পান্ডা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

পান্ডা
পান্ডা, ওশান পার্ক, হংকং
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: স্তন‍্যপায়ী
বর্গ: তৃণভোজী
পরিবার: Ursidae
গণ: Ailuropoda
প্রজাতি: A. melanoleuca
দ্বিপদী নাম
Ailuropoda melanoleuca
David, 1869[৩]
উপপ্রজাতি
বৃহৎ পান্ডার বিস্তৃতি

পান্ডা (Ailuropoda melanoleuca, অর্থ "সাদাকালো বিড়ালপদী"),[৪] বা বৃহৎ পান্ডা ভালুকের মতো দেখতে সাদাকালো রঙের বড়সড় এক প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী[৫] এরা দক্ষিণ-পশ্চিম ও পশ্চিম-মধ্য চীনের পাহাড়ি ঢালের ঘন বাঁশবনে বাস করে।[৬] শ্বাপদকূলের অন্তর্গত হলেও এর খাবারের ৯৯% জুড়ে রয়েছে বাঁশ পাতা।[৭] লাল পান্ডা নামে আরেক প্রজাতির পান্ডা রয়েছে কিন্তু নাম ছাড়া এদের মধ্যে মিল বেশ কম।[৫]

পান্ডার বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ[সম্পাদনা]

বাঁশের কঞ্চি ধরার জন্য জায়ান্ট পান্ডার পাঁচটি সাধারণ আঙুল ছাড়াও হাতের তালু ও কব্জির সংযোগস্থলে একটি বুড়ো-আঙুলের (বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠের) মত অংশ দেখা যায়। এটি আঙুল নয়, বর্ধিত রেডিয়াল সিসাময়েড অস্থি মাত্র। বৃহৎ পান্ডার নিকট আত্মীয় লাল পান্ডা ও ভালুকেরও এ অঙ্গটি খানিকটা বড়, তবে এতটা না। এরা যে শ্বাপদ এবং বাঁশ পাতা খাওয়ার জন্য পুরোপুরি বিবর্তিত নয় তার অন্যতম প্রমাণ এদের খাদ্যনালীতৃণভোজী প্রাণীদের খাদ্যনালী লম্বা হয় এবং পাকস্থলীর আগে অথবা বৃহদান্ত্রের সিকাম বা কোলনে আঁশ(fibre) গেঁজিয়ে পাচন সম্পূর্ণ করার ব্যবস্থা থাকে। পান্ডার এর কোনটাই নেই। আছে শুধু অন্যান্য শ্বাপদদের মত কেবল ছোট (নাতিদীর্ঘ) ক্ষুদ্রান্ত্র। তাই এদের খুব বেশি পরিমাণ (বাঁশ পাতা) খেতে হয়। এ কারণে এরা গাছ ছেড়ে মাটিতে কাটানোর সময় খুব কম পায়।

একটা পূর্ণবয়স্ক পান্ডা প্রায় ৩৮ কেজি বাঁশপাতা খেয়ে থাকে প্রতিদিন। 6 তবে গ্লোবাল ওয়ার্মিং তাদের জীবনপথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Ailuropoda melanoleuca"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৪-১০ 
  2. "Species Profile"। ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০২০ 
  3. David, Armand (১৮৬৯)। "Voyage en Chine"Bulletin des Nouvelles Archives du Muséum5: 13। Ursus melanoleucus 
  4. Scheff, Duncan (২০০২)। Giant Pandas। Animals of the rain forest (illustrated সংস্করণ)। Heinemann-Raintree Library। পৃষ্ঠা 7। আইএসবিএন 0-7398-5529-8 
  5. Lindburg, Donald G.; Baragona, Karen (২০০৪)। Giant Pandas: Biology and Conservation। University of California Press। আইএসবিএন 0-520-23867-2 
  6. "Global Species Programme – Giant panda"। World Wildlife Fund। ১৪ নভেম্বর ২০০৭। ৪ জুলাই ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ জুলাই ২০০৮ 
  7. Quote: "Bamboo forms 99 percent of a panda's diet", "more than 99 percent of their diet is bamboo": p. 63 of Lumpkin ও Seidensticker 2007 (as seen in the 2002 edition).