জাদু ও ধর্ম

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(জাদু এবং ধর্ম থেকে পুনর্নির্দেশিত)

বিভিন্ন রকম জাদু সংক্রান্ত চিন্তা হচ্ছে একটি সাংস্কৃতিক সর্বজনীনতা, এবং এটি ধর্মের একটি বিশেষ দিক। সমাজে প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মই থাকুক, অথবা অধিক মাত্রায় সামান্যীকৃত সর্বপ্রাণবাদ বা শামানবাদই থাকুক, সব সমাজেই জাদুর অস্তিত্ব রয়েছে। পাশ্চাত্য একেশ্বরবাদের বিকাশের সাথে সাথে ধর্ম ও জাদু একে অপরের থেকে ধারণাগতভাবে পৃথক হয়ে গেছে, যেখানে মূলধারার ধর্মমতগুলোর দ্বারা অনুমোদিত অতিপ্রাকৃতিক ঘটনা (যেমন মিরাকল বা অলৌকিক ঘটনা) এবং লোক-বিশ্বাস বা গূঢ় বা অকাল্ট ভাবনাচিন্তার মধ্যে প্রোথিত জাদুর মধ্যে পার্থক্যের সৃষ্টি হয়। প্রাক-একেশ্বরবাদী ঐতিহ্যে, ধর্মীয় আচার ও জাদুর মধ্যে কোন মৌলিক পার্থক্য ছিল না। জাদুর সাথে সম্পর্কিত রক্ষাকারী দেবতাদেরকে (ইষ্ট-দেবতা, কূলদেবতা, গ্রামদেবতা, নগরদেবতা) কখনও কখনও দুর্বোধ্য দেবতা (হারমেটিক ডেইটি)বা স্পিরিট গাইড বলা হত।

প্রাগৈতিহাসিককালে জাদুর চর্চা[সম্পাদনা]

নৃতাত্ত্বিক ও মনস্তাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গি[সম্পাদনা]

আধুনিক নৃতত্ত্বে, অন্তত ১৯৩০ এর দশক থেকে এটি একটি স্বীকার্য যে, ধর্ম ও জাদুর মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ অবিচ্ছেদ্যতা রয়েছে।[১][২]

ধর্ম ও জাদুর মধ্যে ক্রিয়াগত পার্থক্য[সম্পাদনা]

মারসেল মসহেনরি হিউবার্ট এর দেয়া জাদুর প্রাথমিক সমাজতাত্ত্বিক ব্যাখ্যায় যেসব সামাজিক অবস্থায় জাদুর প্রপঞ্চের বিকাশ সাধিত হতে পারে সেসব ক্ষেত্রে জোড় দেয়া হয়।[৩] তাদের মতে, ধর্ম হচ্ছে একটি সামাজিক কাঠামোর প্রকাশ, এবং এটি একটি সম্প্রদায়ের সংশক্তি রক্ষায় ভূমিকা রাখে, তাই ধর্ম হচ্ছে পাবলিক বা সর্বজনীন। অন্যদিকে জাদু হচ্ছে একটি ব্যক্তিস্বাতন্ত্রী ক্রিয়া, আর তাই এটি প্রাইভেট বা ব্যক্তিগত।[৩]

জাদু নিয়ে প্রথম বস্তুগতভাবে পূর্ণাঙ্গ পরিসরে লেখার কৃতিত্ব দেয়া হয় ইংরেজ প্রত্নতাত্ত্বিক রালফ মেরিফিল্ডকে[৪] তিনি ধর্ম ও জাদুর মধ্যকার পার্থক্যকে সংজ্ঞায়িত করে বলেন, "ধর্ম দ্বারা কোন অতিপ্রাকৃতিক বা আধ্যাত্মিক সত্তায় বিশ্বাস করাকে বোঝায়; জাদু বলতে বোঝায় গূঢ় শক্তিকে নিজের নিয়ন্ত্রণে আনা এবং এর মাধ্যমে বিভিন্ন ঘটনাকে প্রভাবিত করার জন্য চর্চিত আচারকে; নিয়মসিদ্ধ বা বিহিত 'আচারসমূহ' ধর্মীয় হতে পারে যদি এটি অতিপ্রাকৃতিক শক্তিকে সন্তুষ্ট করার জন্য বা তার আনুকূল্য লাভের জন্য করা হয়। কিন্তু সেই আচারসমূহ জাদু সংক্রান্ত হবে যদি সেগুলো পালন করা হয় সহানুভূতির অব্যক্তিবাচক শক্তির জন্য বা অতিপ্রাকৃতিক সত্তাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য, যার উদ্দেশ্য হচ্ছে একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠানকে পুনরায় শক্তিশালী করা বা সামাজিক সম্পর্ক বা গতিবিধির সুযোগ সৃষ্টি করা।"[৫]

১৯৯১ সালে হেংক ভারস্নেল বলেন, ধর্ম ও জাদুর ভিন্ন উপায়ে কাজ করে, এবং মোটামুটি চারটি ক্ষেত্রে এই দুটোর মধ্যে পার্থক্য দেখানো যায়: উদ্দেশ্য - জাদুর উদ্দেশ্য হল কোন এক ব্যক্তির স্পষ্ট ও দ্রুত কোন কিছু লাভের জন্য, অন্যদিকে ধর্ম হল তুলনামূলকভাবে কম উদ্দেশ্যমূলক, আর এটি দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যের দিকে দৃষ্টিপাত করে; মনোভাব - জাদু হচ্ছে প্রভাব স্রৃষ্টিকারী, কারণ এখানে পুরো প্রক্রিয়াটি থাকে ব্যবহারকারীর হাতে, যাকে 'যান্ত্রিক বলপূর্বক প্রভাব সৃষ্টিকরণ" বা ইনস্ট্রুমেন্টাল কোয়ের্সিভ ম্যানিপুলেশন বলা যায়, অন্যদিকে ধর্মীয় মনোভাব হল "ব্যক্তিগত এবং অনুরোধমূলক চুক্তি"; ক্রিয়া - জাদু একটি বিশেষ বা টেকনিকাল চর্চা যেখানে একটি কার্য সম্পাদন করার জন্য পেশাদারী দক্ষতার দরকার হয়, অন্যদিকে ধর্ম এসবের উপর নির্ভর করে না, বরং নির্ভর করে ঈশ্বরের বা ঈশ্বরদের ইচ্ছা ও অনুভূতির দ্বারা; সামাজিক - জাদুর লক্ষ্য সমাজের স্বার্থ্যের বিরুদ্ধে যায় (এক্ষেত্রে কোন বিশেষ ব্যক্তির কোন কিছু অর্জন তাকে সমাজের অন্যদের তুলনায় অন্যায্য সুবিধা দান করে), অন্যদিকে ধর্মের তুলনামূলকভাবে অধিক হিতৈষী ও ইতিবাচক সামাজিক ভূমিকা থাকে।[৬]

"ধর্ম" ও "জাদু" শব্দদুটোর পৃথকীকরণের কার্যকারিতা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। এটাও বলা হয়েছে যে, "অতিপ্রাকৃতিক সত্তায় বিশ্বাস" নিয়ে আলোচনার জন্য "জাদু" শব্দটি পরিহার করা হলে সম্পর্কিত আচার চর্চাসমূহকে আরও ভালভাবে বোঝা যাবে।[৭] এদিকে, "ধর্ম" শব্দটির পাশাপাশি "জাদু" শব্দটির ব্যবহার হচ্ছে অতিপ্রাকৃতিক জগৎকে বুঝবার প্রচেষ্টার একটি পদ্ধতি, যদি এগুলোর বদলে অন্য কোন শব্দ আনা হয় তাহলেও।[৬]

ধর্মচর্চা ও জাদু[সম্পাদনা]

জাদু ও ধর্ম উভয়েরই আচার-অনুষ্ঠান রয়েছে।[৫] বেশিরভাগ সংস্কৃতিতেই বর্তমানে বা অতীতে কোন না কোন আকারের জাদু সংক্রান্ত ঐতিহ্য দেখা যায় যা আত্মার শামানবাদী আন্তঃসম্পর্ককে স্বীকার করে। হতে পারে কোন সংস্কৃতিতে জাদু বহুকাল আগে একটি লোক-ঐতিহ্য হিসেবে টিকেছিল যা ইহুদিধর্ম, খ্রিস্টধর্ম, ইসলাম বা বৌদ্ধধর্মের মত একটি প্রধান বৈশ্বিক ধর্মের প্রতিষ্ঠার ফলে মরে গেছে, অথবা এটি এখনও সেই বৈশ্বিক ধর্মের সাথে সহাবস্থান করছে।[৮] কপ্টিক খ্রিস্টান বা কিবতিরা প্রথম থেকে দ্বাদশ শতক পর্যন্ত জাদু সংক্রান্ত মন্ত্র বা স্পেল রচনা করেছে।[৯]

ঈশ্বরদের নাম[সম্পাদনা]

সত্য নাম বা ট্রু নেইম (যে নাম সত্তার আসল প্রকৃতির সাথে অভিন্ন) এর শক্তি নিয়ে একটি দীর্ঘ দিনের প্রতিষ্ঠিত বিশ্বাস রয়েছে, যা প্রায় সময়ই এসেছে এই জাদু সংক্রান্ত বিশ্বাস থেকে যে, কোন সত্য নাম জানলে তার উপর নিয়ন্ত্রণ অর্জন করা যায়, অর্থাৎ তাকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা অর্জন করা যায়।[১০]

যদি নামের মধ্যে ক্ষমতা থাকে, তাহলে ঈশ্বরের নাম জানার অর্থ হবে সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী হওয়া। এই বিশ্বাসটি গতানুগতিক উইক্কা ধর্মে দেখা যায় যেখানে উইক্কা ধর্মের প্রধান দুজন দেবতা - দেবী ও শিংযুক্ত দেবতার নাম গোপন রাখা হয় এবং কেবল অদ্যাক্ষরই প্রকাশ করা হয়। এই বিশ্বাসটি প্রাচীন ইহুদিধর্মেও দেখা যায়, যেখানে তানাখে ঈশ্বরকে বোঝানোর জন্য টেট্রাগ্রামাটন (YHWH, যার দ্বারা সাধারণত "প্রভূ" বোঝানো হয়, এই অদ্যাক্ষরের উচ্চারণ থেকেই পরে ইয়াহওয়ে ও জেহোভা শব্দ দুটি এসেছে) এর ব্যবহার করা হয়। একই বিশ্বাস দেখা যায় হিন্দুধর্মেও, কিন্তু সেখানে সিদ্ধান্তটা ভিন্ন। হিন্দুধর্মে মোক্ষলাভ করা বা ঈশ্বরের ক্ষমতা লাভ করাকে ভাল হিসেবে দেখা হয়, তাই হিন্দুরা প্রায়ই যতবার সম্ভব তাদের পছন্দের দেবতা বা ইষ্ট দেবতার নাম জপ করে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কৃষ্ণের নাম জপ করা হয়।[১১]

জাদু ও আব্রাহামিক ধর্মসমূহ[সম্পাদনা]

জাদুর সাথে আব্রাহামিক ধর্মগুলোর সম্পর্ক একরকম সুখ-দুঃখের মিশ্রণ বলা যায়। বাইবেলের কিং জেমস সংস্করণে একটি বিখ্যাত অনুবাদ অন্তর্ভূক্ত করা হয় - "Thou shalt not suffer a witch to live" (এক্সোডাস ২২:১৮),[১২] অর্থাৎ কোন উইচ বা ডাইনিকে (যেসব নারী জাদুর চর্চা করে) বাঁচতে দিও না। আর সেখানে বলা হয়েছে, কোন রাজা সাউল কোন ডিভাইনার বা ভবিষ্যৎ কথকের কাছে উপদেশ চাইতে গেলে তাকে ঈশ্বর তীব্র তীরস্কার করেছেন, কেননা ভবিষ্যৎ কথক আত্মা (Spirit) এর সাথে যোগাযোগ করতে পারে। আবার অন্যদিকে, বাইবেলের অনেক জায়গায় জাদুসংস্ক্রান্ত চিহ্নের অস্তিত্ব আছে: যেমন, ফারাও এর জাদুকর বা সরসারারদের দণ্ড আর মোজেস এর দণ্ড উভয়ই জাদুর চিহ্ন, এবং অ্যারন সাপে পরিণত হতে পারত (এক্সোডাস ৭:৮-১৩)। কিন্তু, স্কট নোয়েগেল বলেছেন, ফারাও এর জাদুকরদের জাদু ও মোজেস এর অ-জাদুর মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে কোন উপায়ে লাঠিটি সাপে পরিণত হচ্ছে সেটায়। ফারাও এর জাদুকরদের কাছে সেটা ছিল "তাদের গোপন কলা"-কে কাজে লাগানো, আর মোজেসের কাছে তা নিছকই তার লাঠিকে সাপে পরিণত করা। একজন প্রাচীন মিশরীয়র কাছে, এর পার্থক্য এখানেই যে, মোজেস এখানে না কোন গোপন কলা ব্যবহার করেছেন, না কোন জাদুর মন্ত্র ব্যবহার করেছেন। নোয়েগেল বলেন, তোরায় জেহোভার কাজ করার জন্য কোন জাদু সংক্রান্ত আচারের দরকার হয়না।[১৩]

"উইচ" এবং "উইচক্রাফট" শব্দ দুটি বাইবেলের কিছু ইংরেজি সংস্করণে উঠে এসেছে। একটি চরণ যা সন্দেহভাজন ডাইনীদের মৃত্যুর জন্য দায়ী ছিল তা নেয়া হয়েছে হিব্রু গ্রন্থ এর এক্সোডাস ২২:১৮ থেকে। কিং জেমস সংস্করণে একে বলা হয়: "Thou shalt not suffer a witch to live." এখানে হিব্রু শব্দ mechshepha (মূল kashaph) - কে অনুবাদ করা হয় "ডাইনি" বা "উইচ" হিসেবে, অন্যান্য আধুনিক সংস্করণে একে লেখা হয়ে "সরসারেস" বা নারী জাদুকর। সেপ্টুয়াজিন্ট বা গ্রীক ওল্ড টেস্টামেন্টে একে অনুবাদ করে লেখা হয়েছে "pharmakeia", যার অর্থ ফারমাসি বা ভেষজালয়। রেজিনাল স্কট ষোড়শ শতকে দাবি করেন, "উইচ" শব্দটি ভুল অনুবাদ ছিল, আর এই শব্দ দ্বারা বোঝানো হয়েছিল "পয়জনার" বা বিষদাতা।[১৪]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Cassirer, Ernst (1944) An Essay On Man[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], pt.II, ch.7 Myth and Religion, pp.122-3. Quotation:

    It seems to be one of the postulates of modern anthropology that there is complete continuity between magic and religion. [note 35: See, for instance, RR Marett, Faith, Hope, and Charity in Primitive Religion, the Gifford Lectures (Macmillan, 1932), Lecture II, pp. 21 ff.] ... We have no empirical evidence at all that there ever was an age of magic that has been followed and superseded by an age of religion.

  2. Robert Ranulph Marett (1932) Faith, Hope and Charity in Primitive Religion ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৯ নভেম্বর ২০১১ তারিখে, in Gifford Lectures. Lecture II Hope. Quotation:

    In conclusion, a word must be said on a rather trite subject. Many leading anthropologists, including the author of The Golden Bough, would wholly or in the main refuse the title of religion to these almost inarticulate ceremonies of very humble folk. I am afraid, however, that I cannot follow them. Nay, I would not leave out a whole continent from a survey of the religions of mankind in order to humour the most distinguished of my friends. Now clearly if these observances are not to be regarded as religious, like a wedding in church, so neither can they be classed as civil, like its drab equivalent at a registry office. They are mysteries, and are therefore at least generically akin to religion. Moreover, they are held in the highest public esteem as of infinite worth whether in themselves or for their effects. To label them, then, with the opprobrious name of magic as if they were on a par with the mummeries that enable certain knaves to batten on the nerves of fools is quite unscientific; for it mixes up two things which the student of human culture must keep rigidly apart, namely, a normal development of the social life and one of its morbid by-products. Hence for me they belong to religion, but of course to rudimentary religion—to an early phase of the same world-wide institution that we know by that name among ourselves. I am bound to postulate the strictest continuity between these stages of what I have here undertaken to interpret as a natural growth.

  3. Pasi, M. 2006. "Magic". in von Stuckrad, K. (ed.) The Brill Dictionary of Ancient Religion. Volume III. M-R. Leiden and Boston, Brill. 1134-1140.
  4. Houlbrook, C. and Armitage, N. 'Introduction: The materiality of the materiality of magic', in Houlbrook, C. and Armitage, N. (eds.) The Materiality of Magic: An artefactual investigation into ritual practices and popular beliefs.Oxford and Philadelphia, Oxbow Books. 1-13.
  5. Merrifield, R. 1987. The Archaeology of Ritual and Magic. London, Guild Publishing.
  6. Versnel, H. S. 1991. “Some Reflections on the Relationship Magic-Religion.” Numen 38 (2). 177-195.
  7. Otto, B-C. 2013. "Towards Historicizing 'Magic' in Antiquity", Numen 60. 308-347.
  8. "Magic and Religion"। ২০১৪-০৭-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১১ 
  9. Meyer, Marvin W. (১৯৯৯)। Ancient Christian Magic Coptic Texts of Ritual Powerবিনামূল্যে নিবন্ধন প্রয়োজনআইএসবিএন 9780691004587 
  10. Fischer, Ernst (১৯৮১)। The Necessity of Art: A Marxist Approach। New York, NY: Penguin Books। পৃষ্ঠা 31। 
  11. Gonick, LarryThe Cartoon History of the Universe। Doubleday। 
  12. King James Version of the Bible। ১৬১১। 
  13. http://faculty.washington.edu/snoegel/PDFs/articles/Noegel%2019%20-%20JANES%201996.pdf
  14. Scot, Reginald (c. 1580) The Discoverie of Witchcraft Booke VI Ch. 1.

আরও পড়ুন[সম্পাদনা]

  • Versluis, Arthur (1986). The Philosophy of Magic. Routledge & Megan Paul.

টেমপ্লেট:Paganism