পলিউড

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পলিউড
পেশাওয়ার চলচ্চিত্র শিল্প
পশতু সিনেমা
পশতু ভাষার চলচ্চিত্র বিক্রি করার দোকান

পশতু সিনেমা (পশতু: د پښتو سينما), যা সাধারণভাবে পলিউড (পশতু: پالېوډ) নামে পরিচিত, মূলত পশতু ভাষায় নির্মিত চলচ্চিত্র শিল্পকে নির্দেশ করে। পশতু সিনেমা বা পলিউড মূলত পেশোয়ার, খাইবার পাখতুনখাওয়াসহ পাকিস্তানের অন্য রাজ্যগুলোতে এটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।[১]

উৎপত্তি[সম্পাদনা]

ইউসুফ খান শের বানো ছিল পাকিস্তানে পশতু ভাষায় নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র, যা ১৯৭০ সালের ১ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়।[২] আজিজ তাবাসসুম ছিলেন এটির পরিচালক। এ চলচ্চিত্রে তারকা হিসেবে ইয়াসমিন খান ও বদর মুনির অভিষিক্ত হন। গল্পটি পশতু লোককাহিনী ইউসুফ খান এবং শের বানোর উপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে এবং টানা ৫০ সপ্তাহ এটি পেশোয়ারের প্রথম অবস্থান ধরে রেখেছিল।

আফগানিস্তানে চলচ্চিত্র মুক্তি[সম্পাদনা]

২০০১ সাল থেকে আফগানিস্তানে পশতু চলচ্চিত্রগুলি মুক্তি পেতে শুরু করে। মুক্তি পাওয়ার পর থেকে আফগানিস্তানে পলিউড ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে।

রেনেসাঁ[সম্পাদনা]

২০১৫ সালে, সানোবের কায়সার নির্মিত চলচ্চিত্র সারতেজ বদমাশ কাবুলের দুটি সিনেমা হলে এবংপাখতুন পে দুবাই দুবাইয়ের পাশাপাশি কাবুলে মুক্তি পেয়েছিল।[৩] ২০১৩ সালে প্রথম উচ্চ ডেফিনেশনের (এইচ ডি) পশতু ছবি জামা আরমান মুক্তি পেয়েছিল। এর ৩৫ বছর পরে, ২০১৫ সালে পশতু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি সাতটি নতুন সিনেমা প্রকাশ করেছিল। আর এভাবেই এটি ফিল্ম প্রযোজনার পূর্ববর্তী সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দেয়। সবগুলো ছবি পেশোয়ার, মিংগোড়া, মর্দান, কোহাত এবং এমনকি করাচী শহরের কয়েকটি প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হয়েছিল। মা ছেরা গারিব সারা সর-তেজা বদমাশ, দাগ, মইন খো লেওয়ানি ভি, খানদানি বদমাশ, পাখতুন পা দুবাই কে এবং আই লাভ ইউ টু চলচ্চিত্রগুলিও মুক্তি পেয়েছিল।[৪] এর মধ্যে পেশোয়ারের শামা নামক চলচ্চিত্রটি বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল।[৫] শুধু তাই-ই নয় রেহাম খান নির্মিত চলচ্চিত্র জানান এর চিত্রনাট্যের জন্য বিভিন্ন পুরস্কার জিতেছে।[৬]

চলচ্চিত্রসমূহ[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Bombs, boredom threaten Pakistan's "Pashto" song-and-dance cinema"Dawn। সংগ্রহের তারিখ ২ জুন ২০১৩ 
  2. "Pakistan Film History"Pakistan Film Magazine। mazhar.dk। এপ্রিল ২১, ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৫-২৯This inaugural Pashto film completed more than 50 weeks in one cinema of Peshawar 
  3. Lodhi, Adnan (২০১৫-০৭-২১)। "Pakistani Pashto film makes a mark in Kabul"The Express Tribune। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৭-৩১ 
  4. "Release of seven new Pashto films this Eid"The Express Tribune। ২০১৫-০৭-১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৭-৩১ 
  5. Today, Pakistan (২০১৫-০৭-১০)। "Cinema targeted by militants reopens after a year"Pakistan Today। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৭-৩১ 
  6. Desk, Entertainment (২০১৫-০৭-২৩)। "Cinema's new darling: Armeena Khan says Bin Roye is a giant leap for Pakistan"DAWN.COM। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৭-৩১ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]