বিষয়বস্তুতে চলুন

নৌকাডুবি (২০১১-এর চলচ্চিত্র)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নৌকাডুবি
পরিচালকঋতুপর্ণ ঘোষ
প্রযোজকসুভাষ ঘাই
চিত্রনাট্যকারঋতুপর্ণ ঘোষ
উৎসরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক 
নৌকাডুবি
শ্রেষ্ঠাংশেপ্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়
যীশু সেনগুপ্ত
রাইমা সেন
রিয়া সেন
সুরকাররাজা নারায়ণ দেব
চিত্রগ্রাহকসৌমিক হালদার
সম্পাদকঅর্ঘ্যকমল মিত্র
পরিবেশকমুক্তা সার্চলাইট ফিল্মস
মুক্তি
  • জানুয়ারি ২০১১ (2011-01)
স্থিতিকাল১২৬ মিনিট
দেশভারত
ভাষাবাংলা

নৌকাডুবি ঋতুপর্ণ ঘোষ পরিচালিত বাংলা চলচ্চিত্র, যা জানুয়ারি ২০১১-তে মুক্তি পায়।[] চলচ্চিত্রটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর-এর একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি করা হয়েছে। এটি একটি সামাজিক এবং গভীর আবেগপ্রবণ একটি চলচ্চিত্র।

অভিনয়ে

[সম্পাদনা]

কাহিনী সংক্ষেপ

[সম্পাদনা]

বাবার আদরের কন্যা হেমনলিনী। সবাই ভালোবেসে ডাকে হেম। রূপে-গুণে অতুলনীয় সুশিক্ষিত এ তরুণীর হৃদয়ে স্থান করে নেয় হেমের বড় ভাই যোগেন্দ্রর বন্ধু তরুণ আইনজীবী রমেশ। কিছুদিন পর হেমের জন্মদিন। রমেশ চিঠিতে জানায়, সেদিনই সে হেমের বাবার কাছে তাদের বিয়ের প্রস্তাব দেবে। এদিকে হেমের বাবা, মেয়ের হৃদয়ের কথা আগেই টের পেয়েছেন। এবং এ নিয়ে তার কোন আপত্তিও নেই।

আজ হেমের জন্মদিন। অপূর্ব লাগছে তাকে। সে অপেক্ষা করছে রমেশের। হেমের বাবা, দাদা যোগেন্দ্র সবাই রমেশের প্রতীক্ষায়। সারারাত কেটে গেল কিন্তু রমেশের দেখা নেই! মুখে কিছু না বললেও হেমের মনের অবস্থা বুঝতে কারো বাকি রইল না। অবশ্য তার এই অভিমান বেশিক্ষণ থাকে না। সে জানতে পারে, বাড়ি থেকে জরুরি চিঠি পেয়ে রমেশ বাড়ি গিয়েছে। চিঠি পাঠিয়েছে রমেশের বাবা।

বাড়ি ফিরে রমেশ জানতে পারে তার বাবা মৃত বন্ধুর মেয়ে সুশীলার সাথে রমেশের বিয়ে ঠিক করেছে। সে বাবাকে হেমের কথা বলে এবং বিয়েতে ঘোর আপত্তি জানায়। রমেশের বাবা তার কোন কথাই শোনে না। তাই সে বাড়ি ছেড়ে কলকাতা চলে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। বাবা তাকে ত্যাজ্য করবে শুনেও সে পিছপা হলো না। কিন্তু বাইরে দাড়ানো অসহায় বিধবা মহিলা (যার মেয়ের সঙ্গে রমেশের বিয়ে ঠিক হয়েছে) তাকে জানায় বিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। এই অবস্থায় বিয়ে না হলে তাদের মা-মেয়েকে বিষ খেয়ে মরতে হবে। তবুও তিনি চান না তাদের পিতা- পুত্রের সম্পর্ক নষ্ট হোক।

তার কথা শুনে রমেশ আর ফিরতে পারলো না। আবার কথাটা হেমকে জানানোর মতো সাহসও তার হয়ে উঠলো না।

নির্ধারিত দিনে বিয়ে সম্পন্ন হলো। বরযাত্রী নৌকা দিয়ে ফিরছে। এমন সময় হঠাৎ প্রচন্ড শুরু হলো ঝড়। ঝড়ে ডুবে গেল নৌকা। দেখা যায় রমেশ এবং তার স্ত্রী সুশীলা ছাড়া কেউ বেঁচে নেই।

সময়ের সাথে সাথে রমেশ সুশীলার মধ্যে অনেক অসামঞ্জস্যতা দেখতে পেল। সুশীলার ভাষ্যমতে তার স্বামী ডাক্তার। কিন্তু রমেশ একজন উকিল। তাছাড়া সে জানায় তার নাম কমলা। রমেশ কৌশলে জানতে পারে সে মামার কাছে মানুষ হয়েছে, তার বাবা মা মৃত। এবং তার স্বামী কাশি শহরের চিকিৎসক নলিনাক্ষ। রমেশ বুঝে যায় যে মেয়েটির সাথে সে সংসার করছে সে তার স্ত্রী সুশীলা নয়।

বেশ কিছুদিন পর হেমের সঙ্গে রমেশের আবার যোগাযোগ হয়। কিন্তু রমেশ হেমকে কিছু জানাতে পারে না। একসময় রমেশ হেমকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। সেইসাথে এটাও জানায় তার হেমকে কিছু জানানোর আছে। কিন্তু সেটা এখন নয়। তাদের বিয়ের তোড়জোড় শুরু হয়। সব আয়োজন যখন প্রায় শেষের দিকে তখন হেম জেনে যায় রমেশের বিয়ের কথা। ভেঙে যায় বিয়ে। মানসিকভাবে সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ে হেম। এদিকে কমলাকে তার আসল স্বামীর কাছে পৌঁছে দেবার উদ্দেশ্যে রমেশ কমলাকে নিয়ে কাশি রওনা হয় কলকাতা থেকে।

এদিকে হেমের সুস্থতা ও মানসিক প্রশান্তির জন্য হেমের বাবা হেমকে নিয়ে হাওয়া বদলের জন্য কাশি চলে যায়। ঘটনাক্রমে সেখানকার এক ডাক্তারের সঙ্গে হেমের প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে, সে ডাক্তারের নাম নলিনাক্ষ। নলিনাক্ষের নব বিবাহিত স্ত্রী নৌকাডুবিতে নিখোঁজ হয়েছিলো। সে থেকে ডাক্তার আর বিয়ে না করার সংকল্প করে। হেমের সাথে পরিচিত হবার পর ডাক্তারের হৃদয়ে নতুন প্রণয়ের আবির্ভাব হয়। হেমও নলিনাক্ষের প্রতি অনুরক্ত হয় এবং একপর্যায়ে তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। এদিকে কমলা ঘটনাচক্রে জানতে পারে এটা তার মিথ্যে সংসার। ঘটনার আকস্মিকতা সহ্য না করতে পেরে কমলা চলে যায় বাড়ি ছেড়ে। রমেশ খুঁজতে থাকে কমলাকে। কাশি শহরে হঠাৎ দেখা হয়ে যায় রমেশ এবং হেমের।

রমেশকে দেখে পুরনো আবেগ নাড়া দিয়ে ওঠে।হেম ডাক্তার নলিনাক্ষের সঙ্গে তার বিয়ে ভেঙ্গে দেয়। সেদিনই নলিনাক্ষ খোঁজ পায় নৌকাডুবিতে হারিয়ে যাওয়া তার স্ত্রী কমলার।

সম্মাননা ও পুরস্কার

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Nouka Dubi"দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া। জানু ১৪, ২০১১। সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জুন ১৪, ২০১৪ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]