ঢালী
এই নিবন্ধে একাধিক সমস্যা রয়েছে। অনুগ্রহ করে নিবন্ধটির মান উন্নয়ন করুন অথবা আলাপ পাতায় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করুন।
|
বাংলায় ঢালী একটি অত্যন্ত অভিজাত বংশ। তবে এ বংশ হিন্দু ও মুসলিম উভয় ক্ষেত্রে ব্যবহার হতে দেখা যায়। কীভাবে ঢালী বংশের নামকরণ হয় তা নিশ্চিতভাবে জানা যায় না। তবে যতদূর জানা যায়, বহুকাল আগে ইরান থেকে বাংলায় যুদ্ধের জন্য কোনো এক বাদশার ফরমায়েশে কিছু সংখ্যক সৈন্য পাঠানো হয়, যারা ঢাল তলোয়ারের যুদ্ধে ঢাল নিয়ে যুদ্ধ মোকাবিলা করতে পারদর্শী ছিলো। এরপর এরা যখন ওই বাদশার হয়ে যুদ্ধে জয়লাভ করে তখন তাদেরকে হাদিয়া স্বরুপ এ বাংলায় থাকার জন্য জমি ও শাদীর জন্য পাত্রী দান করা হয়। এরপর তারা এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। তখন থেকেই এ ঢালী খান্দানের পয়দায়েশ। এছাড়াও ঢালীরা প্রভাবশালী হওয়ায় অনেকেই এ বংশ পদবী নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কথা বলে থাকেন যার বেশিরভাগই অযৌক্তিক। ঢালী বংশের লোকজন যে যুদ্ধের সাথে জড়িত ছিলেন তার প্রমাণ পাওয়া যায় যশোহর-খুলনার ইতিহাস - দ্বিতীয় খণ্ড-তে, "এই সকল ঢালী সৈন্য কোন বাধা বিপত্তি মানিত না, প্রাণপাত করিয়াও যুদ্ধ করিত। খান জাহান আলীর পদাতিক সৈন্যের মত ইহাদিগেরও কোদাল বা কুঠার অস্ত্রমধ্যে গণ্য হইত। উহারা জঙ্গল কাটিত, গড় কাটিত এবং খাল নালা বাঁধিয়া পুল প্রস্তুত করিয়া চলিত। ইহার যুদ্ধক্ষেত্রে যেমন অদম্য যোদ্ধা, তেমনি জঙ্গলে কাঠুরিয়া, জলে নৌকার দাড়ী এবং পথে কোড়াদারের কাজ করিত। প্রতাপের পতনের পর এই সকল সৈন্য ও তাহাদের কার্য-প্রণালী দেশমধ্যে ব্যাপ্ত হইয়া পড়িয়াছিল। এই ঢালী সৈন্য প্রতাপাদিত্যের এক প্রধান অবলম্বন এবং তাহার সৈন্য গঠন-প্রণালীর প্রথম ও প্রধান বিশেষত্ব।"
বাংলাদেশের নানা অঞ্চলে এখনো ঢালীদের প্রভাব দেখা যায় বিশেষ করে খুলনা সহ ঢাকার কিছু অঞ্চল এবং পশ্চিম জামালপুর ময়মনসিংহ ভালুকা গফরগাঁও বিক্রমপুর।
নামজাদা ঢালিয়ান
[সম্পাদনা]- ঢালী আল মামুন, শিল্পী
- হুমায়ূন কবীর ঢালী, শিশুসাহিত্যিক