কুর্শা কে.এন. মাধ্যমিক বিদ্যালয়
কুর্শা কে.এন. মাধ্যমিক বিদ্যালয় | |
---|---|
অবস্থান | |
কুর্শা, কুর্শা ইউনিয়ন, মিরপুর উপজেলা | |
স্থানাঙ্ক | ২৩°৫০′২৪″ উত্তর ৮৮°৫৬′২৭″ পূর্ব / ২৩.৮৪০০১৭৭° উত্তর ৮৮.৯৪০৮৭৬৫° পূর্ব |
তথ্য | |
অন্য নাম | কুর্শা কেদার নাথ মাধ্যমিক বিদ্যালয় |
প্রাক্তন নাম | কুর্শা কে.এন. বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় |
বিদ্যালয়ের ধরন | এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয় |
প্রতিষ্ঠাকাল | ১৮৮৯ |
প্রতিষ্ঠাতা | কেদার নাথ জোয়ার্দার |
অবস্থা | সক্রিয় |
বিদ্যালয় বোর্ড | যশোর শিক্ষা বোর্ড[১] |
বিদ্যালয় জেলা | কুষ্টিয়া জেলা |
ইআইআইএন | ১১৭৮৩০ |
প্রধান শিক্ষক | সোলাইমান হোসেন[২] |
শিক্ষকমণ্ডলী | ১৭ জন[৩] |
শিক্ষার্থী সংখ্যা | ৪০০ (প্রায়)[৩] |
শ্রেণি | ৬ষ্ঠ-১০ম |
ভাষা | বাংলা |
আয়তন | ৩ একর (১২,০০০ মি২) |
ক্যাম্পাসের ধরন | গ্রামীণ |
ওয়েবসাইট | kurshaknsecondaryschool |
কুর্শা কে.এন. মাধ্যমিক বিদ্যালয় (পূর্বনাম: কুর্শা কে.এন. বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়) কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নে অবস্থিত যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনস্থ একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়।[২][৪][৫] ১৮৮৯ সালে স্থানীয় হিন্দু জমিদার কেদার নাথ জোয়ার্দার বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত করেন।[৬] বিদ্যালয়টি কুর্শা কেদার নাথ মাধ্যমিক বিদ্যালয় নামেও পরিচিত।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৮৮৯ সালে স্থানীয় হিন্দু জমিদার কেদার নাথ জোয়ার্দার প্রায় ১০ একর (৪০,০০০ মি২) জমির উপর বিদ্যালয়টি স্থাপন করেন।[৬] প্রতিষ্ঠার নামানুসারেই বিদ্যালয়টির নামকরণ করা হয়েছে।
ব্রিটিশ আমল
[সম্পাদনা]১৮৮৯ সালে ১ম-৭ম শ্রেণি পর্যন্ত এমই (ইংলিশ মিডিয়াম) বিদ্যালয় হিসেবে চালু হয়। বিদ্যালয়ের প্রথম প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কেদার নাথ জোয়ার্দার-এর ছেলে হরিনাথ জোয়ার্দার। ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কুমার দত্ত।[৬]
পাকিস্তান আমল
[সম্পাদনা]ভারত উপমহাদেশ ভাগের পর কুমার দত্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কারণে ১৯৫৬ সালে বিদ্যালয়টি বন্ধ হয়ে যায়।[৬]
স্বাধীনতার পরবর্তী সময়
[সম্পাদনা]১৯৫৬ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ২৮ বছর পর ১৯৮৩ সালে বিদ্যালয়টি পুণরায় যাত্রা শুরু করে। তখন সাবদার হোসেন প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব নেয়। পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক হন জহির উদ্দিন। তিনি অবসরে গেলে ২০১১ সাল থেকে নুরুন্নবী প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৬] বর্তমান প্রধান শিক্ষক হলেন সোলাইমান হোসেন।[২]
বিদ্যালয়টি প্রথমে ১০ একর (৪০,০০০ মি২) একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হলেও বর্তমানে এই জমির পরিমাণ ৩ একর (১২,০০০ মি২) একর। বাকি জমি স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির দখলে চলে গিয়েছে।[৬]
অবস্থান
[সম্পাদনা]বিদ্যালয়টি কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের মাজিহাট গ্রামের পার্শ্ববর্তী কু্র্শা গ্রামে অবস্থিত। নিকটবর্তী শহর মিরপুর থেকে বিদ্যালয়টির দুরত্ব ১৭ কিলোমিটার এবং কুষ্টিয়া শহর থেকে বিদ্যালয়টির দুরত্ব ২৫ কিলোমিটার।
শিক্ষা কার্যক্রম
[সম্পাদনা]বিদ্যালয়টি যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনস্থ।[১] বিদ্যালয়ে ১৭ শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৪০০।[৩]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "Kursha K.N. Secondary School, EIIN - 117830"। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৬-২৬।
- ↑ ক খ গ জেলা প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া (২০২৪-০১-৩১)। "বিদ্যালয়ের পাশেই ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে কাঠ, ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা"। ঢাকা পোস্ট। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৬-২৬।
- ↑ ক খ গ ডেস্ক রিপোর্ট (২০২৪-০১-২২)। "কুষ্টিয়ায় স্কুল গিলে খাচ্ছে অবৈধ ইটভাটা"। দৈনিক নবদেশ ২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৬-২৬।
- ↑ নিজস্ব প্রতিবেদক, কুষ্টিয়া (২০২২-১২-০৪)। "আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষককে কিলঘুষি মারার অভিযোগ"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৬-২৬।
- ↑ এস.এম. রাশেদ (২০২৪-১২-০৫)। "প্রধান শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে"। সময় সংবাদ। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৬-২৬।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া (২০১৭-০৪-২৬)। "শতবর্ষী আলোর বাতিঘর কুর্শা কেএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়"। দৈনিক শিক্ষা ডটকম। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৬-২৬।