দেওপাহাড়

স্থানাঙ্ক: ২৬°৩৬′০৮″ উত্তর ৯৩°৪৩′৫২″ পূর্ব / ২৬.৬০২২২° উত্তর ৯৩.৭৩১১১° পূর্ব / 26.60222; 93.73111
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
দেওপাহাড়
দেওপাহাড়ে উদ্ধার হওয়া ভাস্কর্য
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিহিন্দুধর্ম
জেলাগোলাঘাট জেলা
অবস্থান
অবস্থাননুমলীগড়
রাজ্যআসাম
দেশভারত
স্থানাঙ্ক২৬°৩৬′০৮″ উত্তর ৯৩°৪৩′৫২″ পূর্ব / ২৬.৬০২২২° উত্তর ৯৩.৭৩১১১° পূর্ব / 26.60222; 93.73111

দেওপাহাড় আসামের গোলাঘাট জেলা-এর নুমলীগড়ে অবস্থিত পূরাতাত্ত্বিক স্থান। এই স্থলে একটি সংরক্ষিত পূরাতাত্ত্বিক উদ্যান এবং আসাম সরকারের পূরাতাত্ত্বিক বিভাগের অন্তর্গত একটি যাদুঘর আছে।[১] দেওপাহাড় বা দেওপর্বতের নামের অর্থ হচ্ছে ঈশ্বরর পাহাড়। এটি ৩৯নং জাতীয় সড়কের দাঁতিতে অবস্থিত। দেওপাহাড় দেওপানী সংরক্ষিত বনাঞ্চলের অংশ। দেওপানী সংরক্ষিত বনাঞ্চলের আয়তন ১৩৩.৪৫ হেক্টর এবং হাতী করিডোরর অংশ। এখানে একডি ঐতিহ্যপূর্ণ ভেলু গাছ আছে। প্রতি বছর জানুয়ারি থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত এই গাছে কয়েকটি বৃহৎ বৃহৎ বাঁশ তৈরি করতে হিমালয়ের পাদদেশের বন্য পরিযায়ী মৌমাছি এখানে আসে।

দেওপাহাড় আসামের একটি উল্লেখযোগ্য পর্যটনস্থল।[২] পাহাড়ের শিখরে একটি প্রাচীন শিলেরে অর্ধনির্মিত বা ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পত ধ্বংসপ্রাপ্ত মন্দির আছে।

এর আশে-পাশে ছড়িয়ে থাকা ধ্বংসাবশেষসমূহ আসামের রাজ্যিক সংরক্ষিত স্মৃতিচিহ্নসমূহের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

দেওপাহাড়ের শিখরে অবস্থিত পাথরের মন্দির স্থাপত্যশৈলী থেকে খ্রিস্টীয় সপ্তম থেকে নবম শতকের বলে অনুমান করা যায়। এই মন্দির ভগবান শিব-এর প্রতি উৎসর্গিত বলে গণ্য করা হয়। লোকবিশ্বাস মতে এর মূল শিবলিঙ্গটি ১৯ শতকে পাহাড়ের কাছে স্থাপিত বাবা থান মন্দিরে স্থানান্তর করা হয়েছিল।[৩]

স্থাপত্য[সম্পাদনা]

দেওপাহাড়ে অবস্থিত মন্দিরটি একখণ্ড পাথরের উপর নির্মিত। তোরণের স্তম্ভে পদ্মফুল এবং ফুলের মালায় বিদ্যাধর খোদিত এবং বৃহৎ মূলাবরণ এর অন্যতম বিশেষত্ব। এর সাথে এখানে পাথরে খোদিত ভাস্কর্য পাওয়া গিয়েছে। মন্দির ভূমির শিলাখণ্ডসমূহ লোর দণ্ডে স্থির করা হয়েছিল।[৪] মন্দির স্থাপত্যে উত্তর গুপ্ত যুগের প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। বৃহৎ দরজায় ফুলর পাহির নক্সা, জীব-জন্তুর চারিওদিকে লতাজাতীয় উদ্ভিদ, মহিলা দ্বারপালিকার পত্রকুণ্ডল ইত্যাদি এর বিশেষত্ব। এখানে কীর্তিমুখ, কলমকার, ফাংনাম শিব, শ্রীধর রুদ্র, লক্ষ্মী-নারায়ণ, হর-গৌরী, রাসলীলা,সর্পদেবতা, প্রণাম ধ্যান, পদ্ম চক্র, রাম, রাবণ, সুগ্রীব ইত্যাদির ভাস্কর্য পাওয়া গিয়েছে। তদুপরি এখানে রামায়ণ, মহাভারত, ভাগবত পুরাণ ইত্যাদির দৃশ্যের ভাস্কর্য পাওয়া গিয়েছে।

যাতায়ত[সম্পাদনা]

দেওপাহাড় নুমলীগড়র ৩৯নং জাতীয় সড়কর পাশে অবস্থিত। নুমলীগড় রেলওয়ে স্টেশন এর নিকটবর্তী রেলওয়ে স্টেশন। ররৈয়া বিমানবন্দর এর থেকে প্রায় ৬৩ কি.মি. দূরে অবস্থিত।

চিত্র ভান্ডার[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]