বিষয়বস্তুতে চলুন

দেবসেনা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
দেবসেনা
আকাঙ্ক্ষার দেবী[]
একটি লিথোগ্রাফ, যেখানে কার্তিকের কোলে বসে আছেন দেবসেনা।
অন্যান্য নামদেবায়নই, অমৃতবল্লী, ষষ্ঠী
অন্তর্ভুক্তিদেবী, কৌমারী, ষষ্ঠী
বাহনহাতি
বিড়াল (ষষ্ঠী হিসাবে)
মাতাপিতাইন্দ্র এবং শচী
বা
প্রজাপতি দক্ষ (মহাভারত অনুসারে)
বা
বিষ্ণু (দক্ষিণ ভারতীয় ঐতিহ্য অনুসারে)
সঙ্গীকার্তিক

দেবসেনা (সংস্কৃত: देवसेना, প্রতিবর্ণীকৃত: Devasenā, অনুবাদ'দেবাদের সৈন্য', তামিল: தேவசேனா) হলেন একজন হিন্দু আকাঙ্ক্ষার দেবী ও দেবসেনাপতি কার্তিকের স্ত্রী।[] তামিল গ্রন্থসমূহে তাঁর নাম দেবয়ানী, দেইবানায় এবং দেইবায়নাই উল্লেখ করা হয়েছে। পূর্ব ভারতে, দেবসেনাকে ষষ্ঠী দেবী রূপে পরিচিত। মহাভারতে প্রজাপতি দক্ষের কন্যা হিসাবে তাঁর বর্ণনা রয়েছে। কিছু সংস্কৃত ধর্মগ্রন্থ তাকে দেবরাজ ইন্দ্র ও তার স্ত্রী শচীর কন্যা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। স্কন্দ পুরাণের তামিল সংস্করণ মতে, তাঁর পিতা বিষ্ণু, যাকে পরে ইন্দ্র দত্তক নেন।[][] কার্তিক যখন দেবগণের সেনাপতি হন, তখন তার সাথে দেবসেনার বিবাহ হয়। তামিল বিবরণ অনুসারে, দেবসেনা, কার্তিক পত্নী বল্লীর বোন ও সতীন রূপে উল্লেখিত হন।

তামিলনাড়ুতে দেবসেনা এককভাবে পূজিত হন না। তবে বেশিরভাগ মন্দিরে মুরুগানের সহধর্মিণী হিসেবে তাঁকে পূজা করা হয়। তিনি তিরুপ্পারাঙ্কুনরাম মুরুগান মন্দিরের গুরুত্বপূর্ণ দেবী। এই মন্দিরে তাঁর ও কার্তিকের বিবাহ অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে মনে করা হয়। পূর্ব ভারতে, তিনি ষষ্ঠী দেবী রূপে স্বাধীনভাবে পূজিত হন।

নাম ব্যুৎপত্তি

[সম্পাদনা]

সংস্কৃত দেবসেনা শব্দের আক্ষরিক অর্থ "দেবতাদের সেনাবাহিনী"। সেজন্য তাঁর স্বামী কার্তিকের অন্য নাম দেবসেনাপতি[]

তামিল সাহিত্যে তাঁর নাম দেইবানায় বা দেইবায়ানায়। তামিল শব্দ দেইবানায় এর আক্ষরিক অর্থ "দিব্য হস্তী" যেহেতু দেবসেনা, দেবরাজ ইন্দ্রের হস্তী ঐরাবত কর্তৃক লালিত-পালিত হন।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Artistic Visions and the Promise of Beauty: Cross-Cultural Perspectives। Springer। ৬ মার্চ ২০১৭। আইএসবিএন 9783319438931 
  2. James G. Lochtefeld (২০০২)। The Illustrated Encyclopedia of Hinduism: A-M। The Rosen Publishing Group। পৃষ্ঠা 185–6। আইএসবিএন 978-0-8239-3179-8 
  3. Rao, Mekala S.। Sadhana: Living with God (ইংরেজি ভাষায়)। MEKALA S RAO। পৃষ্ঠা 197। 
  4. Pattanaik, Devdutt (সেপ্টেম্বর ২০০০)। The Goddess in India: The Five Faces of the Eternal Feminine (ইংরেজি ভাষায়)। Inner Traditions / Bear & Co। পৃষ্ঠা 29। আইএসবিএন 978-0-89281-807-5 
  5. Clothey p. 214
  6. Roshen Dalal (২০১০)। The Religions of India: A Concise Guide to Nine Major Faiths। Penguin Books India। পৃষ্ঠা 190, 251। আইএসবিএন 978-0-14-341517-6 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]