জলপাইরঙা সাগর কাছিম
জলপাইরঙা সাগর কাছিম Lepidochelys olivacea | |
---|---|
An olive ridley in Escobilla Beach, Oaxaca, Mexico | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | Reptilia |
বর্গ: | Testudines |
পরিবার: | Cheloniidae |
গণ: | Lepidochelys |
প্রজাতি: | L. olivacea |
দ্বিপদী নাম | |
Lepidochelys olivacea (Eschscholtz, 1829) | |
প্রতিশব্দ[২] | |
|
জলপাইরঙা সাগর কাছিম[৩] বা পান্না কাছিম (ইংরেজি: Olive ridley sea turtle), (দ্বিপদ নাম: Lepidochelys olivacea) হচ্ছে সাতটি সাগর কচ্ছপের ক্ষুদ্রতম প্রজাতিগুলোর একটি। এই প্রজাতির কাছিম প্রশান্ত মহাসাগর, দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগর এবং ভারত মহাসাগর এলাকার উষ্ণ পানিতে বাস করে। বাংলাদেশে এই প্রজাতির কাছিমের প্রধান আবাসস্থল হলও সেন্ট মার্টিন দ্বীপ, সুন্দরবন এবং বঙ্গোপসাগরের অন্যান্য দ্বীপপুঞ্জ।[৪] খোলসের জলপাই সবুজ রঙটাই এর নামের উৎস।
বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।[৩]
বিবরণ
[সম্পাদনা]হাল্কা গড়নের এই কচ্ছপের গড়পড়তা ওজন প্রায় ৪৬ কিলোগ্রাম (১০০ পাউন্ড)। খোলস উঁচু গম্বুজের মতো, পিঠের খোলসের দৈর্ঘ্য প্রায় ৭৬ সেন্টিমিটার (২.৫ ফুট)। খোলসের রঙ পিঠের দিকে গাঢ় জলপাই সবুজ আর বুকের দিকে (বক্ষাবরণ) হলদে সবুজ। পিঠের খোলসে পাশের দিকে সাধারণত ছয় জোড়া পার্শ্বখন্ড থাকে। তবে প্রকৃতিতে এর বেশি, ৯ জোড়া পর্যন্ত পার্শ্বখন্ডের অধিকারী জলপাই সবুজ কচ্ছপও দেখা গেছে।
বিস্তৃতি
[সম্পাদনা]জলপাইরঙা সাগর কাছিম বিশ্বজুড়ে গ্রীষ্মপ্রধান এলাকার উপকূলে দেখা যায়। প্রশান্ত মহাসাগর ও ভারত মহাসাগরের ভারত, আরব, জাপান, মাইক্রোনেশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড এর উপকূল এলাকা এবং আটলান্টিক মহাসাগরীয় ব্রাজিল, সুরিনাম, গায়ানা, ফ্রেঞ্চ গায়ানা এবং ভেনেজুয়েলার উপকূল এলাকায় এদের দেখতে পাওয়া গেছে। ক্যারিবিয়ান সাগরের পুয়ের্তো রিকো, পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের গ্যালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জ, চিলির উপকূল আর ক্যালিফোর্নিয়া উপসাগরেও এদের পাওয়া গেছে। এদের পরিযায়ী গতিবিধির উপর বিস্তর গবেষণা না হলেও অন্তত ৮০টি দেশের উপকূল ব্যবহার করার তথ্য পাওয়া গেছে। [৫] ঐতিহাসিকভাবে এই প্রজাতিটি প্রাচুর্যময়।[৬] ১৯৬৮ সালেই কেবল মেক্সিকো উপকূল থেকে ১০ লক্ষ জলপাইরঙা সাগর কাছিম আহরণ করা হয়েছিল। [৭]
প্রজনন
[সম্পাদনা]প্রজননের অন্যতম জায়গা গোয়াতে সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ এদের প্রজননের সময়কাল। স্ত্রী কাছিমেরা হাজার হাজার কিমি পথ পাড়ি দিয়ে তাদের জন্মস্থানে ফিরে আসে ডিম পাড়বার জন্য। পরুষেরা কখনো ডাঙ্গায় ওঠেনা। রাতে জোয়ারের সময় কাছিমেরা সমুদ্রতটে উপস্থিত হয়ে বালি খুঁড়ে তাদের বাসা বানায় ও গড়ে প্রায় ৩০ থেকে ১৬০ টা টেনিস বলের মতো ডিম পাড়ে। শিকারীদের থেকে ডিমগুলোকে বাঁচানোর জন্য তারা তাদের বাসা বালি চাপা দিয়ে দেয়। ৪০ থেকে ৭০ দিনের মধ্যে ডিম ফুটে বাচ্চা বেরোয়। যত বাসার তাপমাত্রা বেশি থাকে স্ত্রী কাছিম জন্মাবার সম্ভাবনা তত বেশি।[৮]
চিত্রশালা
[সম্পাদনা]-
Arribada de tortugas golfinas.
-
Tortuga golfina desovando en la playa de Escobilla, en México.
-
Embrión de Lepidochelys olivacea.
-
En un acuario de Reunión.
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Abreu-Grobois, A.; Plotkin, P. (২০০৮)। "Lepidochelys olivacea"। বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা। সংস্করণ 2012.2। প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১৩।
- ↑ Fritz, Uwe; Havaš, Peter (২০০৭)। "Checklist of Chelonians of the World" (পিডিএফ)। Vertebrate Zoology। 57 (2): 169–170। আইএসএসএন 1864-5755। ১৭ ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মে ২০১২।
- ↑ ক খ বাংলাদেশ গেজেট, অতিরিক্ত, জুলাই ১০, ২০১২, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, পৃষ্ঠা-১১৮৪৪২।
- ↑ জিয়া উদ্দিন আহমেদ (সম্পা.), বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ: উভচর প্রাণী ও সরীসৃপ, খণ্ড: ২৫ (ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ২০০৯), পৃ. ৮১-৮২।
- ↑ "Lepidochelys olivacea - Olive Ridley Turtle, Pacific Ridley Turtle"। Species Profile and Threats Database। Department of Sustainability, Environment, Water, Population and Communities। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১৩।
- ↑ "Recovery Plan for U.S. Pacific Populations of the Olive Ridley Turtle (Lepidochelys olivacea)" (পিডিএফ)। Silver Springs, MD: National Marine Fisheries Service। ১৯৯৮। সংগ্রহের তারিখ ১৬ এপ্রিল ২০১৩।
- ↑ Carr, A. (মার্চ ১৯৭২)। "Great Reptiles, Great Enigmas"। Audubon: 24–35।
- ↑ https://timesofindia.indiatimes.com/times-special/turtle-nursery-goa-has-a-giant-class-of-23/articleshow/99857819.cms