তপতী গুহ-ঠাকুরতা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
তপতী গুহ-ঠাকুরতা
জন্ম (1957-09-27) ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৫৭ (বয়স ৬৬)
[[কলকাতা ]], ভারত
জাতীয়তাভারতীয়
পেশাসাংস্কৃতিক ইতিহাসবিদ, অধ্যাপক
পরিচিতির কারণভারতের শিল্পের ইতিহাস, সাংস্কৃতিক ইতিহাস
দাম্পত্য সঙ্গীহরিশঙ্কর বাসুদেবন (মৃ. ২০২০)
সন্তানমৃণালিনী বাসুদেবন
আত্মীয়পরঞ্জয় গুহ-ঠাকুরতা (ভ্রাতা)[১]
উচ্চশিক্ষায়তনিক পটভূমি
শিক্ষাপ্রেসিডেন্সি কলেজ কলকাতা
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়
উচ্চশিক্ষায়তনিক কর্ম
উল্লেখযোগ্য কাজমনুমেন্টস, অবজেক্টস, হিস্টোরিস: ইনস্টিটিউশন অফ আর্ট ইন কলোনিয়াল অ্যান্ড পোস্ট কলোনিয়াল ইন্ডিয়া,
দ্য মেকিং অফ আ নিউ 'ইন্ডিয়ান' আর্ট: আর্টিস্টস, অ্যাসথেটিক্স অ্যান্ড ন্যাশনালিজম ইন বেঙ্গল

তপতী গুহ-ঠাকুরতা (জন্ম: ২৭ সেপ্টেম্বর ১৯৫৭) হলেন একজন ভারতীয় বাঙালি ইতিহাসবিদ, যিনি ভারতের শিল্প ইতিহাস, সাংস্কৃতিক ইতিহাস এবং শিল্প সম্পর্কে গবেষণা করেছেন। তিনি কলকাতার সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশ্যাল সায়েন্সের ইতিহাসের অধ্যাপক ও অধিকর্তা। এর আগে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজের অধ্যাপক ছিলেন। বাংলার তথা কলকাতার দুর্গাপূজাকে  ইউনেস্কার ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি’ তথা মানবতার জন্য আবহমান অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্তি র জন্য তার গবেষণা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিল।

জীবনী[সম্পাদনা]

তপতী গুহ-ঠাকুরতার জন্ম ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দের ২৭শে সেপ্টেম্বর কলকাতায়।  পড়াশোনাও এই শহরে। ১৯৭৪ খ্রিস্টাব্দে মডার্ন হাইস্কুল ফর গার্লস হতে উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পর ইতিহাস নিয়ে প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন। ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দে স্নাতক হন।১৯৮০ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম.এ পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হন। কলকাতার সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশ্যাল সায়েন্সেসে ডিপ্লোমা লাভ করেন ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দে। ১৯৮৮ খ্রিস্টাব্দে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা করে ডি.ফিল ডিগ্রি অর্জন করেন [২] "১৮৫০-১৯২০ খ্রিস্টাব্দ সময়ের বাংলার শিল্প, শিল্পী ও নন্দনতত্ত্ব" ছিল তার গবেষণার বিষয়। তিনি প্রখ্যাত ঐতিহাসিক হরিশঙ্কর বাসুদেবনকে বিবাহ করেন। বাসুদেবন কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২০২০ খ্রিস্টাব্দের ১০ মে  পরলোক গমন করেন। [৩]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

১৯৯৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি কেমব্রিজের উলফসন কলেজে চার্লস ওয়ালেস ভিজিটিং ফেলোশিপ লাভ করেন [৪] ২০১১ খ্রিস্টাব্দে তিনি ইয়েল সেন্টার ফর ব্রিটিশ আর্টের ভিজিটিং ফেলো ছিলেন। [৫] ২০১৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ভিজিটিং প্রফেসর ছিলেন । [৬] তিনি প্রদর্শনী মনোগ্রাফ লেখা ছাড়াও এবং অনেক শিল্প প্রদর্শনী ব্যবস্থাপক ছিলেন। [৭]

দুর্গাপূজাকে ইউনেস্কোর আবহমান অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তালিকাভুক্তিতে অবদান[সম্পাদনা]

২০১৫ খ্রিস্টাব্দে তপতী গুহ-ঠাকুরতা বাংলার তথা কলকাতার প্রাণের উৎসব দুর্গাপূজা নিয়ে রচনা করেন ইন দ্য নেম অফ দ্য গডেস: দ্য দুর্গা পূজাস অফ কনটেমপোরারি কলকাতা এবং তার সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশাল সায়েন্সেসের পক্ষে বাংলার দুর্গাপূজাকে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্তির কথা বলা হয়।

পরবর্তীতে ২০১৮ খ্রিস্টাব্দে ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রক তাকে এক ডসিয়ার প্রস্তুত করতে বলে। তপতী গুহ-ঠাকুরতা ২০১৮ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে কাজ শুরু করেন এবং ২০১৯ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে ডসিয়ারটি প্রস্তুত করেন। তিনি এর সঙ্গে প্রামাণ্য তথ্যাদি এবং দুর্গাপূজার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন পক্ষের মন্তব্য ইত্যাদি তুলে ধরতে ২০ টি ছবি এবং দশ মিনিটের এক ভিডিও প্রস্তুত করেন সংগীত নাটক অকাদেমি হতে সামান্য অনুদান নিয়ে। যার ফলে সংশ্লিষ্ট সরকারের আবেদনক্রমে বাংলার তথা কলকাতার প্রাণের উৎসব ইউনেস্কার মানবতার জন্য আবহমান অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পেয়েছে। [৮]

রচিত গ্রন্থসমূহ[সম্পাদনা]

  • গুহ-ঠাকুরতা, তপতী (২০০৭)। দ্য মেকিং অফ আ নিউ 'ইন্ডিয়ান' আর্ট: আর্টিস্টস, অ্যাসথেটিক্স অ্যান্ড ন্যাশনালিজম ইন বেঙ্গল, c.1850–1920 কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেসআইএসবিএন 978-0521052733 
  • গুহ-ঠাকুরতা, তপতী (২০০৪)। মনুমেন্টস, অবজেক্টস, হিস্টোরিস: ইনস্টিটিউশন অফ আর্ট ইন কলোনিয়াল অ্যান্ড পোস্ট কলোনিয়াল ইন্ডিয়াকেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেসআইএসবিএন 978-0231129985 
  • গুহ-ঠাকুরতা, তপতী (২০১৫)। ইন দ্য নেম অব দ্য গডেস/ দ্য দুর্গা পুজাস অব কনটেম্পোরারি কোলকাতা। প্রাইমাস বুকস, দিল্লি। আইএসবিএন 978-9384082468 

তিনি প্রদর্শনী মনোগ্রাফও লিখেছেন এবং প্রবন্ধের দুটি সংকলন সহ-সম্পাদনা করেছেন - থিওরাইজিং দ্য প্রেজেন্ট: এসেস ফর পার্থ চ্যাটার্জি - (দিল্লি: অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, ২০১১) এবং নিউ কালচারাল হিস্ট্রিজ অব ইন্ডিয়া: মেটেরারিয়ালিটি অ্যান্ড প্রাকটিসেস - (দিল্লি: অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস, ২০১৩)।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Dangerous untruth: Vasudevan's wife; Shock at misinformation about cause"Telegraph India। ১০ জুন ২০২০। 
  2. "Tapati Guha-Thakurta | University of Chicago Global"global.uchicago.edu 
  3. "Coronavirus: Historian Hari Vasudevan no more"www.telegraphindia.com 
  4. Guha-Thakurta, Tapati (আগস্ট ৫, ২০০৪)। Monuments, Objects, Histories: Institutions of Art in Colonial and Post-Colonial India। Columbia University Press। আইএসবিএন 9780231503518 – Google Books-এর মাধ্যমে। 
  5. Guha-Thakurta, Tapati (মার্চ ১, ২০১৩)। "The Production and Reproduction of a Monument: The Many Lives of the Sanchi Stupa": 77–109। ডিওআই:10.1080/02666030.2013.772801 
  6. "Tapati Guha-Thakurta | Cogut Institute for the Humanities | Brown University"www.brown.edu 
  7. "FROM KALIGHAT TO THE NEW WOMAN"www.telegraphindia.com 
  8. Singh, Shiv Sahay (জানুয়ারি ১২, ২০১৯)। "I-T notices to Durga Pujas even as festival seeks UNESCO status" – www.thehindu.com-এর মাধ্যমে।