চিত্তভূষণ দাশগুপ্ত

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
চিত্তভূষণ দাশগুপ্ত
চিত্তভূষণ দাশগুপ্ত, গান্ধীবাদী স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং 'নই তালিমের' অন্যতম রূপকার।
জন্ম
চিত্তভূষণ দাশগুপ্ত

(১৯১৫-০৬-০৬)৬ জুন ১৯১৫
মৃত্যু৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬(2016-02-04) (বয়স ১০০)[১]
জাতীয়তাভারতীয়
পেশাস্বাধীনতা সংগ্রামী, সমাজসেবক ও শিক্ষক
পরিচিতির কারণভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন
রাজনৈতিক দলভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস
দাম্পত্য সঙ্গীস্বর্গতা মালতী ধানাজি চৌধুরী দাশগুপ্ত
সন্তানমানিক দাশগুপ্ত (পুত্র)

চিত্তভূষণ দাশগুপ্ত (৬ জুন ১৯১৫ - ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬) ছিলেন ভারতীয় বাঙালি রাজনীতিবিদ, স্বাধীনতা সংগ্রামী, সমাজসেবী ও শিক্ষক। ২০১৪ সালে তার জন্মের শতবর্ষ পালিত হয়।[২]

প্রাথমিক জীবন[সম্পাদনা]

চিত্তভূষণ দাশগুপ্ত ১৯১৫ সালের ৬ই জুন ব্রিটিশ ভারতের বিহার প্রদেশের পাটনা শহরে এক আদর্শবাদী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পাঁচ ভাইবোনের সর্বকনিষ্ঠ ছিলেন। তার পিতা ঋষি নিবারণচন্দ্র দাশগুপ্ত পুরুলিয়া জেলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। সেই সময়ে পুরুলিয়া বিহার রাজ্যের মানভূম জেলার একটি জনপদ ছিল। ঋষি নিবারণচন্দ্র দাসগুপ্ত ১৯২১ সালে মহাত্মা গান্ধীর অসহযোগ আন্দোলনে অংশগ্রহণের জন্য চাকরি ছেড়ে দেন ও আন্দোলনের জন্য কারাদন্ড ভোগ করতে হয়। তার মুক্তির পরে তিনি অতুলচন্দ্র ঘোষের সঙ্গে পুরুলিয়া শহরে 'শিল্পাশ্রম' প্রতিষ্ঠা করেন। শিল্পাশ্রম (আশ্রম জীবন যাপনের মধ্য দিয়ে গ্রামোদ্যোগ উন্নয়ন), শীঘ্রই মানভূম জেলায় স্বাধীনতা সংগ্রামের উপকেন্দ্র ওঠে। চিত্তভুষণ ১২ বছর বয়সে ১৯২৭ সালে পুরুলিয়া শিল্পাশ্রমে আসেন।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

চিত্তভূষণ দাশগুপ্ত, প্রথম রামচন্দ্রপুর গ্রামে অনুষ্ঠিত মানভূম কংগ্রেস কমিটির রাজনৈতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ করলে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর নজরে আসেন। তিনি আসন্ন কলকাতার সর্বভারতীয় কংগ্রেসের অধিবেশনে জন্য স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৩০ সালে চিত্তভূষণ ১৫ বছর বয়সে প্রথম পুরুলিয়ার একটি মদের দোকানের সামনে পিকেটিং জন্য গ্রেফতার হন। ১৯৩২ থেকে ১৯৩৮ পর্যন্ত তিনি সুন্দরবন এবং বাংলার পূর্বাঞ্চলীয় জেলাগুলি যথা ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটে গিয়ে একজন কংগ্রেস স্বেচ্ছাসেবক ও সংগঠক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৩৯ সালে তিনি ওয়ার্ধার সেবাগ্রামে মহাত্মা গান্ধীর সংস্পর্শে এসেছিলেন। এইভাবে আচার্য আর্য্যনায়কনের সক্ষম অভিভাবকত্বের অধীনে, যার কাছ থেকে শিষ্য চিত্তভূষণ নঈ তালিমের প্রাথমিক পাঠ নেন। এরপর ১৯৪০ সালে চিত্তভূষণ তৎকালীন বিহার রাজ্যে মানভূম জেলার মাঝিহিড়া নামক এক প্রত্যন্ত গ্রামে আসেন, যেখানে তিনি মাঝিহিড়া জাতীয় বুনিয়াদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। [২][৩]

পুরস্কার[সম্পাদনা]

সারাজীবন শিক্ষকতার পুরস্কার স্বরূপ ২০০৮ সালে শ্রী চিত্তভূষণ দাশগুপ্ত ও তার স্ত্রী প্রয়াত মালতি দেবী টেলিগ্রাফ পুরস্কার পেয়েছেন।[৪]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

https://web.archive.org/web/20151226133255/http://majhihira-ashram.org/AshramNews.html