বিষয়বস্তুতে চলুন

কেভাদা মসজিদ

কেভাদা মসজিদ
কেভাদা মসজিদ
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
জেলাপঞ্চমহল
নেতৃত্বমাহমুদ বেগাদা
পবিত্রীকৃত বছর১৫শ শতাব্দী
অবস্থাইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ
অবস্থান
অবস্থানভারত
পৌরসভাচম্পানার
রাজ্যগুজরাত
কেভাদা মসজিদ গুজরাত-এ অবস্থিত
কেভাদা মসজিদ
গুজরাতে অবস্থান
কেভাদা মসজিদ ভারত-এ অবস্থিত
কেভাদা মসজিদ
গুজরাতে অবস্থান
স্থানাঙ্ক২২°২৯′০৯″ উত্তর ৭৩°৩২′১৪″ পূর্ব / ২২.৪৮৫৯° উত্তর ৭৩.৫৩৭১° পূর্ব / 22.4859; 73.5371
স্থাপত্য
ধরনমসজিদ
সম্পূর্ণ হয়১৫শ শতাব্দী
বিনির্দেশ
গম্বুজসমূহপাঁচ
মিনারদুই

কেভাদা মসজিদ পশ্চিম ভারতের গুজরাত রাজ্যের চম্পানেরে অবস্থিত একটি মসজিদ। এটি চম্পানের-পাওয়াগড় প্রত্নতাত্ত্বিক উদ্যানের অংশ এবং ইউনেস্কো স্বীকৃত একটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান। মসজিদটিতে মিনার, গ্লোব-সদৃশ গম্বুজ ও সরু সিঁড়ি রয়েছে।[] রুগলেস (২০০৮) অনুসারে, কেভাদা মসজিদের স্থাপত্যে প্রকৃতিকে এমনভাবে একীভূত করা হয়েছিল যা ইসলামি বিশ্বের অন্যান্য স্থাপত্যের তুলনায় অস্বাভাবিক ছিল।[]

বাওয়ামন, এক মিনার, জামা, খেজুরি, নাগিনা ও শাহর কি-এর ন্যায় অন্যান্য মসজিদের মতো এই মসজিদটি মাহমুদ বেগাদার সময়ে চম্পানের এ নির্মিত হয়েছিল।[] জেমস বার্জেস ও হেনরি কুসেনস কেভাদা, জামা এবং নাগিনা মসজিদের বর্ণনা লেখার পরে, সেগুলোর কাছে পৌঁছানোর জন্য রাস্তা তৈরি করা হয়েছিল।[] কেভাদা সমাধিসৌধের জন্য বিখ্যাত। কেভাদার পশ্চিমে কাঠরা মসজিদ অবস্থিত।[]

মসজিদটিতে অনেক মিহরাব রয়েছে, সবগুলোই জটিলভাবে খোদাই করা। মসজিদে নামাজের আগে অযু করার জন্য একটি ইটের ট্যাংক রয়েছে। ট্যাংকের পাশে বর্গাকৃতির একটি স্মৃতিস্তম্ভ রয়েছে। মসজিদের বিন্যাস আয়তাকার। দেওয়াল এবং কলামে জ্যামিতিক আকৃতিতে নকশা করা হয়েছে। প্রার্থনা কক্ষটি দ্বিতল কাঠামোর যেখানে তিনটি গম্বুজ রয়েছে, যদিও কেন্দ্রীয় গম্বুজটি এখন আর নেই। জানালাগুলো জটিলভাবে খোদাই করা সজ্জা সহ, স্তম্ভগুলির উপর একটি বারান্দা রয়েছে। এখানে দুটি মিনার রয়েছে, যেগুলো জটিল খোদাই দিয়ে সজ্জিত করা রয়েছে।[][][] ১৯৮০-এর দশকে এখানে পুনরুদ্ধারের কাজ করা হয়েছিল।[]

ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ (এএসআই)-এর ২০০৬ সালের রিপোর্ট থেকে জানা যায় যে কেভাদা মসজিদ, চম্পানের-পাভাগড় আর্কিওলজিক্যাল পার্ক, জামে মসজিদ, দুর্গের প্রাচীর, বাওয়ানা মসজিদ, লীলা গুবাজ, সিকান্দার শাহ সমাধি এবং সিকান্দার সমাধিতে ব্যাপক পুনর্নির্মাণের কাজ করা হয়েছিল, যার ফলে এই স্থানগুলিতে পর্যটকদের চলাচল সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছিল। এএসআই ইতোমধ্যে চার বছরের মধ্যে সংরক্ষণের জন্য ২.২৫ কোটি টাকা (প্রায় ০.৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ব্যয় করেছে এবং জায়গাগুলো পুনরুদ্ধারের জন্য আরও ১.১৫ কোটি টাকা (০.২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) বরাদ্দ করা হয়েছে।[১০]

কেভাদা মসজিদের সামনে স্মৃতিস্তম্

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Singh, Sarina (১ সেপ্টেম্বর ২০০৯)। India। LP। পৃ. ৭৪২–। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৭৪১৭৯-১৫১-৮। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১২
  2. Ruggles, D. Fairchild; Silverman, Helaine (১৫ জুন ২০০৯)। Intangible Heritage Embodied। Springer। পৃ. ৯০–। আইএসবিএন ৯৭৮-১-৪৪১৯-০০৭১-৫। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১২
  3. Congress (২০০৩)। Proceedings of the Indian History Congress। Indian History Congress। পৃ. ৩৪২। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১২
  4. Khanna, Amar Nath (১ ফেব্রুয়ারি ১৯৯২)। Archaeology of India: retrospect and prospect। Clarion Books। পৃ. ২২৩। আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৮৫১২০-১৭-১। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১২
  5. Gujarat (India) (১৯৭২)। Gujarat State Gazetteers: Panchmahals। Directorate of Government Print., Stationery and Publications, Gujarat State। পৃ. ৯৫, ৭৬২, ৭৬৮। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১২
  6. "Mosques of Champaner"। Official Web site of Government of Gujarat Tourism। ১৬ অক্টোবর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১২
  7. "World Heritage Sites - Champaner - Monuments at Champaner"। Archaeological Survey of India। ১ মে ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১২
  8. B. Busa Goud। "Scientific Conservation of World Heritage Monuments of Champaner-Pavgadh" (pdf)। UNESCO. Org। সংগ্রহের তারিখ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১২
  9. Bombay (India : State). General Dept (১৮৯৭)। Archaeology, Progress Report। Archaeological Survey of India. Western Circle। পৃ. । সংগ্রহের তারিখ ১ অক্টোবর ২০১২
  10. "World heritage site Champaner-Pavagadh neglected"। News Online। ১১ নভেম্বর ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ৭ অক্টোবর ২০১২[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]