জলবায়ু পরিবর্তনজনিত আক্রান্তপ্রবণতা নির্ধারণ
এই নিবন্ধটি অন্য একটি ভাষা থেকে আনাড়িভাবে অনুবাদ করা হয়েছে। এটি কোনও কম্পিউটার কর্তৃক অথবা দ্বিভাষিক দক্ষতাহীন কোনো অনুবাদক কর্তৃক অনূদিত হয়ে থাকতে পারে। |
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত আক্রান্তপ্রবণতা নির্ধারণ (সিভিএম) হলো মূল আন্তর্জাতিক কর্তৃপক্ষের প্যানেলগুলি একত্রিত করে বিশ্বের জনসংখ্যার উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কে একটি স্বতন্ত্র বৈশ্বিক মূল্যায়ন।
নির্ধারণটি ২০১০ সালের ডিসেম্বরে লন্ডন এবং ক্যানকানে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত জাতিসংঘের ক্যানকান শীর্ষ সম্মেলন (কপ ১৬) এর জন্য চালু করা হয়েছিল।
ডারা এবং জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত ফোরাম দ্বারা বিকাশিত, এই প্রতিবেদনটি বিভিন্ন জাতির মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনের বিভিন্ন প্রভাবের বৈশ্বিক দুর্বলতার মূল্যায়ন করার জন্য একটি নতুন হাতিয়ার হিসাবে কাজ করবে।[১]
এই প্রভাব সমূহ হ্রাসকারী মূল পদক্ষেপের দিকে ইঙ্গিত করে, আজ এবং অদূর ভবিষ্যতে জনগণ কীভাবে এবং কোথায় জলবায়ু পরিবর্তনের দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে তার স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য প্রতিবেদনটি শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞান এবং গবেষণাকে বিচ্ছুরিত করেছে।[২]
ডারা এবং জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত ফোরাম জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ততা নির্ধারণের ২য় সংস্করণ ২০১২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর এশিয়া সোসাইটি, নিউ ইয়র্কে চালু করেছে।[৩]
উদ্দেশ্য
[সম্পাদনা]প্রতিটি দেশ কীভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ঝুঁকির মুখোমুখি হয় (স্বাস্থ্যের কারণে, চরম আবহাওয়ার নিদর্শন, অর্থনৈতিক কারণগুলি, মরুভূমির প্রসারিত হওয়া বা সমুদ্রের স্তর বাড়ার ফলে জমির ক্ষতি) জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ততা নির্ধারণ তা দেখানোর চেষ্টা করে। এটি ৫০টিরও বেশি পদক্ষেপ তালিকাবদ্ধ করে এবং কর্তৃপক্ষ দাবী করেন যে, এই পদক্ষেপগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে কার্যত সমস্ত ক্ষয়ক্ষতি সীমাবদ্ধ করতে সহজেই উপলব্ধ।
পন্থা
[সম্পাদনা]জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ততা নির্ধারণ বিশ্ব এবং তার অঞ্চলসমূহ, দেশ এবং সম্প্রদায়ের জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ততা মূল্যায়ন করার জন্য একটি নতুন পদ্ধতি গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে। নির্ধারণটি জলবায়ু পরিবর্তনের দ্বারা প্রভাবিত সমাজের পূর্ব-বিদ্যমান বৈশিষ্ট্যগুলি দেখে থাকে এবং জলবায়ুতে প্রকৃত অথবা অভিক্ষিপ্ত পরিবর্তনের প্রভাব দ্বারা সূচিত ক্ষতিগ্রস্ততা ও প্রত্যাশিত প্রভাবের মাত্রাকে নকশা করে। ২০১০ এবং ২০৩০ সালের দিকে দৃষ্টি রেখে গবেষণাটি চারটি "প্রভাব অঞ্চল" ও পাঁচটি "ক্ষতিগ্রস্ততার মাত্রা" দ্বারা নির্মিত। প্রতিবেদন অনুসারে, নির্ধারণটির নির্দিষ্ট পদ্ধতি থেকে প্রভাবগুলোর আনুমানিক পরিসংখ্যান পাওয়া যায় এবং জলবায়ু পরিবর্তনের অতিরিক্ত প্রভাবগুলো উপস্থাপন করে থাকে। তারা ইতিমধ্যে কী ঘটেছিল এবং নিকট ভবিষ্যতে কী ঘটতে পারে তার একটি "স্ন্যাপশট" দেয়। কর্তৃপক্ষের মতে, নির্ধারণটি জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ততা পরিমাপের একটিমাত্র উপায় উপস্থাপন করে যা আরো উন্নত হতে পারে বলে তারা আশাবাদী।
উল্লিখিত চার জলবায়ু প্রভাব অঞ্চল
- স্বাস্থ্য প্রভাব - জলবায়ু-সংবেদনশীল রোগ থেকে অতিরিক্ত মৃত্যু
- আবহাওয়া বিপর্যয় - অতিরিক্ত মৃত্যু এবং ঝড়, বন্যা ও দাবানলের ক্ষতি
- বাসস্থান ক্ষতি - সমুদ্রপৃষ্টের স্তর বেড়ে যাওয়ায় মানুষের বাসস্থানের অতিরিক্ত ক্ষতি, মরুকরণ
- অর্থনৈতিক চাপ - অর্থনীতির প্রাথমিক / কৃষি খাতের এবং মূল প্রাকৃতিক সম্পদের অতিরিক্ত ক্ষতি
পাঁচ জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ততা ফ্যাক্টর
- অধিকতর তীব্র (সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ক্যাটাগরি )
- গুরুতর
- তীব্র
- সহনীয়
- নিম্ন( সবচেয়ে দুর্বল ক্যাটাগরি )
অনুসন্ধান
[সম্পাদনা]জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ততা নির্ধারণ ২০১০
[সম্পাদনা]প্রতিবেদনে দাবি করা হয় যে, মানুষের কার্যকলাপ দ্বারা চালিত জলবায়ু পরিবর্তন ইতোমধ্যে জলবায়ুতে হস্তক্ষেপ করেছে যা মানুষ ও পৃথিবীর জন্য বিপজ্জনক। প্রতিবেদন অনুসারে, এই পরিবর্তনের হার এবং তাপ, বৃষ্টি, মরুভূমি ও সমুদ্রপৃষ্টের প্রভাবসহ অন্যান্য প্রভাবের কারণে প্রতিবছর ৩৫০,০০০ মানুষের মৃত্যু হয়। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ২০২০ সালের মধ্যে ৫ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে এবং বিশ্ব উষ্ণায়নের গতি কমিয়ে না আনলে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতি বছর ১ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হতে পারে।[৪] তাপ,বায়ু এবং পানির সংকট প্রায় ২.৫ মিলিয়ন মানুষের বাসস্থানের উপর চাপ সৃষ্টি করে। প্রতিবছর ঝড়, বন্যা ও দাবানলে আরো অতিরিক্ত ৫ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির ধারণা করা হচ্ছে, যখন ক্রমবর্ধমান সমুদ্রের ব্যয় নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে জিডিপির ১% - প্রশান্ত মহাসাগরে ৪% এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে বার্ষিক লোকসান ৬৫ বিলিয়ন ডলার।[৫]
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, এর দ্বারা সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হচ্ছে শিশু ও দরিদ্ররা যেখানে সাব-সাহারান আফ্রিকা ও দক্ষিণ এশিয়ার শিশুরা সিংহভাগ মৃত্যুর সম্মুখীন হচ্ছে এবং এসমস্ত ক্ষতির শতকরা নব্বই ভাগেরও বেশি ঘটছে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য।[৬][৭] জলবায়ুজনিত মরুকরণের ঝুঁকিতে থাকা শতকরা ৮০ ভাগেরও বেশি মানুষ চীন এবং ভারতের মতো উচ্চ উদীয়মান অর্থনীতিতে বাস করে।[৮]
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক প্রভাবগুলোর অর্ধাংশ শিল্পোন্নত দেশগুলোতে অনুভূত হয়। তবে, উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনীতিতে তুলনামূলক অধিক চাপ সৃষ্টি হচ্ছে যার মূল কারণ বৃহত্তর, কম শক্তিশালী কৃষিক্ষেত্র। বর্তমানে ১৫টি দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য তীব্রভাবে অরক্ষিত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে এবং সম্মিলিতভাবে জলবায়ুর প্রভাবজনিত সমস্ত ক্ষয়ক্ষতির প্রায় অর্ধেকের সম্মুখীন হচ্ছে এই দেশগুলো। আফগানিস্তান, হাইতি, মায়ানমার, সিয়েরা লিওন এবং সোমালিয়া-এর মতো স্বীকৃত দুর্বল রাষ্ট্র ও ব্যর্থ রাষ্ট্রগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হচ্ছে। স্বাস্থ্য, চরম আবহাওয়া, আবাসস্থল হ্রাস এবং অর্থনৈতিক চাপের প্রতিটি প্রধান প্রভাব অঞ্চলের জন্য ক্ষতিগ্রস্ততার সবচেয়ে গুরুতর কারণ হিসাবে গড়ে মাত্র ২৪ টি দেশকে মূল্যায়ন করা হয়।
প্রতিবেদন অনুসারে, আরও ২০ বছরের নিষ্ক্রিয়তা ২০৩০ সাল নাগাদ বার্ষিক ১ মিলিয়ন মৃত্যুর কারণ হতে পারে। এই সময়ের মধ্যে, তীব্রভাবে অরক্ষিত দেশগুলোর সংখ্যা তিনগুণেরও বেশি হতে পারে। অর্থনৈতিক ব্যয়, বিশ্বের উপকূলরেখার উপর চাপজনিত কারণে $১০০ বিলিয়ন, প্রাথমিক-খাত ও প্রাকৃতিক সম্পদের ক্ষতিতে $১৫০ বিলিয়ন এবং ঝড়,বন্যা ও দাবানলের ক্ষতিতে $১০ বিলিয়ন বাড়তে পারে - এক ট্রিলিয়ন ডলার বার্ষিক অর্থনৈতিক সঙ্কটের এক তৃতীয়াংশ।[৯]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]সমাজে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান নেতিবাচক প্রভাবগুলো বোঝার জন্য এবং এই নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিভিন্ন মূখ্য বিকল্প শনাক্ত করতে ডারা ও জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত ফোরাম জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ততা নির্ধারণ তৈরি করেছে।[১০]
জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত ফোরাম হলো জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর নেতৃবৃন্দের একটি গ্লোবাল পার্টনারশিপ যা ক্রমবর্ধমান জলবায়ু সংকটটির একটি দৃঢ় ও জরুরি সমাধান খুঁজছে। এটি মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মাদ নাশিদ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ২০১৯ সালের নভেম্বরে প্রথম সম্মেলন শুরু হয়। জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত ফোরামের ঘোষণা পত্রে নৃতাত্ত্বিক বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাবের কারণে গ্রহের আশেপাশে যে পরিবর্তন ও বিপদ দেখা গেছে তার হার নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জরুরি আন্তর্জাতিক সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে। দেশগুলির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, বার্বাডোস, ভুটান, কিরিবাতি , ঘানা, কেনিয়া, নেপাল, রুয়ান্ডা, তানজানিয়া, ভিয়েতনাম এবং মালদ্বীপ।[১১][১২]
ডারা স্পেনের মাদ্রিদে অবস্থিত একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং সিলভিয়া হিডালগো ২০০৩ সালে সংস্থাটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এর ওয়েবসাইট অনুসারে, সংগঠনটি সংঘাত, বিপর্যয় ও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দুর্বল জনগোষ্ঠীর জন্য সাহায্যের গুণমান ও কার্যকারিতা উন্নত করার লক্ষ্য নিয়েছে।[১৩]
আরো দেখুন
[সম্পাদনা]নথি
[সম্পাদনা]জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ততা নির্ধারণ ২০১০ঃ জলবায়ু সংকটাবস্থা
- সিভিএম ২০১২ কমপ্লিট টেক্সট
- সিভিএম ২০১০ কমপ্লিট টেক্সট
- সিভিএম ২০১০ এক্সিকিউটিভ সামারি - ইংলিশ
- সিভিএম ২০১০ এক্সিকিউটিভ সামারি - স্প্যানিশ
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Black, Richard (২০১০-১২-০৩)। "BBC News - Poorer nations 'need carbon cuts', urges The Maldives"। Bbc.co.uk। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৬-২৬।
- ↑ "New report: 5 million climate deaths predicted by 2020 | MNN - Mother Nature Network"। MNN। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৬-২৬।
- ↑ "Launch of the 2nd Edition of the Climate Vulnerability Monitor"। Daraint.org। ২০১২-০৭-৩০। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৬-২৬।
- ↑ "Science News | Technology News - ABC News"। Abcnews.go.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৬-২৬।
- ↑ "Climate vulnerability monitor 2010: the state of the climate crisis - Documents & Publications - Professional Resources"। PreventionWeb.net। ২০১২-০৩-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৬-২৬।
- ↑ Jen Quraishi (২০১০-১২-১০)। "How Children Suffer From Climate Change"। Mother Jones। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৬-২৬।
- ↑ Kuang, Cliff (২০১০-১২-১৫)। "Infographics of the Day: Amid Climate Change, Some Countries Luck Out"। Fast Company। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৬-২৬।
- ↑ "Deaths from climate change will triple in next two decades if inaction continues « Access to Health Information"
|url=
এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)। Access2healthinfo.। ২০১০-১২-১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৬-২৬।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] - ↑ "Findings - DARA"। Daraint.org। ২০১৩-০১-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৬-২৬।
- ↑ BCS s.c.। "High Commission of the Republic of MALDIVES | President Nasheed Launches Climate Vulnerable Monitor 2010"। Maldiveshighcommission.org। ২০১২-০৩-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৬-২৬।
- ↑ staff (২০০৯-১১-১০)। "Climate Vulnerable Nations Go Carbon Neutral, Plead for Help"। Ens-newswire.com। ২০১২-০৭-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৬-২৬।
- ↑ "Climate Vulnerable Forum - DARA"। Daraint.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৬-২৬।
- ↑ [১][অকার্যকর সংযোগ]