গুরুদাসপুর পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
গুরুদাসপুর পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় | |
---|---|
অবস্থান | |
, | |
তথ্য | |
ধরন | মাধ্যমিক |
বিদ্যালয় বোর্ড | মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, রাজশাহী |
প্রধান শিক্ষক | জাহাঙ্গীর আলম |
লিঙ্গ | সহশিক্ষা |
শিক্ষার্থীর সংখ্যা | ১৫০০+ |
ভাষা | বাংলা |
ক্যাম্পাস | গ্রামীণ |
গুরুদাসপুর পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় হলো বাংলাদেশের নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলায় অবস্থিত একটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। এটি নাটোর জেলার একটি উল্লেখযোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
অবস্থান[সম্পাদনা]
গুরুদাসপুর পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা সদরে অবস্থিত। বিদ্যালয়ের অবস্থান ২৪°২২′৫″ উত্তর ৮৯°১৪′৫১″ পূর্ব থেকে ২৪.৩৬৮০৬° উত্তর ৮৯.২৪৭৫০° পূর্ব।
ইতিহাস[সম্পাদনা]
১৯১৭ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন নাটোর মহকুমার কয়েকজন ব্যক্তির উদ্যোগে গুরুদাসপুর পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৮ সালের ২৬শে জানুয়ারি বিদ্যালয়টির ১০০ বছর পূর্তি উদ্যাপন করা হয়।
অবকাঠামো[সম্পাদনা]
বিদ্যালয়টিতে মোট তিনটি ভবন রয়েছে। এর মধ্যে একটি সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য, একটি কারিগরি ভবন এবং অন্যটি বিদ্যালয়ের পুরনো ভবন। ভবনগুলোতে মোট কক্ষের সংখ্যা ৮৯টি; যার মধ্যে ৫৬টি ক্লাসরুম হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া একটি কক্ষ গ্রন্থাগার এবং একটি কক্ষ সততা স্টোর হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
শিক্ষক ও প্রশাসন[সম্পাদনা]
গুরুদাসপুর পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মোট শিক্ষকের সংখ্যা ৩৬ জন। বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক হলেন জাহাঙ্গীর আলম।
শিক্ষা কার্যক্রম[সম্পাদনা]
শিক্ষার্থী[সম্পাদনা]
গুরুদাসপুর পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করার সুযোগ রয়েছে। বিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১,৪০০ জন। এর মধ্যে ছাত্র প্রায় ৮৫০ জন ও ছাত্রী প্রায় ৫৫০ জন। প্রতিটি শ্রেণি দুই থেকে তিনটি শাখায় বিভক্ত। এছাড়া নবম ও দশম শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পড়ার সুযোগ রয়েছে।
বিদ্যালয়ের ছাত্রদের জন্য পোশাকের নির্ধারিত রঙ সাদা ও কালো। অন্যদিকে মেয়ে শিক্ষার্থীদের পোশাকের নির্ধারিত রঙ সবুজ ও সাদা। তবে, শিক্ষার্থীরা সহশিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ স্কাউটসের নির্ধারিত পোশাক পরিধান করে থাকে।
সহশিক্ষা কার্যক্রম[সম্পাদনা]
বিদ্যালয়ে সহশিক্ষা কার্যক্রম হিসেবে কাব স্কাউটিং চালু আছে। এছাড়া অন্যান্য সংঘের মধ্যে “সূর্য কিশোর”, “স্বর্ণ কিশোরী” প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
সততা স্টোর[সম্পাদনা]
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নৈতিকতার উন্নয়নের জন্য বিদ্যালয়ে একটি “সততা স্টোর” নামক একটি মুদি দোকান রয়েছে। এই দোকানে কোনো ব্যক্তি উপস্থিত থাকেন না; শিক্ষার্থীরা তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে বাক্সে টাকা রেখে যায়।