দ্য ম্যান ইন দ্য আয়রন মাস্ক (১৯৯৮-এর চলচ্চিত্র)
দ্য ম্যান ইন দ্য আয়রন মাস্ক | |
---|---|
![]() প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পোস্টার | |
পরিচালক | র্যান্ডল ওয়ালেস |
প্রযোজক | র্যান্ডল ওয়ালেস রাসেল স্মিথ |
চিত্রনাট্যকার | র্যান্ডল ওয়ালেস |
উৎস | আলেক্সাঁদ্র্ দ্যুমা কর্তৃক দ্য ভিকমতে অফ ব্রাগেলন: টেন ইয়ারস লেইটার |
শ্রেষ্ঠাংশে | লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও জেরেমি আয়রনস জন মালকভিচ জেরার্ড ডিপারদিউ গ্যাব্রিয়েল বাইরন |
সুরকার | নিক গ্লেনি-স্মিথ |
চিত্রগ্রাহক | পিটার সুসিজকি |
সম্পাদক | উইলিয়াম হয় |
প্রযোজনা কোম্পানি | |
পরিবেশক | ইউনাইটেড আর্টিস্টস |
মুক্তি |
|
দৈর্ঘ্য | ১৩২ মিনিট |
দেশ | যুক্তরাষ্ট্র[১] |
ভাষা | ইংরেজি |
নির্মাণব্যয় | $৩৫ মিলিয়ন[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] |
আয় | $১৮৩ মিলিয়ন[২] |
দ্য ম্যান ইন দ্য আয়রন মাস্ক ১৯৯৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত মার্কিন অ্যাকশন ড্রামা চলচ্চিত্র। এটি রচনা, পরিচালনা ও প্রযোজনা করেছেন র্যান্ডল ওয়ালেস। এতে দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করেছেন লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও, এরামিস চরিত্রে জেরেমি আয়রনস, এথস চরিত্রে জন মালকোভিচ, পোর্থস চরিত্রে জেরার্ড ডিপারদিউ, ডি'আর্থাগনান চরিত্রে গ্যাব্রিয়েল বাইরন।[৩]
রাজা লুইস ১৪'র সময়ে চারজন বন্দুকধারী সৈনিক এথস, পোর্থস, আরামিস, ডি'আর্থাগনানের মুখোশের পিছনের ব্যক্তিদের রহস্য উন্মোচন ও ব্যখ্যা করা এই চলচ্চিত্রে মূল বিষয়বস্তু।[৪] এটি আলেক্সাঁদ্র্ দ্যুমার মূল বই থেকে ১৯২৯ সালে ডগলাস ফেয়ারব্যাঙ্কস অভিনীত দ্য আয়রন মাস্ক এবং ১৯৩৯ সালে জেমস হোয়েল পরিচালিত একই নামের চলচ্চিত্রের সাথে বেশি সম্পর্কিত।
কাহিনী সংক্ষেপ[সম্পাদনা]
ফ্রান্সের রাজা লুইস ১৩'র মৃত্যুর পর রাজা লুইস ১৪ ক্ষমতায় আসেন। ডাচদের বিরুদ্ধে অপ্রত্যাশিত যুদ্ধের কারণে ফ্রান্স দেউলিয়া ঘোষিত হয়। লুইস খুবই বিলাসী জীবনযাপন করতেন এবং তার অনেক উপপত্নী ছিল। ইতিমধ্যে ফ্রান্সের কৃষকরা অনাহারে মারা যেতে লাগল এবং খাদ্য নিয়ে দেশব্যাপী দাঙ্গা শুরু হল। দাঙ্গা সাময়িকভাবে ক্ষান্ত হয়।
তিন বন্দুকধারী সৈনিক এরামিস, এথস, পোর্থস তাদের কাজ থেকে অবসর নিয়েছে এবং শুধুমাত্র ডি'আর্থাগনান তার কাজে বহাল রয়েছে। জনসাধারণ খাদ্যের জন্য লুইসের প্রাসাদের ফটকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে ডি'আর্থাগনান তাদের আশ্বাস দেন যে তিনি রাজার সাথে এ ব্যাপারে কথা বলবেন। তিনি রাজাকে এক গুপ্ত আক্রমণ থেকে রক্ষা করেন। পরস্থিতি আরও খারাপ হতে থাকে। লুইস ক্রিস্টিন নামে এক যুবতীকে তার উপপত্নী করতে চায়। কিন্তু রাউলের সাথে তার বিয়ে পাকাপোক্ত হয়ে ছিল বলে লুইস রাউলকে হত্যা করায়। লুইস ইহুদি নেতাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে আর সেই নেতা ছিল এরামিস। ফলে এরামিস আর এথস রাজাকে প্রতিহত করার জন্য পোর্থসকে নিযুক্ত করে।
এরামিস রাজা লুইসের জমজ ভাই ফিলিপের কথা জানত, যে এই মুখোশের পিছনের ব্যক্তি। রাজা লুইস তাকে কারাগারে বন্দী করে রাখে যাতে সে ক্ষমতার দাবী না করতে পারে। ফিলিপে লুইসের চেয়ে ভদ্র ও দয়ালু। তাকে কারাগার থেকে মুক্ত করতে হলে এরামিসদের ডি'আর্থাগনানের মুখোমুখি হতে হবে। তাই তারা বিকল্প পথের সন্ধান করে।
অভিনয়শিল্পী[সম্পাদনা]
- লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও - রাজা লুইস ১৪/ফিলিপে
- গ্যাব্রিয়েল বাইরন - ডি'আর্থাগনান
- জেরেমি আয়রনস - এরামিস
- জন মালকোভিচ - এথস
- জেরার্ড ডিপারদিউ - পোর্থস
- অ্যানি পেরিলদ - রাজমাতা অ্যানি
- জুদিথ গোদরেচ - ক্রিস্টিন
- পিটার সারসগার্ড - রাউল
- এডওয়ার্ড আথারটন - লেফটেন্যান্ট আন্দ্রে
- হিউ লরি - পিঁয়ের, রাজা লুইস ১৪'র পরামর্শদাতা
- ডেভিড লুই - রাজা লুইস ১৪'র পরামর্শদাতা
সমালোচনা[সম্পাদনা]
চলচ্চিত্রটি ইতিবাচক ও নেতিবাচক সমালোচনা পেলেও ব্যবসায়িকভাবে সফল হয়। এটি মোট $১৮৩ মিলিয়ন আয় করে।[২] রজার এবার্ট চলচ্চিত্রটিকে ৫-এ ২.৫ রেটিং প্রদান করেন।[৪]
লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও তার দ্বৈত চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সবচেয়ে বাজে পর্দা জুটি বিভাগে গোল্ডেন রাসবেরি পুরস্কার পান।
সঙ্গীত[সম্পাদনা]
দ্য ম্যান ইন দ্য আয়রন মাস্ক (মৌলিক সঙ্গীত) | ||||
---|---|---|---|---|
নিক গ্লেনি-স্মিথ কর্তৃক সাউন্ডট্র্যাক | ||||
মুক্তির তারিখ | ১০ মার্চ ১৯৯৮ | |||
ঘরানা | সাউন্ডট্র্যাক | |||
দৈর্ঘ্য | ৫০:৩৪ | |||
সঙ্গীত প্রকাশনী | মিলান রেকর্ডস | |||
নিক গ্লেনি-স্মিথ কালক্রম | ||||
|
সাউন্ডট্র্যাক | |
---|---|
পর্যালোচনা স্কোর | |
উৎস | মূল্যায়ন |
অল মিউজিক | ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() |
Filmtracks | ![]() ![]() ![]() ![]() ![]() |
চলচ্চিত্রের গীত রচনা ও সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন নিক গ্লেনি-স্মিথ.
- "সারোন্ডেড"
- "হার্ট অফ অ্যা কিং"
- "দ্য পিগ চেইজ"
- "দ্য আসেনসন"
- "কিং ফর অ্যা কিং"
- "দ্য মুন বেকনস"
- "দ্য মাসকুয়েরেড বল"
- "অ্যা টেস্ট অফ সামথিং"
- "কিসি কিসি"
- "ট্রেইনিং টু বি কিং"
- "দ্য রোজ"
- "অল উইল বি ওয়েল"
- "অল ফর ওয়ান"
- "গ্রেটেস্ট মিস্ট্রি অফ লাইফ"
- "রাউল অ্যান্ড ক্রিস্টিন"
- "ইট ইজ অ্যা ট্র্যাপ"
- "এংরি এথস"
- "রাউল'স লেটার"
- "দ্য প্যালেস"
- "রাউল'স ডেথ"
- "কুইন অ্যাপ্রোচস"
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "The Man in the Iron Mask"। British Film Institute। London। ২ আগস্ট ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬।
- ↑ ক খ "Weekend Charts for 1998, weekend 1 to 52"। Box Office Mojo। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬।
- ↑ "Film - The Man in the Iron Mask"। TvTroops। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬।
- ↑ ক খ "The Man in the Iron Mask"। RogerEbert.com। সংগ্রহের তারিখ ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে দ্য ম্যান ইন দ্য আয়রন মাস্ক (ইংরেজি)
- অলমুভিতে The Man in the Iron Mask (ইংরেজি)
- বক্স অফিস মোজোতে The Man in the Iron Mask (ইংরেজি)
- রটেন টম্যাটোসে The Man in the Iron Mask (ইংরেজি)
- মেটাক্রিটিকে The Man in the Iron Mask (ইংরেজি)
- ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্র
- ১৯৯৮-এর চলচ্চিত্র
- ১৯৯০-এর দশকের অ্যাকশন চলচ্চিত্র
- ১৯৯০-এর দশকের রোমাঞ্চকর চলচ্চিত্র
- ১৯৯০-এর দশকের নাটকীয় চলচ্চিত্র
- মার্কিন চলচ্চিত্র
- মার্কিন অ্যাকশন চলচ্চিত্র
- মার্কিন নাটকীয় চলচ্চিত্র
- মার্কিন রোমাঞ্চকর চলচ্চিত্র
- পরিচালনায় অভিষেক চলচ্চিত্র
- র্যান্ডল ওয়ালেস পরিচালিত চলচ্চিত্র
- ইউনাইটেড আর্টিস্টস প্রযোজিত চলচ্চিত্র
- ফ্রান্সে ধারণকৃত চলচ্চিত্র
- দ্বৈত চরিত্র বিষয়ক চলচ্চিত্র
- রাজত্ব বিষয়ক চলচ্চিত্র
- চলচ্চিত্রে আত্মহত্যা
- মেট্রো-গোল্ডউইন-মেয়ারের চলচ্চিত্র
- ১৯৯০-এর দশকের কারাগার চলচ্চিত্র
- মার্কিন রোমাঞ্চকর নাট্য চলচ্চিত্র
- চলচ্চিত্রে ব্যভিচার
- ১৯৯০-এর দশকের ইংরেজি ভাষার চলচ্চিত্র
- ইউনাইটেড আর্টিস্ট্সের চলচ্চিত্র
- ১৯৯০-এর দশকের মার্কিন চলচ্চিত্র