তাজা পীর মসজিদ
তাজা পীর মসজিদ | |
---|---|
আজারবাইজানি: Təzəpir Məscidi | |
![]() ২০০৮ সালে মসজিদের ফাসাদ | |
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | শিয়া ইসলাম |
যাজকীয় বা সাংগঠনিক অবস্থা |
|
নেতৃত্ব | হাজি আল্লাহশুকুর পাশাজাদে (ককেশাসের গ্র্যান্ড মুফতি) |
অবস্থা | সক্রিয় |
অবস্থান | |
অবস্থান | বাকু, আবশেরন জেলা |
দেশ | আজারবাইজান |
লুয়া ত্রুটি মডিউল:অবস্থান_মানচিত্ এর 480 নং লাইনে: নির্দিষ্ট অবস্থান মানচিত্রের সংজ্ঞা খুঁজে পাওয়া যায়নি। "মডিউল:অবস্থান মানচিত্র/উপাত্ত/Azerbaijan Baku" বা "টেমপ্লেট:অবস্থান মানচিত্র Azerbaijan Baku" দুটির একটিও বিদ্যমান নয়। | |
স্থানাঙ্ক | ৪০°২২′১৯″ উত্তর ৪৯°৪৯′৫৩″ পূর্ব / ৪০.৩৭১৯৪° উত্তর ৪৯.৮৩১৩৯° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
স্থপতি | জিভার বেই আহমদবেইভ |
ধরন | মসজিদ স্থাপত্য |
স্থাপত্য শৈলী | |
অর্থায়নে | নাবাত খানুম আশুরবেইভা |
ভূমি খনন | ১৯০৫ |
সম্পূর্ণ হয় | ১৯১৪ (মসজিদ হিসেবে) |
বিনির্দেশ | |
ধারণক্ষমতা | ৭২০ জন |
অভ্যন্তরীণ | ১,৪০০ বর্গমিটার (১৫,০০০ বর্গফুট) |
গম্বুজসমূহ | ১টি |
মিনার | ২টি |
উপাদানসমূহ | সাদা পাথর; মার্বেল; সোনা |
তাজা পীর মসজিদ (আজারবাইজানি: Təzəpir Məscidi) আজারবাইজানের বাকু শহরে অবস্থিত একটি শিয়া মুসলিম মসজিদ। মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৯০৫ সালে এবং শেষ হয় ১৯১৪ সালে। এই প্রকল্পের ভাবনা ও অর্থায়ন করেন আজারবাইজানি দানবিরা নাবাত খানুম আশুরবেইভা।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]এই ধর্মীয় স্থানটির ইতিহাস ১৪শ ও ১৫শ শতকে শুরু হয়, যখন এটি একটি মাজার হিসেবে গঠিত হয়। এটি ছিল ইসলামী পণ্ডিত ও সাধু আবু সেয়িদ আব্দুল্লার কবর। এই স্থানটিকে স্থানীয়ভাবে “খালফাদাম” নামে ডাকা হতো। কালের পরিক্রমায় এই মাজার ধ্বংসের মুখে পড়ে, তবে বাকুর অভিজাত শ্রেণিসহ স্থানীয় জনগণ তা বারবার পুনঃস্থাপন করেন।
১৮১৭ সালে, হুসেইনগুলু খানের জামাতা কাসিম বেই এই মসজিদের পুনঃসংস্কারের জন্য অর্থ প্রদান করেন। মূল নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০শ শতকের গোড়ায়, কারিগর কারবালাই আহমদের তত্ত্বাবধানে এবং পরবর্তীতে বিখ্যাত স্থপতি জিভার বেই আহমদবেইভর পরিচালনায় তা শেষ হয় ১৯১৪ সালে। মসজিদটি পূর্ববর্তী মাজারের উপরেই নির্মিত হয়।
তৎকালীন রাজনৈতিক ও আর্থিক জটিলতার কারণে নির্মাণ কাজ প্রায় নয় বছর ধরে চলে। ১৯১১ সালের বলকান যুদ্ধের সময় জারবাদী রাশিয়া মুসলিম ধনীদের ওসমানীয়দের সহায়তা করার আশঙ্কায় বাকুর ব্যাংকিং কার্যক্রম কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করত। ফলে মসজিদের জন্য ব্যয় নির্ধারণ করতে হলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগত।
আজারবাইজানি শিল্পপতি ও দানবীর হাজি জেইনালাবদিন তাগিয়েভ-ও নির্মাণকাজে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।[১][২]
তবে উদ্বোধনের তিন বছরের মধ্যেই, অক্টোবর বিপ্লবের (১৯১৭) কারণে মসজিদটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরবর্তী কয়েক দশক এটি চলচ্চিত্র হল ও গোডাউন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ১৯৪৩ সাল থেকে এটি আবার মসজিদ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বর্তমানে এই মসজিদের আখুন্দ হলেন ককেশাসের গ্র্যান্ড মুফতি আল্লাহশুকুর পাশাজাদে।[৩]
স্থাপত্য
[সম্পাদনা]
তাজা পীর মসজিদ ছিল বাকু শহরে প্রথম ধর্মীয় স্থাপনা যেখানে সাদা পাথর ব্যবহৃত হয়। স্থপতি জিভার বেই আহমদবেইভ ইসলামী স্থাপত্যশৈলী অনুযায়ী এর অভ্যন্তর গঠন করেন। মসজিদের সামনের অংশে রয়েছে প্রবেশদ্বার ও দু’পাশে উঠে থাকা মিনার। এর ১৯.৬ মিটার আয়তাকার নামাজ কক্ষে বিশাল গম্বুজ রয়েছে। ভেতরের অলংকরণে স্থানীয় শিল্পরীতির পাশাপাশি কোরআনের আয়াতসহ আরবি ক্যালিগ্রাফি ব্যবহার করা হয়েছে।
২০০৬ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে মসজিদটির পুরাতন অংশসমূহ সংস্কার করা হয় এবং সেখানে আধুনিক বায়ুচলাচল ব্যবস্থা স্থাপন করা হয়। মেঝেতে এমন নামাজগাহ কার্পেট বসানো হয় যেখানে একসঙ্গে ৭২০ জন উপাসক নামাজ আদায় করতে পারেন।[১][৪]
মসজিদের মিহরাব ও গম্বুজ মার্বেল দ্বারা নির্মিত এবং মিনার ও বিভিন্ন লেবেল সোনায় আবৃত। গম্বুজে ছয়বার লেখা হয়েছে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, যা গিজিলগায়া পাথরে খোদিত।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;:0
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ Bloom, Jonathan; Blair, Sheila S. (১৪ মে ২০০৯)। Grove Encyclopedia of Islamic Art & Architecture। Oxford University Press।
- ↑ Mehpare। "..."।
- ↑ (পিডিএফ) http://ilhamaliyev.preslib.az/docs/i21.pdf।
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য)