নজরুল ইসলাম চৌধুরী (বিচারক)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নজরুল ইসলাম চৌধুরী
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিচারক
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
২০০১
ব্যক্তিগত বিবরণ
জাতীয়তাবাংলাদেশী
জীবিকাবিচারক

নজরুল ইসলাম চৌধুরী বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি।[১] [২]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

২০০৭ সালে, চৌধুরী হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি নিযুক্ত হন।[৩]

২০০৩ সালের জানুয়ারিতে, চৌধুরী এবং বিচারপতি এম এ আজিজ আওয়ামী লীগের একজন রাজনীতিবিদ তোফায়েল আহমেদকে আটকের ঘোষণা দেন, যিনি ২০০২ সালের ডিসেম্বরে গ্রেপ্তার হন।[৪] ৩ জুলাই ২০০৩, চৌধুরী হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারপতি নিযুক্ত হন।[৩]

২০০৪ সালের মে মাসে প্রধান বিচারপতি চৌধুরীকে দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার বাছাই করার জন্য গঠিত বাছাই কমিটিতে মনোনীত করেন।[৫]

২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে, চৌধুরী এবং বিচারপতি আতাউর রহমান খান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান দুর্নীতি মামলা স্কোয়াশ করার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন।[৬]

২০১১ সালের আগস্টে, চৌধুরী এবং বিচারপতি আনোয়ারুল হক ১৩জন আইনজীবীর বিরুদ্ধে একটি মামলায় জামিনের শুনানি শুনতে বিব্রত ও অনিচ্ছা প্রকাশ করেন।[৭] আইনজীবীদের বিরুদ্ধে পুলিশকে তাদের দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।[৭] ফজলুল হক আমিনীর বিরুদ্ধে করা শুনানিতে বিচারক সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কিছু মন্তব্যকে রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক এবং তার দেশপ্রেমকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পর আদালত কক্ষে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন আইনজীবীরা।[৭]

২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে, চৌধুরী মীর কাসেম আলীর প্রতিনিধিত্ব বন্ধ করে দেন, একজন বাংলাদেশ জামায়াত-ই-ইসলামী রাজনীতিবিদ যিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন।[১]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Shaon, Ashif Islam (১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৫)। "Retired judge quits as Mir Quasem counsel"। Dhaka Tribune। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ 
  2. Staff Correspondent (২০১৭-১০-০৪)। "Law minister bins 'speculations'"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-০১ 
  3. "Five additional judges of HC get job confirmation"The Daily Star। ৩ জুলাই ২০০৩। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ 
  4. "Detention of Tofail, Saleem Illegal: HC"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। ২০০৩-০১-১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-০১ 
  5. "Law & Our Rights: Selection body formed for anti-graft commission"The Daily Star। ১৬ মে ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ 
  6. Staff Correspondent (২০০৭-০৯-০৭)। "HC rejects appeal to quash MiG case"The Daily Star (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৩-০৯-০১ 
  7. "Law and Our Rights: Judge embarrassed to hear 'banned' lawyers' bail plea"The Daily Star। ৬ আগস্ট ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০২৩