbcmw.tn.gov.in/bclist.htm
  2. Louis Dumont; A. Stern (১৯৮৬)। A South Indian subcaste: social organization and religion of the Pramalai Kallar। Oxford University Press। আইএসবিএন 978-0-19-561785-6। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০১২ 
  3. "Copper plate dating back to 1655 CE found"The Hindu। ২০১৪-০৪-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১০-০৭ 
  4. "Taking the road less travelled"The Hindu। ২০১৩-১০-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১০-০৭ 
  5. K. Gowri, Madurai under the English East India Company (1801 – 1857),Raj Publishers, Madurai, 1987, p.9.
  6. "KAVALKARAR"। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ 
  7. David Arnold ‘Dacoity and Rural Crime in Madras’, The Journal of Peasant Studies, Vol.6, No.2, January 1979, p.158
  8. "The grim story behind a small settlement"The Hindu। ২০১৩-০৪-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১০-০৭ 
  9. Joseph, George Gheverghese (২০০৩)। George Joseph, the Life and Times of a Kerala Christian Nationalist। Orient Blackswan। পৃষ্ঠা 70। আইএসবিএন 978-8-12502-495-8 
  10. "Namma Madurai - Massacre in a village"The Hindu। ২০১১-০৮-০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১০-০৭ 
  11. "Colonial Act still haunts denotified tribes: expert"The Hindu। ২০০৮-০৩-২৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-১০-০৭ 

আরও পড়ুন[সম্পাদনা]