গোরা সর্বাধিকারী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গোরা সর্বাধিকারী
জন্ম(১৯৪১-০৭-২৯)২৯ জুলাই ১৯৪১
ঝাড়গ্রাম, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ)
মৃত্যু১৯ জানুয়ারি ২০২২(2022-01-19) (বয়স ৮০)
শান্তিনিকেতন, পশ্চিমবঙ্গ , ভারত
ধরনরবীন্দ্রসঙ্গীত
পেশাসঙ্গীতশিল্পী

গোরা সর্বাধিকারী (২৯ জুলাই ১৯৪১ – ১৯ জানুয়ারি ২০২২) ছিলেন প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী।[১]

প্রাথমিক জীবন ও শিক্ষা[সম্পাদনা]

১৯৪১ খ্রিস্টাব্দের ২৯শে জুলাই গোরা সর্বাধিকারী জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বৃটিশ ভারতের অধুনা পশ্চিমবঙ্গের অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলার ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। গায়ের রং ধবধবে ফর্সা হওয়ায় তার নাম রাখা হয়েছিল গোরা। ছোটবেলা থেকেই রবীন্দ্র সঙ্গীতের প্রতি তার আকর্ষণ ছিল। শান্তিনিকেতনে ঘুরতে এসে যখন জানলেন বিশ্বভারতীতে রবীন্দ্রসঙ্গীতের ভর্তি পরীক্ষা চলছে, তখন তিনি ইন্টারভিউতে উপস্থিত হন এবং উত্তীর্ণ হন। তার ডাক্তারী পড়তে জার্মানি যাওয়ার কথা ছিল, তবে রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রতি ভালোবাসার টানে তিনি জার্মানির বদলে এখানে থেকে যান। তিনি ২০ বৎসর বয়স থেকেই শান্তিনিকেতনে থাকতে শুরু করেন। তিনি সঙ্গীতভবনে শান্তিদেব ঘোষের অধীনে ভর্তি হন। আশ্রমকন্যা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্নেহধন্যা মোহর তথা কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরে আসেন। তার তালিমে তিনি রবীন্দ্র সঙ্গীত জগতে স্বনামধন্য শিল্পী হিসাবে খ্যাতি লাভ করেন। মোহরদির সঙ্গে তার নিবিড় সখ্যতা ও পারিবারিক বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। পরে তিনি কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্মরণে 'কণিকা ধারা' নামে একটি সাংস্কৃতিক সংস্থা স্থাপন করেন, যার ধারা আজও অব্যাহত রয়েছে। কিংবদন্তি সুরকার সলিল চৌধুরীর সঙ্গীত পরিচালনায় তিনি প্রথম এবং মাত্র একবারই রবীন্দ্র সঙ্গীতের রেকর্ড করেন। সঙ্গীত বিন্যাস করেন সলিল চৌধুরীই। তার কণ্ঠে প্রথম গানটি ছিল হাসি কেন নাই ও নয়নে[২] তার কণ্ঠে গীত রবীন্দ্রসঙ্গীতের কয়েকটি হল-

  • জাগো অলস
  • দুয়ারে দাও মোরে রাখিয়া নিত্য কল্যাণ কাজে
  • তোমার এই মাধুরী ছাপিয়ে আকাশ
  • নাই যদি বা এলে
  • চোখ যে ওদের ছুটে চলে গো

শুধু রবীন্দ্রসঙ্গীতে নয়, অভিনয়েও বেশ দক্ষ ছিলেন তিনি। বিভিন্ন নাটকে নিয়মিত অংশগ্রহণ করতেন।[২] পরবর্তীতে গোরা সর্বাধিকারী বিশ্বভারতীর সঙ্গীতভবনের অধ্যক্ষ হন। পরে তিনি বিশ্বভারতীর সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক কর্মসমিতির সদস্যও হয়েছিলেন।

জীবনাবসান[সম্পাদনা]

গোরা সর্বাধিকারী পাঁচ বছর ধরে আলঝাইমার্স রোগে ভুগছিলেন। ২০২২ খ্রিস্টাব্দের ১৯শে জানুয়ারি, বুধবার শান্তিনিকেতনের এক বেসরকারি নার্সিংহোমে ৮০ বৎসর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।[৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]