নায়না দেবী (সঙ্গীতশিল্পী)
নায়না দেবী (সঙ্গীতশিল্পী) | |
---|---|
প্রাথমিক তথ্য | |
জন্মনাম | নিলীনা সেন |
জন্ম | কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ব্রিটিশ ভারত | ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯১৭
মৃত্যু | ১ নভেম্বর ১৯৯৩ | (বয়স ৭৬)
পেশা |
|
কার্যকাল | ১৯৫০–৯৩ |
নায়না দেবী (২৭ সেপ্টেম্বর ১৯১৭ - ১নভেম্বর ১৯৯৩; এছাড়াও নায়না রিপজিত সিং নামে পরিচিত) ভারতের গায়িকা ছিলেন। তিনি হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সংগীতে তার অবদানের জন্য তিনি সুপরিচিত। যদিও তিনি দাদরা ও গজল গাইতেন। তিনি অল ইন্ডিয়া রেডিওতে এবং পরবর্তীতে দূরদর্শনের একজন সংগীত প্রযোজক ছিলেন।
প্রশিক্ষণ
[সম্পাদনা]তিনি কৈশোরে গিরিজা শঙ্কর চক্রবর্তীর অধীনে সংগীত প্রশিক্ষণ শুরু করেছিলেন, পরবর্তীতে তিনি ১৯৫০-এর দশকে রামপুর-সহসওয়ান ঘরানার উস্তাদ মুস্তাক হুসেইন খান এবং বারাণসী ঘরানার রসুলান বাঈয়ের থেকে সংগীতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিলেন। কলকাতার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করা নায়না দেবী মাত্র ষোল বছর বয়সে কাপুরথালা রাজ্যের রাজপরিবারে বিবাহিত হয়েছিলেন এবং ১৯৪৯ সালে তার স্বামী মারা যাওয়ার পরেই তিনি কনসার্টে গান শুরু করেছিলেন এবং তিনি দিল্লিতে চলে আসেন। ১৯৭৪ সালে, তিনি ভারত সরকার প্রদত্ত চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান পদ্মশ্রী পুরস্কার লাভ করেছিলেন।[১]
প্রারম্ভিক জীবন
[সম্পাদনা]নায়না দেবী ১৯১৭ সালের ২৭শে সেপ্টেম্বর তারিখে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের কলকাতায় এক সম্ভ্রান্ত বাঙালি পরিবারে নীলিনা সেন নামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাঁর ঠাকুরদা ছিলেন ব্রাহ্মসমাজ আন্দোলনের জাতীয়তাবাদী নেতা এবং সমাজ সংস্কারক কেশবচন্দ্র সেন। তিনি পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে চতুর্থ। তাঁর ভাইবোনেরা হলেন সুনীত, বিনীতা, সাধনা এবং প্রদীপ। বাবা সরল চন্দ্র সেন (যিনি একজন উকিল ছিলেন) ও মা নির্মলা (নেলি)-র কাছেই নীলিনা তাঁর শৈশব অতিবাহিত করেছিলেন। তাঁর চাচা পাঁচু যখন তরুণ নীলিনাকে স্থানীয় মঞ্চ নাটক আঙ্গুরবালার একটি কনসার্টে নিয়ে গিয়েছিলেন, তখন থেকেই তিনি সংগীতের প্রতি আগ্রহী হয়েছিলেন এরপরে, মসজিদ বাড়ি রাস্তার আঙ্গুরবালার বাড়িতেই তিনি গান শোনার জন্য যেতেন। অবশেষে তিনি, গিরিজা শংকর চক্রবর্তী অধীনে নয় বছর (১৮৮৫-১৯৪৮) যাবত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিলেন; যিনি একজন অসাধারণ গায়ক এবং শিক্ষক ছিলেন, তিনি বাংলায় খেয়াল ঐতিহ্যটি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য সুপরিচিত।[২]
ব্যক্তিগত জীবন
[সম্পাদনা]১৯৩৪ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে তিনি কাপুরথালা রাজ্যের রাজা চরণজিৎ সিংয়ের তৃতীয় পুত্র রিপজিত সিংয়ের (জন্ম ১৯০৬) সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। বিয়ের পরে তিনি পাঞ্জাবের কাপুরথালায় চলে যান। তাঁকে গান গাইতে অনুমতি দেওয়া হয়নি। ১৯৪৯ সালে তাঁর স্বামী মারা যাবার সময়ে তিনি ৩২ বছর বয়সী ছিলেন।[৩] নায়না দেবী তাঁর জীবনের শেষের দিকে কীর্তনের ঐতিহ্যবাহী রূপের প্রতি আগ্রহী হয়েছিলেন, তিনি বৃন্দাবনে গিয়ে তা শিখতেন এবং পরবর্তীকালে তাঁর তিনজন প্রবীণ শিষ্যকে কীর্তনের এই রূপটি প্রশিক্ষণ দিতেন।[৪]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Padma Awards Directory (1954–2009)" (পিডিএফ)। Ministry of Home Affairs। ১০ মে ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
Nina Ripjit Singh, Naina Devi
- ↑ "A Tale of Two Women: In search of their own songs"। The Telegraph। ১১ মার্চ ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০১৩।
- ↑ Subhra Mazumdar (২৫ সেপ্টেম্বর ২০১০)। "Naina Devi and the nautch girl"। The Times of India, Crest Edition। ২৪ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০১৩।
- ↑ "In service of the arts"। The Hindu। ২৭ জানুয়ারি ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুন ২০১৩।
- পশ্চিমবঙ্গের নারী সঙ্গীতজ্ঞ
- ২০শ শতাব্দীর ভারতীয় গায়িকা
- মহিলা হিন্দুস্তানি সংগীতশিল্পী
- ২০শ শতাব্দীর ভারতীয় সঙ্গীতশিল্পী
- শিল্পকলায় পদ্মশ্রী প্রাপক
- ঠুমরী
- হিন্দুস্তানি সঙ্গীতশিল্পী
- ভারতীয় ধ্রুপদী গায়িকা
- বাঙালি ব্যক্তি
- কলকাতার সঙ্গীতশিল্পী
- ১৯৯৩-এ মৃত্যু
- ১৯১৭-এ জন্ম
- বাঙালি হিন্দু
- ভারতীয় নারী টেলিভিশন প্রযোজক
- পশ্চিমবঙ্গের নারী শিক্ষাবিদ
- ২০শ শতাব্দীর নারী শিক্ষাবিদ
- ভারতীয় টেলিভিশন প্রযোজক
- নারী টেলিভিশন প্রযোজক
- পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাবিদ