চাংচিয়াচিয়ে কাচের সেতু
চাংচিয়াচিয়ে কাচের সেতু | |
---|---|
স্থানাঙ্ক | ২৯°২৩′৫৫″ উত্তর ১১০°৪১′৫৪″ পূর্ব / ২৯.৩৯৮৭° উত্তর ১১০.৬৯৮২° পূর্ব |
বহন করে | পথচারী সেতু |
স্থান | চাংচিয়াচিয়ে, হুনান, চীন |
বৈশিষ্ট্য | |
নকশা | ঝুলন্ত |
উপাদান | ইস্পাত |
প্রস্থ | ১৪ মি (৪৬ ফু) |
উচ্চতা | ৩৬০ মি (১,১৮০ ফু) |
দীর্ঘতম স্প্যান | ৪৩০ মি (১,৪১০ ফু) |
নিন্মে অনুমোদিত সীমা | ৩০০ মি (৯৮০ ফু) |
ইতিহাস | |
চালু | ২০ই আগস্ট, ২০১৬ |
পরিসংখ্যান | |
দৈনিক চলাচল | ৮,০০০ |
অবস্থান | |
চাংচিয়াচিয়ে কাচের সেতু | |||||||
ঐতিহ্যবাহী চীনা | 張家界大峽谷玻璃橋 | ||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
সরলীকৃত চীনা | 张家界大峡谷玻璃桥 | ||||||
আক্ষরিক অর্থ | চাংচিয়াচিয়ে মহাগিরিখাত কাচের সেতু | ||||||
| |||||||
সরকারি চীনা ধাঁচের নাম | |||||||
ঐতিহ্যবাহী চীনা | 雲天渡 | ||||||
সরলীকৃত চীনা | 云天渡 | ||||||
আক্ষরিক অর্থ | মেঘে আকাশ পারাপার | ||||||
|
চাংচিয়াচিয়ে কাচের সেতু চীনের চাংচিয়াচিয়ের উলিংয়ুয়ান অঞ্চলে অবস্থিত একটি পথচারী-উড়াল সেতু। পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য নির্মিত এই ব্রিজটির তলদেশ কাঁচের এবং স্বচ্ছ। চালুর সময়ে এটি বিশ্বের দীর্ঘতম এবং উচ্চতম কাঁচের-তলানী সেতু ছিল। ২০ই আগস্ট, ২০১৬ সালে, সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেয়া এই সেতুটির মোট দৈর্ঘ্য ছিল ৪৩০ মিটার (১,৪১০ ফু) এবং প্রস্থ ছিল ৬ মিটার (২০ ফু), যা ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩০০ মিটার (৯৮০ ফু) উচ্চতায় ঝুলছিল।[১] সেতুটি চীনের মধ্য হুনান প্রদেশের চাংচিয়াচিয়ে জাতীয় বন উদ্যানের দুই পর্বতশৃঙ্গের মধ্যকার উপত্যকা জুড়ে বিস্তৃত। এটিতে একইসাথে ৮০০জন পর্যন্ত দর্শনার্থী বহন করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। সেতুটির ডিজাইন করেছেন ইসরায়েলি স্থপতি হাইম ডোটান।[২]
সেতুটি নির্মাণ করতে প্রকৌশলীরা গিরিখাতের প্রাচীরের কিনারায় ৪টি ভর স্তম্ভ তৈরি করেন। সেতুটি ১২০টিরও অধিক কাচের প্যানেল সহ একটি ধাতব ফ্রেম দ্বারা তৈরি। এই প্যানেলগুলির প্রত্যেকটি ৩-স্তরবিশিষ্ট এবং সহনশীল কাচের ২ ইঞ্চি পুরু স্ল্যাব দ্বারা গঠিত। সেতুটির নিচের অংশে ৩টি দীর্ঘ দোল রয়েছে। এছাড়াও একটি ২৮৫ মিটার (৯৩৫ ফু) বুঞ্জি-জাম্প করার ব্যবস্থা রয়েছে। এটিকে বিশ্বের সর্বোচ্চ কম্পমান সেতু হিসেবে মনে করা হয়।[৩]
সেতুর পরিচালনা কমিটি অনুসারে, এর নকশা এবং গঠন কাঠামোর দিক থেকে এই সেতু দশটি বিশ্ব রেকর্ড অর্জন করে।[৪] যা দীর্ঘতম কাঁচের সেতু হিসেবে হপেইয়ের হুংয়াগু প্রাকৃতিক অঞ্চলের কাঁচের সেতুকে টপকে নতুন রেকর্ড গড়ে।[৫]
বন্ধ
[সম্পাদনা]২০১৬ সালের ২ সেপ্টেম্বর, সেতুটি খুলে দেয়ার মাত্র তের দিনের মাথায়, কর্তৃপক্ষ একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলে যে অতিরিক্ত দর্শনার্থীদের চাপে তারা সেতুটি বন্ধ করে দিচ্ছে।[৬] একসাথে যেখানে ৮০০ জন পর্যটক ধারণক্ষম করে বানানো সেতুটিতে প্রতিদিন প্রায় ৮,০০০ ভ্রমণকারী আসবে বলে ভাবা হচ্ছিল, সেখানে সেতুটি প্রতিদিন ৮০,০০০ এরও অধিক দর্শনার্থীকে আকৃষ্ট করছিল।[৭] কর্তৃপক্ষ জানায় যে সরকার এটির কার পার্ক, টিকিট বুকিং ব্যবস্থা এবং গ্রাহক পরিষেবা সহ অন্যান্য আকর্ষণের "জরুরি উন্নয়ন ও হালনাগাদ কল্পে" জায়গাটির পরিচালনা বন্ধ রাখবে। সেতুটি ২০১৬ সালের ৩০শে সেপ্টেম্বর পুনরায় খুলে দেয়া হয়।[৮]
বেশ কিছু মৃত্যু এবং আহত হওয়ার ঘটনার পর, ২০১৯ সালের অক্টোবরে হপেই প্রদেশের ৩২ কাঁচের-তলানী আকর্ষণীয় স্থানসমূহ বন্ধ করে দেয়া হয়।[৯]
আরো দেখুন
[সম্পাদনা]গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন স্কাইওয়াক
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "World's tallest and longest glass bridge closes after just two weeks"। Dezeen (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৬-০৯-০৫। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-২১।
- ↑ Shankar (২০১৮-০১-১৯)। "चीन में कांच का पुल history of glass bridge in china" [Glass pull in China history of glass bridge in China]। Cool Thoughts (Hindi ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০১-২১।
- ↑ Civil Student। "Zhangjiajie Grand Canyon Glass Bridge"। PDF। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-২৪।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "World's longest, highest glass bridge to open"। Xinhuanet। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ 王建芬। "World's longest glass bridge ready to open - Chinadaily.com.cn"। www.chinadaily.com.cn। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১২-২৬।
- ↑ Chris Graham (৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬)। "China's record-breaking glass bridge closes after 13 days 'due to overwhelming demand'"। The Telegraph। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ Nick Mafi। "Why Did the Zhangjiajie Grand Canyon Glass Bridge Suddenly Close?"। Architectural Digest। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "World's highest glass bridge to reopen after one-month overhaul"। Xinhuanet। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০১৭।
- ↑ Ellis-Petersen, Hannah (৩০ অক্টোবর ২০১৯)। "Chinese province closes all glass bridges over safety fears"। The Guardian (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0261-3077। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০১৯।