এই নিবন্ধের প্রায় পুরোটাই একটি দৃশ্যপট। বিশ্বকোষীয় নিবন্ধের নীতিমালা মেনে এর পরিবর্ধন করা দরকার। অনুগ্রহ করে বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে নিবন্ধটি সম্পাদনা করুন।(নভেম্বর ২০২০)
এক বা একাধিক অবদানকারী উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে এই নিবন্ধের বিষয়বস্তু উল্লেখযোগ্যতার সাধারণ নির্দেশাবলী অনুসরণ করে নাই। যদি কোনও ব্যবহারকারী এই বিষয় সম্পর্কে জানেন, তাহলে দয়া করে এ নিবন্ধটির উল্লেখযোগ্যতা প্রতিষ্ঠার জন্য এটির সম্প্রসারণ সাধন করুন এবং বিশ্বস্ত সূত্র থেকে এর সত্যতা প্রমাণ করুন। যদি এই বিষয়টির উল্লেখযোগ্যতা প্রমাণিত না হয়, তাহলে এ নিবন্ধটি মুছে ফেলার নীতি অনুযায়ী মুছে ফেলার যোগ্য বলে বিবেচিত হবে অথবা একীকরণ করা হবে।(নভেম্বর ২০২০)
উপমহাদেশে ঢালী একটি অত্যন্ত অভিজাত বংশ। তবে এ বংশ হিন্দু ও মুসলিম উভয় ক্ষেত্রে ব্যবহার হতে দেখা যায়।কীভাবে ঢালী বংশের নামকরণ হয় তা নিশ্চিতভাবে জানা যায় না। তবে যতদূর জানা যায়, বহুকাল আগে ইরান থেকে এ ভারত উপমহাদেশে যুদ্ধের জন্য কোনো এক রাজার ফরমায়েশে কিছু সংখ্যক সৈন্য পাঠানো হয়, যারা ঢাল তলোয়ারের যুদ্ধে ঢাল নিয়ে যুদ্ধ মোকাবিলা করতে পারদর্শী ছিলো। এরপর এরা যখন ওই রাজার হয়ে যুদ্ধে জয়লাভ করে তখন তাদেরকে পুরস্কার স্বরুপ এ উপমহাদেশেই থাকার জন্য জমি ও বিবাহের জন্য পাত্রী দান করা হয়। এরপর তারা এখানে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। তখন থেকেই এ ঢালী পরিবারের জন্ম। এছাড়াও ঢালীরা প্রভাবশালী হওয়ায় অনেকেই এ বংশ পদবী নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কথা বলে থাকেন যার বেশিরভাগই অযৌক্তিক। ঢালী বংশের লোকজন যে যুদ্ধের সাথে জড়িত ছিলেন তার প্রমাণ পাওয়া যায় যশোহর-খুলনার ইতিহাস - দ্বিতীয় খণ্ড-তে, "এই সকল ঢালী সৈন্য কোন বাধা বিপত্তি মানিত না, প্রাণপাত করিয়াও যুদ্ধ করিত। খান জাহান আলীর পদাতিক সৈন্যের মত ইহাদিগেরও কোদাল বা কুঠার অস্ত্রমধ্যে গণ্য হইত। উহারা জঙ্গল কাটিত, গড় কাটিত এবং খাল নালা বাঁধিয়া পুল প্রস্তুত করিয়া চলিত। ইহার যুদ্ধক্ষেত্রে যেমন অদম্য যোদ্ধা, তেমনি জঙ্গলে কাঠুরিয়া, জলে নৌকার দাড়ী এবং পথে কোড়াদারের কাজ করিত। প্রতাপের পতনের পর এই সকল সৈন্য ও তাহাদের কার্য-প্রণালী দেশমধ্যে ব্যাপ্ত হইয়া পড়িয়াছিল। এই ঢালী সৈন্য প্রতাপাদিত্যের এক প্রধান অবলম্বন এবং তাহার সৈন্য গঠন-প্রণালীর প্রথম ও প্রধান বিশেষত্ব।"