জয় পাকিস্তান
জয় পাকিস্তান হল ১৯৪৭ সালের পর থেকে সংযুক্ত পাকিস্তানে ব্যবহৃত একটি স্লোগান। এটি পশ্চিম পাকিস্তানে ব্যবহৃত পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগানের পূর্ব পাকিস্তানি সংস্করণ ছিল। পূর্ব পাকিস্তানের অনেক রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন সভা, সমাবেশ, বিবৃতি ও বক্তৃতায় এই স্লোগানটি ব্যবহার করতেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
বিতর্ক
[সম্পাদনা]২০১৪ সালে আবদুল করিম খন্দকার তার ১৯৭১: ভেতরে বাইরে বইতে লিখেন, শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চের ভাষণে জয় বাংলা বলার পর জয় পাকিস্তান বলেছিলেন।[১] লেখাটি তখন সমসাময়িক ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের নেত্রীবৃন্দসহ বিভিন্ন মহলে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি করে।[২] ২০১৯ সালে খন্দকার তার দেওয়া এই তথ্যটিকে ভুল হিসেবে আখ্যা দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চেয়ে বিবৃতি দেন।[৩]
৭ই মার্চের ভাষণে জয় পাকিস্তান বলার পক্ষে বদরুদ্দিন উমর ১৯৯৬ সালে তার লিখিত বইয়ে সপক্ষে এবং নীলিমা ইব্রাহিম তার বইয়ে বিপক্ষে মত দিয়েছেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ২০১১-১৪ বাংলাদেশের পাকিস্তানি দূতাবাসের পাকিস্তানের হাইকমিশনার মিয়া আফ্রাসিয়াব মেহেদী হাশমি কুরেশি তার "নাইটিন সেভেন্টি ওয়ান ফ্যাক্ট এন্ড ফিকশন: ভিউজ এন্ড পারসেপশন্স ইন পাকিস্তান, ইন্ডিয়া এন্ড বাংলাদেশ (1971 Fact and Fiction: Views and Perceptions in Pakistan, India and Bangladesh) বইতে শেখ মুজিবের ৭ মার্চের ভাষণের শেষে জয় পাকিস্তানের পরিবর্তে পাকিস্তান জিন্দাবাদ কথাটি উল্লেখ করেছেন।[৪] পাকিস্তানি লেখক তাজ হাশমিও ৭ মার্চে শেখ মুজিবের জয় পাকিস্তান বলার পক্ষে মত দিয়েছেন।[৫]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "বঙ্গবন্ধু 'জয় পাকিস্তান' বলেননি, ৫ বছর পর ক্ষমা চাইলেন এ কে খন্দকার"। এনটিভি। ১ জুন ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০২১।
- ↑ "৭ মার্চের ভাষণে 'জয় পাকিস্তান' বলেননি বঙ্গবন্ধু"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০২১।
- ↑ "'জয় পাকিস্তান' এর জন্য ক্ষমা চাইলেন এ কে খন্দকার"। banglanews24.com। ২ জুন ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০২১।
- ↑ Hashmi, Afrasiab Mehdi (২০১৬)। 1971 Fact and Fiction: Views and Perceptions in Pakistan, India and Bangladesh (ইংরেজি ভাষায়)। Khursheed Printers Pvt. Limited। পৃষ্ঠা ৫৭৬। আইএসবিএন 978-969-9837-03-6। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০২৩।
- ↑ Hashmi, Taj (২২ এপ্রিল ২০২২)। Fifty Years of Bangladesh, 1971-2021: Crises of Culture, Development, Governance, and Identity (ইংরেজি ভাষায়)। Springer Nature। পৃষ্ঠা ৯৭। আইএসবিএন 978-3-030-97158-8। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০২৩।
বাংলাদেশ বিষয়ক এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |