চিরদিনই তুমি যে আমার ২
চিরদিনই তুমি যে আমার ২ | |
---|---|
![]() প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পোস্টার | |
পরিচালক | সৌমিক চ্যাটার্জী |
প্রযোজক | শ্রীকান্ত মোহতা |
রচয়িতা | বালাজি সাখাতিভেল |
শ্রেষ্ঠাংশে | অর্জুন চক্রবর্তী উর্মিলা মহন্ত |
সুরকার | জিৎ গাঙ্গুলী |
চিত্রগ্রাহক | মধুসূদন শি |
সম্পাদক | রবিরঞ্জন মৈত্র |
মুক্তি |
|
দেশ | ![]() |
ভাষা | বাংলা |
চিরদিনই তুমি যে আমার ২ হল ২০১৪ এর একটি প্রকাশিতব্য বাংলা মিষ্টি প্রেমের চলচ্চিত্র যার পরিচালক সৌমিক চ্যাটার্জী ছিলেন। ছবিটির সংগীত পরিচালনা করেছেন জিৎ গাঙ্গুলী। ছবিটি ১১ ই অক্টোবর ২০১৩ এ মুক্তি পেয়েছিল। এটি বালাজি শাকতিভেল পরিচালিত ২০১২ সালের তামিল ছবি ওয়াজক্কু এন্ন ১৮/৯ পুনঃনির্মাণ। এটি বাংলা চলচ্চিত্র চিরদিনই তুমি যে আমার এর পরিশিষ্ট। ছবিতে অভিনয় করেছেন অর্জুন চক্রবর্তী, উর্মিলা মহন্ত এবং অন্যান্য শিল্পীবৃন্দ। চিরদিনই তুমি যে আমার ২ গল্পে দুই প্রেমিকের মধ্যে মিষ্টি প্রেমের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।[১][২][৩] ছবিটির গানগুলি মুক্তি পাওয়ার পরে খুব জনপ্রিয় হয়েছিল।
পটভূমি[সম্পাদনা]
জ্যোতি (উর্মিলা মহন্ত) নামে এক মেয়েকে অ্যাসিডে দিয়ে আক্রমণ করার পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। পুলিশ ইন্সপেক্টর (খরাজ মুখোপাধ্যায়) এবং গণমাধ্যম মেয়েটির সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন, অন্যদিকে চিকিত্সকরা তার জ্ঞান ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন। পুলিশ অফিসার মেয়েটির মাকে (সোমা চক্রবর্তী) জিজ্ঞাসা করেছেন যে তিনি অপরাধীকে জানেন কিনা? মা বলেন যে একটি নির্দিষ্ট ছেলে আছে, সে সবসময় তার মেয়েকে বিরক্ত করত।
ভানু সরদার (অর্জুন চক্রবর্তী) তাকে থানায্রত।ধরে নিয়ে আসা হয়। ইন্সপেক্টর তাকে তার জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং ভানু তাদের বলে যে তাকে বাধ্য হয়ে কলকাতায় আসতে হয় তার বাবা-মাকে সহায়তার জন্য একটি কারখানায় কাজ করতে হয়েছিল। ইন্সপেক্টর তার মানিব্যাগে মেয়েটির একটি ছবি পেয়ে তার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। ভানু তাকে বলে যে সে এখন একটি স্থানীয় রাস্তার দোকানে কাজ করে এবং একদিন তার মেয়ের দিকে তাকানোর জন্য তাকে ধমক খেতে হয়েছিল। প্রতিদিন মেয়েটি তার মায়ের সাথে দোকানের সামনে দিয়ে যায় এবং সে তাকে দূর থেকে ভালবাসে। সে একটি ভালো ছেলে।
শ্রেয়া (এনা সাহা) থানায় এসে রাজ (বিহু মুখোপাধ্যায়) নামে একটি ছেলে, যার সন্দেহ হয় যে জ্যোতিকে ভুল করে অ্যাসিড মেরেছে সে। শ্রেয়া বলে তার বাবা-মা দুজনেই কাজ করেন বলে তার দেখাশোনার জন্য তার পরিবার জ্যোতিকে রেখেছিল। রাজ এক ধনী এবং উচ্চ মহলের চেনা জানা বাবা-মার বদমাইশ ছেলে। সে শ্রেয়ার সাথে বন্ধুত্ব শুরু করে এবং পরে যখন সে তার সাথে বন্ধ হয়, তখন সে গোপনে তার মোবাইল ফোনে শ্রেয়ার ভিডিও তৈরি করে। শ্রেয়া রাজের সাথে বন্ধুত্ব ছেড়ে দেয় এবং রাজ বদলা নেওয়ার জন্য তাকে আক্রমণ করে তার সাইকেল থেকে ফেলে দেয়। সেই থেকে রাজ তাঁকে কোন না কোন ভাবে আক্রমণ করবার চেষ্টা করেছে। তাই একদিন, রাজ মনে করে শ্রেয়া বাড়িতে একা আছে। সে সামনের দরজার ঘণ্টা বাজায় এবং যে এসে দরজা খোলে তাকেই সে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে - সেদিন সে ভুল করে জ্যোতি এসে দরজা খুলেছিল।
তার গল্প শোনার পরে, ইন্সপেক্টর রাজ ও তার মাকে থানায় ডেকে পাঠায়, কিন্তু তিনি কলটি এড়িয়ে গেছেন। তারা পরের দিন আসেন এবং রাজ শীঘ্রই চাপের মুখে তার অপরাধ স্বীকার করে। এদিকে, তার মা মন্ত্রীর কাছে ফোন করে তাঁর পুত্রকে মুক্তি দেওয়ার করবার অনুরোধ করেন। মন্ত্রী ইন্সপেক্টরকে ফোনে কথা বলে তাঁর সাথে একটি চুক্তি করে। ভানুকে মারধর করা হয় এবং অপরাধ স্বীকার করার জন্য তাকে তৈরি করা হয়, যাতে রাজকে ছেড়ে দেওয়া যায়। ভানু স্বীকার করতে অস্বীকার করে যতক্ষণ না ইন্সপেক্টর বোঝায় রাজকে জামিন দেওয়ার জন্য যে অর্থ ব্যয় করা হবে তা জ্যোতির চিকিত্সার জন্য ব্যবহার করা হবে। ভানু তাকে ভালবাসে তাই সে স্বীকার করতে রাজি হয়। তাকে শাস্তি হিসাবে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫০০০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভানুর বন্ধু ([[[রিদ্ধি সেন]]]) তার বন্ধুকে দেখতে আসে এবং বিশ্বাস করতে অস্বীকার করে যে সে দোষী, তাই ভানু তাকে আসল ঘটনাটি বলে। সে জ্যোতিকে সত্য এবং ভানুর সাথে নিঃশর্ত প্রেমের কথা জানায়। জ্যোতি ভানুর শুনানির দিন আদালতে ভানুর সাথে দেখা করতে যায় এবং তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া দেখে। অন্যায়ের দ্বারা ক্ষুব্ধ হয়ে সে ইন্সপেক্টরকে একটি চিঠি দেয় যাতে অভিযোগ করা হয়েছিল যে ধনী ব্যক্তিদের মুক্তি দিতে গিয়ে দরিদ্র নির্দোষকে কারাগারে পাঠিয়েছেন তিনি। ইন্সপেক্টর তার দিকে তাকাতেই ভানুর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য সে তার মুখে এসিড নিক্ষেপ করে। তার দশ বছরের কারাদণ্ড হয়, তবে ভানু মুক্তি পেয়ে যায় এবং রাজ অপরাধের জন্য গ্রেপ্তার হয়।
ছবিটির শেষে ভানু, তার মা এবং তার বন্ধুকে নিয়ে তার প্রেমিকা জ্যোতিকে দেখতে যায় জেলে। ভানু জ্যোতিকে প্রতিশ্রুতি দেয় "আমি চিরকাল তোমার জন্য অপেক্ষা করব"।
অভিনয়[সম্পাদনা]
মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অর্জুন চক্রবর্তী, উর্মিলা মহন্ত এবং অন্যান্য শিল্পীবৃন্দ।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "Chirodini Tumi Je Amar 2 (Bengali) / A good remake"। The Indian Express। ২৫ এপ্রিল ২০১৪।
- ↑ "Chirodini Tumi Je Amar 2 Review"। Nowrunning। ১৬ এপ্রিল ২০১৪। ৯ নভেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Chirodini Tumi Je Amar 2 Movie Review"। The Times of India।