নিউটন স্কেল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
এই প্রবন্ধটি তাপমাত্রার নিউটনীয় স্কেল বিষয়ক। বলের আন্তর্জাতিক একক সম্বন্ধে জানতে চাইলে নিউটন (একক) প্রবন্ধটি দেখুন।
নিউটন স্কেল বা স্প্রিং স্কেল
তাপমাত্রার স্কেল পরিবর্তনের সূত্রাবলী
নিউটন থেকে নিউটনে
সেলসিয়াস (°C) [°C] = [°N] × ১০০/৩৩ [°N] = [°C] × ৩৩/১০০
ফারেনহাইট (°F) [°F] = [°N] × ৬০/১১ + ৩২ [°N] = ([°F] − ৩২) × ১১/৬০
কেলভিন (K) [K] = [°N] × ১০০/৩৩ + ২৭৩.১৫ [°N] = ([K] − ২৭৩.১৫) × ৩৩/১০০
র‌্যাঙ্কিন (°R) [°R] = [°N] × ৬০/১১ + ৪৯১.৬৭ [°N] = ([°R] − ৪৯১.৬৭) × ১১/৬০
বিভিন্ন স্কেলে তাপমাত্রার ব্যবধান: ১ K = ১ °C = ১.৮ °F = ১.৮ °R

স্যার আইজ্যাক নিউটন ১৭০০ খ্রীস্টাব্দের আশেপাশের সময়ে তাপমাত্রার নিউটন স্কেলটি উদ্ভাবন করেন। তাপ নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে গিয়ে তিনি "শীতকালের ঠাণ্ডা বাতাস" থেকে "রান্নাঘরের জ্বলন্ত কয়লা"-র মধ্যে প্রায় কুড়িটি প্রাসঙ্গিক বিন্দুর তাপমাত্রা নিয়ে সর্বপ্রথম তাপমাত্রার গুণগত স্কেলটি তৈরি করেন। এই পদ্ধতিটি যথেষ্ট স্থূল এবং এর ফলাফল ত্রুটিপূর্ণ হওয়ায় নিউটন নিজেই এটিকে পরিবর্তন করে তাপপ্রয়োগে অধিকাংশ বস্তুর আয়তন বেড়ে যাওয়ার ধর্মকে কাজে লাগানোর কথা ভাবেন। তিনি একটি পাত্রে খানিকটা তিসির তেল নিয়ে তাঁর পূর্বে ব্যবহৃত প্রাসঙ্গিক বিন্দুগুলিতে তেলের আয়তনের পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করেন। তিনি দেখেন যে ফুটন্ত জলের তাপমাত্রায় তিসির তেলের আয়তন গলন্ত বরফের তাপমাত্রার থেকে ৭.২৫% বেশি।

কিছুদিন পরে, তিনি গলন্ত বরফকে "তাপের শূন্য ডিগ্রী" ও ফুটন্ত জলকে "তাপের ৩৩ ডিগ্রী" হিসেবে নির্ধারণ করেন। তাপমাত্রার একই প্রাসঙ্গিক বিন্দু দ্বারা সংজ্ঞায়িত হওয়ায় এই স্কেলটিকে সেলসিয়াস স্কেলের পূর্বসুরী বললে অত্যুক্তি হবেনা। বরং সেলসিয়াস তার নিজের স্কেল তৈরির আগেই হয়তো নিউটন স্কেলের কথা জানতেন। নিউটন তাঁর যন্ত্রের নাম দেন "থার্মোমিটার"।

সুতরাং এই স্কেলের একক, এক নিউটন ডিগ্রী ১০০/৩৩ (প্রায় ৩.০৩) ডিগ্রী সেলসিয়াসের সমান আর এর নিম্নস্থিরাঙ্ক সেলসিয়াস স্কেলের মতোই।

বিভিন্ন তাপমাত্রার এককের মধ্যে সম্পর্ক তালিকা[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  • Grigull, U. (১৯৮৪), "Newton's temperature scale and the law of cooling", Heat and Mass Transfer, 18 (4): 195–199, ডিওআই:10.1007/BF01007129 .

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]