দেওয়ান ওবায়দুর রাজা চৌধুরী
দেওয়ান ওবায়দুর রাজা চৌধুরী | |
---|---|
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ১৯৭০ – ১৯৭৩ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১৯২১ সুনামগঞ্জ, ব্রিটিশ ভারত। (বর্তমান বাংলাদেশ) |
মৃত্যু | ৩ ডিসেম্বর ১৯৮২ |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
সম্পর্ক | হাসন রাজা (পৌত্র) |
সন্তান | দুই ছেলে |
দেওয়ান ওবায়দুর রাজা চৌধুরী (১৯২১–৩ ডিসেম্বর ১৯৮২) নিজ এলাকায় দেওয়ান সাহেব নামেও পরিচিত ছিলেন। বাংলাদেশের সুনামগঞ্জ জেলার রাজনীতিবিদ যিনি পূর্ব পাকিস্তানের প্রতিনিধি হিসাবে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন।[১][২]
প্রাথমিক জীবন
[সম্পাদনা]দেওয়ান ওবায়দুর রাজা চৌধুরী ১৯২১ সালে সুনামগঞ্জের বিখ্যাত জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হাসন রাজার পৌত্র। আসাম প্রাদেশিক সরকারের মন্ত্রী ও পূর্ববঙ্গ ব্যবস্থাপক পরিষদের স্পীকার মৌলভী মুনাওর আলী (১৮৮৬-১৯৫১) ছিলেন তার মামা।[৩]
তিনি ১৯৪৫ সালে শিলং এডওয়ার্ড কলেজ থেকে বিএ পাশ করেন। তার দুই ছেলে দেওয়ান মোসাদ্দেক রাজা চৌধুরী ও দেওয়ান ইমদাদ রাজা চৌধুরী।[৩]
রাজনৈতিক জীবন
[সম্পাদনা]দেওয়ান ওবায়দুর রাজা চৌধুরী গনতন্ত্রী দলের কর্মী হিসেবে ছাত্র রাজনীতির মধ্য দিয়ে তিনি রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। তিনি ১৯৬২ সালে ন্যাশনেল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টে যোগ দেন। তিনি ১৯৪৭ সালের পাকিস্তান আন্দোলন, সিলেটের রেফারেন্ডাম আন্দোলন, ১৯৫২ সালের বাংলা ভাষা আন্দোলন, ৬ দফা আন্দোলন ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ তৎকালীন সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। ১৯৬৯ সালে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন। ১৯৭০ সালে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।[১][৪] ১৯৬৫ থেকে ১২ বছর তিনি সুনামগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন।[৩]
মৃত্যু
[সম্পাদনা]দেওয়ান ওবায়দুর রাজা চৌধুরী ৩ ডিসেম্বর ১৯৮২ সালে মৃত্যুবরণ করেন।[৩]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ Assembly, Pakistan National (১৯৭৩-০৫-২৪)। Parliamentary Debates. Official Report (ইংরেজি ভাষায়)।
- ↑ Hābiba, Khāledā (১৯৯১)। Bāṃlādeśa nirbācana, Jātīẏa Saṃsada o Mantrisabhā, 1970-1991। E. Āra. Muraśeda।
- ↑ ক খ গ ঘ "আংখি মুঞ্জিয়া দেখ রূপ-দীলের চক্ষে চাইয়া দেখ বন্ধুয়ার স্বরূপ"। দৈনিক সংগ্রাম। ১৩ জুন ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০২১।
- ↑ "সুনামগঞ্জ-৪ মহাজোটের প্রার্থী হচ্ছেন জাপার পীর মিসবাহ্"। দৈনিক সমকাল। ২০ নভেম্বর ২০১৮। ২২ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০২১।