টুয়েনসাং জেলা

স্থানাঙ্ক: ২৬°১৪′ উত্তর ৯৪°৪৯′ পূর্ব / ২৬.২৩৩° উত্তর ৯৪.৮১৭° পূর্ব / 26.233; 94.817
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
টুয়েনসাং জেলা
জেলা
Woman
জাতীয় পোশাকে টুয়েনসাং জেলার একটি মহিলা
নাগাল্যান্ড রাজ্যে টুয়েনসাং জেলার অবস্থান
নাগাল্যান্ড রাজ্যে টুয়েনসাং জেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৬°১৪′ উত্তর ৯৪°৪৯′ পূর্ব / ২৬.২৩৩° উত্তর ৯৪.৮১৭° পূর্ব / 26.233; 94.817
রাজ্যনাগাল্যান্ড
দেশ ভারত
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট১,৯৬,৮০১
সময় অঞ্চলভা.মা.স. (ইউটিসি+05:30)
আইএসও ৩১৬৬ কোডIN-NL-TU
ওয়েবসাইটtuensang.nic.in

টুয়েনসাং জেলা ভারতের নাগাল্যান্ড রাজ্যের সর্ববৃহৎ জেলা৷ এই জেলার সদর শহর টুয়েনসাং৷ জেলাটি নাগাল্যান্ডের একেবারে পূর্বে ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে অবস্থিত৷

ইতিহাস[সম্পাদনা]

নাগাল্যান্ড রাজ্য গঠনের সময় মোককচাং জেলাকোহিমা জেলার সাথে টুয়েনসাং জেলাও গঠন করা হয়েছিল৷ পরবর্ত্তীকালে এই টুয়েনসাং জেলার থেকেই মন, লংলেং, নকলাক এবং সম্প্রতি কিফিরে জেলা পৃথক জেলা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।[১][২]

এই জেলার দুর্গম অবস্থানের প্রতি লক্ষ্য রেখে ভারতের সংবিধানে নাগাল্যান্ডের অন্য জেলার মতই জেলাটির প্রশাসনের জন্য এক বিশেষ অনুচ্ছেদ যোগ দেয়া হয়৷ এই অনুচ্ছেদ অনুসারে নাগা জনজাতীয় সংস্কৃতি ও ধর্মীয় রীতি সম্পর্কিত সংসদে গ্রহণ করা যেকোনো আইন নাগাল্যান্ড বিধানসভার সর্বসম্মতিক্রমে টুয়েনসাং জেলায় প্রযোজ্য হয়। নাগাল্যান্ডের রাজ্য সরকারে টুয়েনসাং জেলার জন্য একটি পৃথক মন্ত্রালয়ও গঠন করে দেয়া হয়েছে৷ রাজ্যপাল কর্তৃক এই অঞ্চল প্রশাসনের তত্ত্বাবধানের জন্য কাউন্সিল গঠন করা হয়েছিল।[৩]

ভৌগোলিক অবস্থান[সম্পাদনা]

জেলাটির পূর্ব সীমান্ত মিয়ানমারের সাথে আন্তর্জাতিক সীমা৷ উত্তর-পূর্বে মন জেলা, উত্তরে লংলেং জেলা, পশ্চিমে মোককচাং জেলাজুন্হেবোটো জেলা ও দক্ষিণে কিফিরে জেলা৷ এই জেলার প্রধান নদীসমূহ হল দিখু ও টিজু৷

অর্থনীতি[সম্পাদনা]

এই জেলাতে ২০০১ সালে লিখিমরো হাইড্রো প্রজেক্ট আরম্ভ করা হয়৷

২০০৬ সালে পঞ্চায়তী রাজ মন্ত্রালয় টুয়েনসাং জেলাকে ভারতের মোট ৬৪০ টি জেলার ভিতর অন্যতম অবহেলিত ২৫০ টি জেলার একটি বলে অভিহিত করে৷[৪] ভারত সরকার-এর পিছিয়ে পড়া অঞ্চল অনুদান তহবিল প্রোগ্রাম (বিআরজিএফ) থেকে পুঁজি লাভ করা নাগাল্যান্ডের তিনটি জেলার ভিতর টুয়েনসাং অন্যতম৷[৪]

জনসংখ্যা[সম্পাদনা]

২০১১ সালের লোকগণনা অনুসারে টুয়েনসাং জেলার মোট জনসংখ্যা ১৯৬,৮০১ জন৷[৫] জনসংখ্যার দিক থেকে ভারতের মোট ৬৪০ টি জেলার ভিতর এই জেলার স্থান ৫৯০৷[৫] টুয়েনসাং জেলার প্রতি ১০০০ জন পুরুষের বিপরীতে মহিলার সংখ্যা ৯৩০ জন৷[৫] এই জেলার সাক্ষরতার হার ৭৩.৭%৷[৫]

জেলাটির মূল অধিবাসীদের ভিতর চাং, চাংটাম, ইমচুংগার ইত্যাদি জনজাতির লোকই প্রধান৷[৬] তাছাড়া কিছুসংখ্যক আও ও চেমা জনজাতির লোকও এই জেলায় বাস করে৷ এই জেলার সংখ্যাগরিষ্ঠ লোক খ্রীষ্টান ধর্মাবলম্বী৷

ভাষা[সম্পাদনা]

  • আংগামী-পশ্চুরী ভাষা
  • চেমা ভাষা
  • আও ভাষা
  • চাংটাম ভাষা
  • ইমচুংগার ভাষা
  • কোনিয়াক ভাষা
  • চাং ভাষা
  • তিখির ভাষা

জৈববৈচিত্র্য[সম্পাদনা]

১৯৮৪ সালে টুয়েনসাং জেলার ৬.৪ বর্গ কিলোমিটারের একটি অঞ্চল ফাকিম বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য হিসাবে ঘোষণা করা হয়৷ অবশ্য পরবর্ত্তীকালে এই জেলাকে বিভক্ত করে কিফিরে জেলা প্রতিষ্ঠা করায় এই বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য কিফিরে জেলার অন্তর্ভুক্ত হয়৷[৭]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Nagaland: Know Your Districts - An overview -III - The Morung Express"The Morung Express। ১৭ অক্টোবর ২০১৭। ২০ মে ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০২০ 
  2. "Noklak is Nagaland's youngest district"Eastern Mirror। ২১ ডিসেম্বর ২০১৭। ২৪ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০২০ 
  3. "Constitution of India"। ৩ জুলাই ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জানুয়ারি ২০২০ 
  4. Ministry of Panchayati Raj (৮ সেপ্টেম্বর ২০০৯)। "A Note on the Backward Regions Grant Fund Programme" (পিডিএফ)। National Institute of Rural Development। ৫ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ 
  5. "District Census 2011"। Census2011.co.in। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০ 
  6. "District Census Handbook, Tuensang" (পিডিএফ)। Census of India। ১৬ জুন ২০১৪। পৃষ্ঠা 9। 
  7. Indian Ministry of Forests and Environment। "Protected areas: Nagaland"। ২৩ আগস্ট ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১১ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:নাগাল্যান্ড