বিষয়বস্তুতে চলুন

জাতীয় শোক দিবস (বাংলাদেশ)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জাতীয় শোক দিবস
বঙ্গবন্ধু স্মৃতিস্তম্ভ, ধানমন্ডি, ঢাকা
অন্য নামশোক দিবস
তাৎপর্যবাংলাদেশস্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার স্মরণ
তারিখ১৫ আগস্ট
প্রথম বার১৫ আগস্ট ১৯৭৬ (বেসরকারিভাবে)

জাতীয় শোক দিবস বাংলাদেশে পালিত একটি জাতীয় দিবস। প্রতিবছর ১৫ আগস্ট দিবসটি পালিত হয়। আওয়ামী লীগের সরকার দিবসটিকে জাতীয় ও রাষ্ট্রীয়ভাবে শোকের সাথে পালন করে থাকে।[] এ দিবসে কালো পতাকা উত্তোলন ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তারিখে বাংলাদেশস্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে এ দিবসের উৎপত্তি। সর্বশেষ ২০২৪ সালে অন্তর্বর্তী সরকার এই দিনের সাধারণ ছুটি বাতিল ঘোষণা করে।[][]

ইতিহাস

­­­১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের নিজ বাসায় সেনাবাহিনীর কতিপয় বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে সপরিবারে নিহত হন। সেদিন তিনি ছাড়াও নিহত হন তার স্ত্রী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব। এছাড়াও তাদের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনসহ নিহত হন আরো ১৬ জন।

১৫ আগস্ট নিহত হন মুজিব পরিবারের সদস্যবৃন্দ: ছেলে শেখ কামালশেখ জামাল ও শিশু পুত্র শেখ রাসেল; পুত্রবধু সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল; ভাই শেখ আবু নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগনে শেখ ফজলুল হক মণি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মণি। বঙ্গবন্ধুর জীবন বাঁচাতে ছুটে আসেন কর্নেল জামিলউদ্দীন, তিনিও তখন নিহত হন। দেশের বাইরে থাকায় বেঁচে যান শেখ হাসিনা ও তার ছোটবোন শেখ রেহানা

প্রতি বছর ১৫ আগস্ট জাতি গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় স্মরণ করে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকল সদস্যদের, পালিত হয় জাতীয় শোক দিবস।

২০২৪ সালের ১৩ অগাস্ট অন্তর্বর্তী সরকার এই দিনের সাধারণ ছুটি বাতিল ঘোষণা করেছে।[][]

কর্মসূচি

এই দিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবনসহ বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোয় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। বিশেষ মুনাজাত ও কোরআন তিলাওয়াত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী সকালে ধানমন্ডিতে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর বনানীতে ১৫ আগস্ট নিহত শহীদদের কবরে শ্রদ্ধা জানানো হয়। টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। এ সময় ফাতিহা পাঠ ও সশস্ত্র বাহিনীর গার্ড অব অনার প্রদানসহ বিশেষ মুনাজাত ও দোয়া মাহফিল হয়। বাদ জোহর সারা দেশে মসজিদ, মন্দির, গির্জাসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বিশেষ মুনাজাত ও প্রার্থনা করা হয়। বেতার ও টেলিভিশন শোক দিবসের অনুষ্ঠানমালা সরাসরি সম্প্রচার করে। সংবাদপত্রগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে।সারাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।[]

তথ্যসূত্র

  1. "জাতীয় শোক দিবস আজ"বাংলা ট্রিবিউন। ১৫ আগস্ট ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০২১ 
  2. প্রতিবেদক, বিশেষ (১৩ আগস্ট ২০২৪)। "জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঘোষিত ১৫ আগস্টের ছুটি বাতিল"প্রথম আলো। Archived from the original on ১৩ আগস্ট ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১৩ আগস্ট ২০২৪ 
  3. "১৫ আগস্টের সাধারণ ছুটি বাতিল"কালের কণ্ঠ। আগস্ট ২০২৪। 
  4. "১৫ আগস্টের ছুটি বাতিল"Bangla Tribune। ১৩ অগাস্ট ২০২৪। 
  5. "বাতিল হলো ১৫ আগস্টের সরকারি ছুটি"ঢাকা ট্রিবিউন। ১৩ অগাস্ট ২০২৪। 
  6. "আজ জাতীয় শোক দিবস"বাংলাদেশ প্রতিদিন। ১৫ আগস্ট ২০২১। ১৫ আগস্ট ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ আগস্ট ২০২১