গোতাবায়া রাজাপক্ষ
গোতাবায়া রাজাপক্ষ | |
---|---|
![]() | |
শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি | |
দায়িত্ব গ্রহণ ৯ জানুয়ারি ২০২০ | |
যার উত্তরসূরী | মৈত্রীপাল সিরিসেন |
শ্রীলংকার সামরিক সচিব | |
কাজের মেয়াদ নভেম্বর ২০০৫ – ৮ জানুয়ারি ২০১৫ | |
রাষ্ট্রপতি | মহিন্দ রাজাপক্ষ |
প্রধানমন্ত্রী | রত্নসিরি বিক্রমনায়েক দিশানায়াকা মুদিয়ানসেনাগে জয়রত্নে |
পূর্বসূরী | অশোক জয়াবর্ধনে |
উত্তরসূরী | বি.এম.ইউ.ডি বসনায়েক |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | নন্দসেনা গোতাবায়া রাজাপক্ষ ২০ জুন ১৯৪৯ ভীরাকেতিয়া, সিলন সম্রাজ্য |
নাগরিকত্ব | |
দাম্পত্য সঙ্গী | আয়োমা রাজাপক্ষ |
সম্পর্ক | মহিন্দ রাজাপক্ষ (ভাই) বাসিল রাজাপক্ষ (ভাই) ছমল রাজাপক্ষ (ভাই) |
সন্তান | মনোজ |
পিতামাতা | ডি. এ. রাজাপক্ষ (পিতা) দন্দিনা রাজাপক্ষ (মাতা) |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | কলম্বো বিশ্ববিদ্যালয় |
ওয়েবসাইট | https://gota.lk/ |
সামরিক পরিষেবা | |
ডাকনাম | গোতা |
আনুগত্য | শ্রীলংকা |
শাখা | শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনী |
কাজের মেয়াদ | ১৯৭১–১৯৯২ |
পদ | লেফট্যানেন্ট কর্ণেল |
ইউনিট | গাজাবা রেজিমেন্ট |
কমান্ড | প্রথম গাজাবা রেজিমেন্ট জেনারেল স্যার কোতেলাওলা ডিফেন্স একাডেমি |
যুদ্ধ | প্রথম এলম যুদ্ধ দ্বিতীয় এলম যুদ্ধ |
পুরস্কার | ![]() |
গোতাবায়া রাজাপক্ষ (জন্ম ২০ জুন ১৯৪৯) শ্রীলঙ্কার একজন রাজনীতিবিদ ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা (অবসরপ্রাপ্ত লেঃ কর্নেল) যিনি ২০১৯ সালে শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজয়ী। তিনি তার ভাই সাবেক রাষ্ট্রপতি মহিন্দ রাজাপক্ষের নেতৃত্ত্বাধীন দল শ্রীলঙ্কা পডুজানা পারামুনা থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করে বিজয়ী হন। মহিন্দ রাজাপক্ষের শাসনামলে ২০০৫ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি দেশটির সামরিক সচিব ও এর সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন। তারা নেতৃত্বে সরকার তামিল টাইগার বিদ্রহীদের পরাজিত করে যার ফলে শ্রীলঙ্কার দীর্ঘস্থায়ী গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটে।
শ্রীলঙ্কার প্রভাবশালী রাজাপক্ষ রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম নেওয়া গোতাবায়া কলম্বোর আনন্দ কলেজে শিক্ষা লাভ করেন এবং ১৯৭১ সালের এপ্রিলে সিলন সেনাবাহিনীতে (বর্তমান শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনী) যোগদান করেন। দিয়াতালাভার সেনাবাহিনী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ গ্রহণ শেষে তিনি একক অফিসার হিসেবে কমিশনপ্রাপ্ত হন। পরবর্তীতে তাকে পদাতিক রেজিমেন্টে স্থানান্তর করা হয়। সেনাবাহিনীতে প্রবেশের পরপরই গোতাবায়া বেশি কিছু বড় ধরনের যুদ্ধে অংশ নেন যার মধ্যে রয়েছে ভাদামারাচি অপারেশন, অপারেশন স্ট্রাইক হার্ড ও অপারেশন থ্রিবিদ বালা। এছাড়াও ১৯৮৭ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত জেভিপি বিদ্রোহের সময় বিদ্রোহ বিরোধী অভিযানে অংশ নেন। তিনি সেনাবাহিনী থেকে বয়স শেষ হওয়ার পূর্বেই অবসর নেন এব তথ্য প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকে পড়েন। পরে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী হিসেবে স্থায়ী হন।
২০০৫ সালে তিনি তার ভাইয়ের নির্বাচনী প্রচারণার জন্য দেশে ফিরে আসেন ও তার ভাই বিজয়ী হওয়ার পর সেই প্রশাসনে সামরিক সচিব হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। তার সময়ে শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনী তামিল বিদ্রোহীদের পরাজিত করে ও এদের দলনেতা ভেলুপিল্লাই প্রভাকরণকে হত্যা করে যার ফলে দীর্ঘদিনের গৃহযুদ্ধের ইতি ঘটে। ফলে তিনি তামিল টাইগারদের অন্যতম লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হন এবং ২০০৬ সালে তামিল আত্মঘাতীরা তাকে গুপ্ত হত্যার চেষ্টা করে। তার সময়ে তিনি বেশ কিছু শহুরে উন্নয়নের প্রকল্প শুরু করেন। ২০১৫ সালে তার ভাই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর তিনিও সামরিক সচিবের পদ হারান। ২০১৮ সালের দিকে তিনি সম্ভাব্য রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা শুরু করেন এবং ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর তিনি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয় লাভ করেন। গোতাবায়ার বাবা ডি. এ. রাজাপক্ষও খ্যাতিমান রাজনীতিবিদ ছিলেন।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "Police to probe Gota's citizenship, passports"। Daily FT। Colombo, Sri Lanka। ১০ আগস্ট ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "Gota's Lanka citizenship in doubt, candidacy under cloud"। The Island। Colombo, Sri Lanka। ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ Singh, Anurangi (২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯)। "Gota's citizenship challenged in Court of Appeal"। Sunday Observer। Colombo, Sri Lanka। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "People want non-traditional politicians - Gotabhaya Rajapaksa"। www.dailymirror.lk (English ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০১-১৪।
- ↑ "CT finds Gota's true U.S. renunciation certificate"। Ceylon Today। ২০১৯-০৮-০১। ২০১৯-১০-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৮-০১।