বিষয়বস্তুতে চলুন

গোদা চিংড়ি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

গোদা চিংড়ি
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: অ্যানিম্যালিয়া
পর্ব: আর্থ্রোপোডা
উপপর্ব: ক্রাটেসিয়া (Crustacea)
শ্রেণী: মালাকোস্টারাকা (Malacostraca)
বর্গ: ডেকাপোডা (Decapoda)
পরিবার: পালামনইডা (Palaemonidae)
গণ: ম্যাক্রোব্রাকিয়াম
(Macrobrachium)
প্রজাতি: এম. রুড (M. rude)
দ্বিপদী নাম
ম্যাক্রোব্রাকিয়াম রুড
Macrobrachium rude

(হেলার, ১৮৬২)
প্রতিশব্দ
  • Palaemon rosenbergii (দে ম্যান, ১৮৭৯)
  • Palaemon mossumbicus (হিলগেনডর্ফ, ১৮৭৯)
  • Palaemon rudis (কাউটিয়েরে, ১৯০০)
  • Palaemon alcocki (নোবিলি, ১৯০৩)
  • Palaemon delagoae (স্টেবিং, ১৯১৫)
  • Urocaridella borradailei (স্টেবিং, ১৯২৩)

গোদা চিংড়ি (বৈজ্ঞানিক নাম; Macrobrahcium rude) হল 'পালামনইডা' পরিবারের অন্তর্ভুক্ত একটি চিংড়ির প্রজাতি। স্থানীয় ভাবে গোদা ইছা, পাইট্টা ইছা, ছোলা ইছা, কুচো চিংড়ি ইত্যাদি নামে পরিচিত।[]

বিস্তৃত

[সম্পাদনা]

এটি বাংলাদেশের স্থানীয় একটি প্রজাতি। বাংলাদেশের দক্ষিণের নদী ও খাল এ প্রজাতিটি দেখা যায়। বিশেষ করে বাগেরহাট, বরিশাল, পটুয়াখালী এবং সুন্দরবনে এ প্রজাতির চিংড়ি বেশি দেখা যায়। ভারত, কেনিয়া , দক্ষিণ আফ্রিকা সহ বিভিন্ন দেশে বর্তমানে এ চিংড়ি পাওয়া যায়।

খাদ্য

[সম্পাদনা]

এ চিংড়ি সর্বভুক এবং বেশিরভাগ সময় শেওলা, কোমল ঘাস, বিভিন্ন ধরনের জৈব পদার্থ খেয়ে থাকে। জলজ উদ্ভিদের পাতা ও কাণ্ড, কোপেপড, মোলাস্কস, জলজ পোকামাকড়, কৃমি এবং অন্যান্য ক্রাস্টেসিয়ানও খেয়ে থাকে।

স্বভাব

[সম্পাদনা]

এরা লোনা ও স্বাদু দুই রকমের পানিতেই থাকতে পারে এবং স্বচ্ছ স্রোতে থাকতে বেশি পছন্দ করে। এরা রাতে বেশি সক্রিয় থাকে।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. আইইউসিএন বাংলাদেশ, খণ্ড ৬, ক্রাস্টেসিয়ার লাল তালিকা