গুয়াহাটির পর্যটনস্থলসমূহের তালিকা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ঘড়ীর কাটার দিকে উপরের বাঁদিকের পড়া: ডিভাইন প্লাজা মল, নেডফি হাউজ, মোনাল প্লাজা, অনিল প্লাজা ডাউনটাউন গুয়াহাটি, পাহাড় থেকে রাতের দৃশ্য, গুয়াহাটিতে কুঁয়লী, গনেশগুড়ি উরণীয়া সেতু, ডিটি টাওয়ার্স

গুয়াহাটি আসাম-এর একটি মহানগর। একে প্রাচীনকালে "প্রাগজ্যোতিষপুর" নামে পরিচিত ছিল। এটি উত্তর-পূর্ব ভারত-এর বৃহত্তম মেট্রোপলিটান এলাকা এবং কলকাতা, পাটনার পরে পূর্ব ভারতের তৃতীয় বৃহৎ নগর। একে উত্তর-পূর্ব ভারতের 'প্রবেশদ্বার' বলাও হয়। প্রাচীন প্রাগজ্যোতিষপুর ছিল কামরূপ রাজ্য-এর রাজধানী। বর্তমানেও এখানে অনেক পুরানো মঠ-মন্দির দেখতে পাওয়া যায়। কামাখ্যা মন্দির, উমানন্দ মন্দির, নবগ্রহ মন্দির, শুক্রেশ্বর মন্দির, বশিষ্ঠ মন্দির, দৌল গোবিন্দ মন্দির ইত্যাদি এগুলির মধ্যে অন্যতম।

ধর্মীয় স্থান[সম্পাদনা]

কামাখ্যা মন্দির
কামাখ্যা মন্দির, গুয়াহাটি

কামাখ্যা মন্দির হিন্দু ধর্ম-এর এক প্রাচীন মন্দির। গোটা ভারতে ব্যাপ্ত হয়ে থাকা মোট ৫১টি দেবীপীঠের মধ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পীঠ এই কামাখ্যা মন্দির।[১] নীলাচল পাহাড়ে অবস্থিত কামাখ্যা দেবীর এই মন্দিরকেই আসামের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ এবং প্রভাবশালী মন্দির বলে ভাবা হয়। অতি প্রাচীন কাল থেকেই আসামের ইতিহাসের রাজনৈতিক এবং ধার্মিক দুই দিক দিয়ে শক্তি উপাসনার কেন্দ্রস্থল কামাখ্যা অতিশয় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে আসছে।

  • বশিষ্ঠ আশ্রম
  • শুক্রেশ্বর মন্দির
  • উমানন্দ মন্দির
  • নবগ্রহ মন্দির
  • দৌল গোবিন্দ মন্দির

প্রাকৃতিক[সম্পাদনা]

দীপের বিল
দীপের বিল

গুয়াহাটি মহানগরীর দক্ষিণ পশ্চিম দিকে অবস্থিত এক বিস্তৃত জলাভূমি। এটি পৌরাণিক কামপীঠের অন্তর্গত ছিল। ২০০২ সালের নভেম্বর মাসে দীপের বিলকে উত্তর-পূর্বাঞ্চল-এর একমাত্র রামচর অঞ্চল বলে ঘোষণা করা হয়।[২] এ ছাড়াও, বার্ড লাইফ ইন্টারন্যাশনাল (Bird Life International)-এ দীপের বিলকে অতি গুরুত্বপূর্ণ পক্ষী সংরক্ষিত এলাকা (Important Bired Area) বলে চিহ্নিত করেছে।

দীঘলীপুখুরী

অন্যান্য[সম্পাদনা]

শ্রীমন্ত শংকরদেব কলাক্ষেত্র
শ্রীমন্ত শংকরদেব কলাক্ষেত্র

গুয়াহাটি-এর পাঞ্জাবাড়িতে অবস্থিত এক সাংস্কৃতিক ভবন। এটি পর্যটকদের জন্য এক মূল আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। এই ভবনের নাম পণ্ডিত মহাপুরুষ শ্রীমন্ত শংকরদেব-এর নামে রাখা হয়েছে[৩]। প্রায় ১৪ একর আয়তন জুড়ে থাকা এই সাংস্কৃতিক ভবন ১৯৮৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। অসমীয়া সংস্কৃতি-এর প্রতীকসমূহের এটি এক অন্যতম কেন্দ্রস্থল। আসামের সঙ্গীত জগতের অন্যতম প্রসিদ্ধ এবং পুরোধা ব্যক্তি ভূপেন হাজারিকাদেবের এক সংগ্রহালয়ও এখানে স্থাপন করা হয়েছে।[৪]

জ্যোতি চিত্রবন

জ্যোতি চিত্রবন চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান সমগ্র উত্তর-পূর্ব ভারত-এর একমাত্র চলচ্চিত্র স্টুডিও।[৫] পূর্বে এই প্রতিষ্ঠানটি জ্যোতি চিত্রবন বলে পরিচিত ছিল। গুয়াহাটি-এর কাহিলীপারাতে অবস্থিত এই স্টুডিওর নামকরণ করা হয়েছিল প্রথম অসমীয়া চলচ্চিত্র নির্মাতা জ্যোতিপ্রসাদ আগরওয়ালার স্মৃতিতে। ১৯৬৮ সালে জ্যোতি চিত্রবন ফিল্ম স্টুডিও নামে এই স্টুডিওর স্থাপন করা হয়েছিল। ১৯৯৯ সালে জ্যোতি চিত্রবনকে প্রতিষ্ঠানিক ভাবে 'জ্যোতি চিত্রবন চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান' বলে অভিহিত করে চলচ্চিত্র এবং দূরদর্শনের সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষা প্রদানের অনুষ্ঠান হিসাবে গড়ে তোলা হয়েছে। আসাম এবং উত্তর পূর্বাঞ্চলে এটি চলচ্চিত্র এবং দূরদর্শন বিষয়ক প্রশিক্ষণের একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "কামাখ্যা ধাম"thesundayindian.com। Planman Media Pvt. Ltd.। মার্চ ৪, ২০১২। আগস্ট ৮, ২০২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ২০, ২০১৩ 
  2. রনৌজ কুমার গগৈ, মনৌরঞ্জন মজুমদার (২০১২)। "জলাহভূমি দীপর বিল"। দৈনিক জনমভূমির দেওবরীয়া আলোচনী বসুন্ধরা: পৃষ্ঠা: ৮, ৯।  অজানা প্যারামিটার |month= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  3. "Srimanta Sankardeva Kalakshetra India Tourist Information"। Touristlink.com। ২০১৩-০২-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৩-১২ 
  4. "Srimanta Sankaradeva Kalakshetra"। Kalakshetra-assam.gov.in। ২০১৩-০৫-০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৩-১২ 
  5. "Jyoti Chitraban Film and Television Institute"। minglebox.com। এপ্রিল ১২, ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০১৩