জেরুসালেম ইসলামি ওয়াকফ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

জেরুসালেম ইসলামি ওয়াকফ হলো একটি ইসলাম ভিত্তিক ধর্মীয় ট্রাস্ট[সন্দেহপূর্ণ ] (মাঝেমধ্যে "ইসলামি ধর্মীয় বৃত্তিদান" প্রতিষ্ঠান বলা হয়) যা পুরনো জেরুসালেমের হারাম আল-শরিফ এবং এর আশেপাশে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদ, কুব্বাত আস-সাখরা সহ ইসলামি ভবনগুলো নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত।[১] ১১৮৭ সালে সালাউদ্দিনের জেরুসালেম জয়ের পর থেকে বিভিন্ন ওয়াকফ হারাম আল-শরিফ নিয়ন্ত্রণ করে এসেছে। বর্তমান ওয়াকফটি জর্ডানের হাশেমিয় সাম্রাজ্য কর্তৃক ১৯৪৮ সালের অভিযানসহ পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুসালেম নিয়ন্ত্রণ প্রাপ্তির পর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।[২] বর্তমানে জর্ডানের রাজা ওয়াকফের জন্য অর্থ অনুদান করে থাকেন যা ওয়াকফের প্রশাসনে প্রভাব ফেলেছে।[১][সন্দেহপূর্ণ ]

১৯৬৭ সালের জুন মাসে ছয় দিনের যুদ্ধে ইসরায়েল জেরুসালেমের পুরনো শহরের নিয়ন্ত্রণ পেতে সক্ষম হয়। যুদ্ধ শেষে ইসরায়েল সরকার ওয়াকফের হাতে হারাম আল-শরিফ (টেম্পল মাউন্ট) এর নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দেয়।[৩]

এই ওয়াকফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (বা কখনো "প্রধান পরিচালক") এর হাতে থাকে যিনি পবিত্র ভূমির বেসামরিক প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ করেন।[১][৪] জেরুসালেমের প্রধান মুফতি এই ওয়াকফের ধর্মীয় দিক নিয়ন্ত্রণ করেন। উচ্চ মুসলিম পরিষদ ইসরায়েলের ইসলামিক প্রতিষ্ঠানগুলো ধর্মীয় আইনের ভিত্তিতে পরিচালনা করে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের একই বিষয়ক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলো জেরুসালেমে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানগুলোর ন্যায় কাজ করে (যেমন ইসলামি ওয়াকফ মন্ত্রণালয়[৫] ফিলিস্তিনি প্রধান মুফতি, কিংবা ফিলিস্তিনি উচ্চ ফতোয়া পরিষদ[৬]), এবং এসকল প্রতিষ্ঠানকে ইসরায়েল ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে বিভ্রান্ত করা যাবেনা এমনকি কিছু ব্যক্তি দুটো দেশের প্রতিষ্ঠানে কাজ করে থাকলেও। যদিও ২০১৩ সালে মাহমুদ আব্বাস নেতৃত্বাধীন ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ এবং রাজা দ্বিতীয় আব্দুল্লাহ শাসনকৃত জর্ডানের মধ্যকার একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয় যেখানে জেরুজালেমের পবিত্র স্থানগুলো ব্যবস্থাপনায় জর্ডানকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।[৭] এই চুক্তিপত্রটি একাধিক দশক-স্থায়ী মৌখিক চুক্তিকে প্রতিস্থাপন করে।[৭]

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Arab states neglect Al-Aqsa says head of Jerusalem Waqf"আল-মনিটর। ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০১৬ 
  2. Sachar, Howard M. (২০১৩)। A History of Israel: From the Rise of Zionism to Our Time (২য় সংস্করণ)। নোফ ডাবলডে পাবলিশিং গ্রুপ। আইএসবিএন 978-0-8041-5049-1। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৩-২০ 
  3. "Behind the Headlines: Jerusalem's Temple Mount"ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ১৭ নভেম্বর ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০১৬ 
  4. Reiter, Yitzhak (১৯৯৬)। Islamic Endowments in Jerusalem Under British Mandate (১ম সংস্করণ)। রুটলেজ। পৃষ্ঠা 272। আইএসবিএন 0714643424। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০১৬ 
  5. "The Ministry of Islamic Waqf at the Palestinian Authority"The Council of the Religious Institutions of the Holy Land। ২৯ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০১৬ 
  6. "PA Mufti and Islamic council: Israel plans to Judaize Jerusalem and Al-Aqsa Mosque"প্যালেস্টাইন মিডিয়া ওয়াচAl-Hayat al-Jadida। সংগ্রহের তারিখ ৫ এপ্রিল ২০১৬ 
  7. "Jerusalem deal boosts Jordan in Holy City: analysts" দ্য ডেইলি স্টার। Lebanon। AFP। ২ এপ্রিল ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৮ এপ্রিল ২০২১