খালেদ মোশাররফ হত্যাকাণ্ড

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(খালেদ মোশাররফের হত্যাকাণ্ড থেকে পুনর্নির্দেশিত)

মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফকে ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দের ৭ নভেম্বর হত্যা করা হয়। তিনি ছিলেন একজন বাংলাদেশী সেনা কর্মকর্তা যিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেক্টর ২ এর সেক্টর কমান্ডার আর কে ফোর্সের ব্রিগেড কমান্ডার ছিলেন।

মুজিব হত্যাকাণ্ড সঙ্ঘটনকারী সামরিক অভ্যুত্থানের প্রতিবাদ হিসেবে পাল্টা অভ্যুত্থানের অনতিবিলম্বকাল পরে সঙ্ঘটিত একটি অভ্যুত্থান প্রচেষ্টায় খালেদ মোশাররফকে তার সহকর্মী অফিসার সমেত হত্যা করা হয়।

প্রেক্ষাপট[সম্পাদনা]

১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কতিপয় কর্মকর্তা মিলে হত্যা করে। হত্যার পরে, খোন্দকার মোশতাক আহমদ হত্যাকারী কর্মকর্তাদের পরামর্শ অনুসারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ গ্রহণ করেন। সেনা কর্মকর্তাগণ বঙ্গভবন (রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন) দখল করে এবং রাষ্ট্রপতিকে নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করে, যা নতুন জাতির মধ্যে চাক্ষুষ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে।[১]

মোশাররফ বঙ্গভবনের অভ্যন্তরে থাকা খুনিদের থামানোর সিদ্ধান্ত নেন এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মধ্যে একটি অভ্যুত্থান পরিচালনা করেন। ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দের ৩ নভেম্বর তিনি নিজেকে সেনাবাহিনী প্রধান ঘোষণা করেন। তার আদেশ মোতাবেক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব মিলিটারি স্টাফ মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান কে গৃহবন্দী করা হয়। ৬ নভেম্বরে, মোশাররফকে ডেপুটি চিফ মার্শাল ল অ্যাডমিনিস্ট্রেটরদের একজন হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।[১]

১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনারা একটি বিদ্রোহ করে।[২]

পরিকল্পনা[সম্পাদনা]

ঘটনাবলি


মৃত্যু[সম্পাদনা]

চিফ অফ স্টাফের আশ্বাস পাওয়ার পর নওয়াজিশ অফিসারদের জন্য সকালের খাবারের ব্যবস্থা করেন।[৩] তিনজনকে খাবার পরিবেশনের সঙ্গে সঙ্গে ইউনিফর্ম পরা কিছু যুবক, সম্ভবত তাহেরের বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার কিছু কর্মী, ছুটে এসে ঘরে ঢুকে তিনজনকে বন্দুক দেখিয়ে জোর করে বের করে দেয় এবং এরপর গুলি করে ও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাদের বেয়োনেটচার্জ করে।[৪]

কিছু অভ্যন্তরীণ সামরিক সূত্রে জানা যায়, বিপ্লবী সৈনিক সংস্থার কয়েকজন কর্মী এই কর্নেল আসাদুজ্জামানকে উক্ত হত্যা করার বার্তা দিয়েছিলেন, যিনি পরবর্তীতে এই তিনজন কর্মকর্তাকে হত্যার নেতৃত্বদানকারী হিসেবে অভিযুক্ত হন।[৫]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Anthony Mascarenhas (১৯৮৬)। Bangladesh: A Legacy of Blood। Hodder and Stoughton। আইএসবিএন 0-340-39420-X 
  2. মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরী (২০০০)। এক জেনারেলের নীরব সাক্ষ্য। মাওলা ব্রাদার্স। 
  3. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; Hamid নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  4. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; The Daily Star নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  5. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; Rafiq নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি