গ্লাউকোস

গ্লাউকোস প্রাচীন গ্রীক পুরাণের একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র, বিশেষ করে মিনসের বংশের কাহিনিতে। তার গল্প রহস্যময় এবং অলৌকিক ঘটনার সাথে সম্পর্কিত। নিচে তার সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো:

পরিচয়:

গ্লাউকোস ছিল ক্রিটের রাজা মিনস এবং রানী পাসিফাই-এর পুত্র।

তার ভাই-বোনরা ছিল:

• আকাকাল্লিস
• দেউকালিয়ন
• আরিয়াদ্নে
• কাত্রেউস
• আন্দ্রোগেউস
• ফাইদ্রা

গ্লাউকোসের গল্প একটি অস্বাভাবিক দুর্ঘটনা এবং একটি অলৌকিক পুনর্জীবনের কাহিনি হিসেবে পরিচিত।

---

গ্লাউকোসের মৃত্যুর ঘটনা:

শিশু অবস্থায় গ্লাউকোস একদিন খেলার সময় অজান্তেই একটি মধুর পাত্রে পড়ে যায়। মধুর পাত্রে ডুবে শ্বাসরোধ হয়ে তার মৃত্যু হয়। পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে প্রথমে খুঁজে পায়নি।

---

পলুয়েইদোস এবং পুনর্জীবন:

গ্লাউকোসকে খুঁজে বের করার জন্য রাজা মিনস একজন জ্ঞানী ব্যক্তি বা ভবিষ্যদ্বক্তার সাহায্য চান।

এতে পলুয়েইদোস, একজন প্রখ্যাত ভবিষ্যদ্বক্তা এবং জাদুকর, তার সন্ধান দিতে এগিয়ে আসেন।

• পলুয়েইদোস তার ভবিষ্যদ্বাণী ক্ষমতা ব্যবহার করে শিশুটির দেহ খুঁজে পান।
• গ্লাউকোসের দেহ উদ্ধার হলেও সে মৃত ছিল।

রাজা মিনস পলুয়েইদোসকে আদেশ দেন গ্লাউকোসকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য।

এরপর একটি অলৌকিক ঘটনা ঘটে:

• পলুয়েইদোস একটি সাপকে গ্লাউকোসের মৃতদেহের কাছে আসতে দেখেন।
• সাপটিকে মেরে ফেলার পর, আরেকটি সাপ এসে তার মৃত সঙ্গীর দেহে একটি বিশেষ ভেষজ রেখে দেয়।
• পলুয়েইদোস সেই ভেষজটি ব্যবহার করে গ্লাউকোসকে পুনরুজ্জীবিত করেন।

---

কাহিনির শিক্ষণীয় দিক:

গ্লাউকোসের কাহিনি প্রাচীন গ্রীক পুরাণে পুনর্জন্ম, ভাগ্য এবং জ্ঞানী ব্যক্তিদের ক্ষমতা নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে।

এটি জীবনের অনিশ্চয়তা এবং অলৌকিক শক্তির প্রতি মানুষের বিশ্বাসের প্রতিফলন।

গ্রিক পুরণে, গ্লাউকোস ছিল মিনস ও পাসিফাইয়ের পুত্র এবং আকাকাল্লিস, দেউকালিয়ন, আরিয়াদ্নে, কাত্রেউস, আন্দ্রোগেউস ও ফাইদ্রার ভাই। সে শৈশবকালে এক দুর্ঘটনায় মারা যায় কিন্তু পলুয়েইদোস তাকে আবার জীবিত করে তোলে।