টুয়েনসাং জেলা
টুয়েনসাং জেলা | |
---|---|
জেলা | |
নাগাল্যান্ড রাজ্যে টুয়েনসাং জেলার অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৬°১৪′ উত্তর ৯৪°৪৯′ পূর্ব / ২৬.২৩৩° উত্তর ৯৪.৮১৭° পূর্ব | |
রাজ্য | নাগাল্যান্ড |
দেশ | ভারত |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ১,৯৬,৮০১ |
সময় অঞ্চল | ভা.মা.স. (ইউটিসি+05:30) |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | IN-NL-TU |
ওয়েবসাইট | tuensang |
টুয়েনসাং জেলা ভারতের নাগাল্যান্ড রাজ্যের সর্ববৃহৎ জেলা৷ এই জেলার সদর শহর টুয়েনসাং৷ জেলাটি নাগাল্যান্ডের একেবারে পূর্বে ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে অবস্থিত৷
ইতিহাস
[সম্পাদনা]নাগাল্যান্ড রাজ্য গঠনের সময় মোককচাং জেলা ও কোহিমা জেলার সাথে টুয়েনসাং জেলাও গঠন করা হয়েছিল৷ পরবর্ত্তীকালে এই টুয়েনসাং জেলার থেকেই মন, লংলেং, নকলাক এবং সম্প্রতি কিফিরে জেলা পৃথক জেলা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।[১][২]
এই জেলার দুর্গম অবস্থানের প্রতি লক্ষ্য রেখে ভারতের সংবিধানে নাগাল্যান্ডের অন্য জেলার মতই জেলাটির প্রশাসনের জন্য এক বিশেষ অনুচ্ছেদ যোগ দেয়া হয়৷ এই অনুচ্ছেদ অনুসারে নাগা জনজাতীয় সংস্কৃতি ও ধর্মীয় রীতি সম্পর্কিত সংসদে গ্রহণ করা যেকোনো আইন নাগাল্যান্ড বিধানসভার সর্বসম্মতিক্রমে টুয়েনসাং জেলায় প্রযোজ্য হয়। নাগাল্যান্ডের রাজ্য সরকারে টুয়েনসাং জেলার জন্য একটি পৃথক মন্ত্রালয়ও গঠন করে দেয়া হয়েছে৷ রাজ্যপাল কর্তৃক এই অঞ্চল প্রশাসনের তত্ত্বাবধানের জন্য কাউন্সিল গঠন করা হয়েছিল।[৩]
ভৌগোলিক অবস্থান
[সম্পাদনা]জেলাটির পূর্ব সীমান্ত মিয়ানমারের সাথে আন্তর্জাতিক সীমা৷ উত্তর-পূর্বে মন জেলা, উত্তরে লংলেং জেলা, পশ্চিমে মোককচাং জেলা ও জুন্হেবোটো জেলা ও দক্ষিণে কিফিরে জেলা৷ এই জেলার প্রধান নদীসমূহ হল দিখু ও টিজু৷
অর্থনীতি
[সম্পাদনা]এই জেলাতে ২০০১ সালে লিখিমরো হাইড্রো প্রজেক্ট আরম্ভ করা হয়৷
২০০৬ সালে পঞ্চায়তী রাজ মন্ত্রালয় টুয়েনসাং জেলাকে ভারতের মোট ৬৪০ টি জেলার ভিতর অন্যতম অবহেলিত ২৫০ টি জেলার একটি বলে অভিহিত করে৷[৪] ভারত সরকার-এর পিছিয়ে পড়া অঞ্চল অনুদান তহবিল প্রোগ্রাম (বিআরজিএফ) থেকে পুঁজি লাভ করা নাগাল্যান্ডের তিনটি জেলার ভিতর টুয়েনসাং অন্যতম৷[৪]
জনসংখ্যা
[সম্পাদনা]২০১১ সালের লোকগণনা অনুসারে টুয়েনসাং জেলার মোট জনসংখ্যা ১৯৬,৮০১ জন৷[৫] জনসংখ্যার দিক থেকে ভারতের মোট ৬৪০ টি জেলার ভিতর এই জেলার স্থান ৫৯০৷[৫] টুয়েনসাং জেলার প্রতি ১০০০ জন পুরুষের বিপরীতে মহিলার সংখ্যা ৯৩০ জন৷[৫] এই জেলার সাক্ষরতার হার ৭৩.৭%৷[৫]
জেলাটির মূল অধিবাসীদের ভিতর চাং, চাংটাম, ইমচুংগার ইত্যাদি জনজাতির লোকই প্রধান৷[৬] তাছাড়া কিছুসংখ্যক আও ও চেমা জনজাতির লোকও এই জেলায় বাস করে৷ এই জেলার সংখ্যাগরিষ্ঠ লোক খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বী৷
ভাষা
[সম্পাদনা]- আংগামী-পশ্চুরী ভাষা
- চেমা ভাষা
- আও ভাষা
- চাংটাম ভাষা
- ইমচুংগার ভাষা
- কোনিয়াক ভাষা
- চাং ভাষা
- তিখির ভাষা
জৈববৈচিত্র্য
[সম্পাদনা]১৯৮৪ সালে টুয়েনসাং জেলার ৬.৪ বর্গ কিলোমিটারের একটি অঞ্চল ফাকিম বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য হিসাবে ঘোষণা করা হয়৷ অবশ্য পরবর্ত্তীকালে এই জেলাকে বিভক্ত করে কিফিরে জেলা প্রতিষ্ঠা করায় এই বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য কিফিরে জেলার অন্তর্ভুক্ত হয়৷[৭]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Nagaland: Know Your Districts - An overview -III - The Morung Express"। The Morung Express। ১৭ অক্টোবর ২০১৭। ২০ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০২০।
- ↑ "Noklak is Nagaland's youngest district"। Eastern Mirror। ২১ ডিসেম্বর ২০১৭। ২৪ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০২০।
- ↑ "Constitution of India"। ৩ জুলাই ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০২০।
- ↑ ক খ Ministry of Panchayati Raj (৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯)। "A Note on the Backward Regions Grant Fund Programme" (পিডিএফ)। National Institute of Rural Development। ৫ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১১।
- ↑ ক খ গ ঘ "District Census 2011"। Census2011.co.in। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০।
- ↑ "District Census Handbook, Tuensang" (পিডিএফ)। Census of India। ১৬ জুন ২০১৪। পৃষ্ঠা 9।
- ↑ Indian Ministry of Forests and Environment। "Protected areas: Nagaland"। ২৩ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১১।