কালিবক
কালিবক | |
---|---|
![]() | |
মনোনিত উপপ্রজাতি, Ixobrychus flavicollis flavicollis, শ্রীলঙ্কা | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | প্রাণীজগৎ |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | পক্ষী |
বর্গ: | Pelecaniformes |
পরিবার: | Ardeidae |
গণ: | Ixobrychus |
প্রজাতি: | I. flavicollis |
দ্বিপদী নাম | |
Ixobrychus flavicollis (Latham, 1790) | |
প্রতিশব্দ | |
Dupetor flavicollis |
কালিবক (বৈজ্ঞানিক নাম: Ixobrychus flavicollis), কালা বগলা বা কালোবক বা চরখুচি[২] Ardeidae (আর্ডেইডি) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত Ixobrychus (ইক্সোব্রাইকাস) গণের অন্তর্গত এক প্রজাতির কালচে ছোট আকারের জলচর পাখি।[৩][৪][৫] দারুণ কুশলী এই বক বুদ্ধিমান-চতুর ও মাছ-ব্যাঙ শিকারে তুখোড়। স্থির, নিশ্চল থাকতে ব্যাপক পারদর্শী এরা। কালিবকের বৈজ্ঞানিক নামের অর্থ হলদেঘাড় ঠকঠকিয়া (গ্রিক: doupetor = ঠকঠক শব্দকারী; লাতিন: flavus = সোনালি-হলুদ, -collis = ঘাড়ের)।[৫] পাখিটি বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ওশেনিয়ার বিভিন্ন দেশে দেখা যায়। সারা পৃথিবীতে এক বিশাল এলাকা জুড়ে এদের আবাস, প্রায় ৮৬ লক্ষ ৯০ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এদের আবাস।[৬] বিগত কয়েক দশক ধরে এদের সংখ্যা ক্রমেই কমছে, তবে আশঙ্কাজনক পর্যায়ে যেয়ে পৌঁছেনি। সেকারণে আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে।[১] বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।[৫]
আকার
[সম্পাদনা]মাপ ৫৮ সেন্টিমিটার। ওজন ৩০০ থেকে ৪২০ গ্রাম পর্যন্ত হয়। মাথার তালু এদের চকচকে স্লেট রঙের। এই রংটি ঘাড়-গলার উপরিভাগ হয়ে সারা পিঠে ছড়িয়ে গেছে কালো রং হয়ে। গলার তলা দিয়ে কমলাটে-নীল চওড়া একটা রেখা ঘাড়ের পাশ দিয়ে বুক অবধি নেমে এসেছে। বুকে খাড়া খাড়া কালচে টান। ঠোঁট লালছে ধূসর। পা ও পায়ের পাতা ঘন বাদামি।[৩]
খাদ্য
[সম্পাদনা]এরা মাছ, ব্যাঙ, ছোট জলসাপ, পোকা-পতঙ্গ ইত্যাদি খেয়ে থাকে। ঘাসফড়িং এদের অতি প্রিয় খাদ্য।[৩]
স্বভাব
[সম্পাদনা]এরা নিশাচর। কালিবক সাধারণত ঊষা ও গোধূলি বেলায় শিকার করতে বের হয়। ফুটফুটে জোছনা রাতেও শিকার করতে বের হয়।[৩] কালিবক নিচু গাছ বা ঝোপঝাড়ের শুকনো ডালপালা দিয়ে বাসা করে। চারটি ডিম পাড়ে। ১৮ থেকে ২২ দিনে ডিম ফোটে।[২]
গ্যালারি
[সম্পাদনা]-
গলা লম্বা করে বসে থাকার স্বভাব রয়েছে কালিবকের, অন্ধ্রপ্রদেশ, ভারত.
-
উড়ন্ত কালিবক, কলকাতা, ভারত
-
জোসেফ স্মিট অঙ্কিত I. f. australis, ১৮৯৮
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "Ixobrychus flavicollis"। The IUCN Red List of Threatened Species। ২০১২-১১-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৬-১৫।
- ↑ ক খ "বড়শিতে ধরা পড়ল কালিবক, পরে অবমুক্ত"। দৈনিক প্রথম আলো। ১ নভেম্বর ২০২১। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ১৪, ২০২১।
- ↑ ক খ গ ঘ শরীফ খান (০২-১১-২০১২)। "বকের নাম কালিবক"। দৈনিক প্রথম আলো। ২০১৮-০৬-১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০১৩। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ রেজা খান (২০০৮)। বাংলাদেশের পাখি। ঢাকা: বাংলা একাডেমী। পৃষ্ঠা ৮২। আইএসবিএন 9840746901।
- ↑ ক খ গ জিয়া উদ্দিন আহমেদ (সম্পা.) (২০০৯)। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ: পাখি, খণ্ড: ২৬। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ২৯৩–৪।
- ↑ "Black Bittern Ixobrychus flavicollis"। BirdLife International। ২০১৫-১০-২৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৬-১৫।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]
- Oriental Bird Images ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৮ অক্টোবর ২০১৫ তারিখে, আরও আলোকচিত্র।
- আইইউসিএন লাল তালিকার ন্যূনতম উদ্বেগজনক প্রজাতি
- জলচর পাখি
- এশিয়ার পাখি
- বাংলাদেশের পাখি
- পাকিস্তানের পাখি
- শ্রীলঙ্কার পাখি
- চীনের পাখি
- পূর্ব তিমুরের পাখি
- নেপালের পাখি
- জাপানের পাখি
- লাওসের পাখি
- মিয়ানমারের পাখি
- ভারতের পাখি
- ভিয়েতনামের পাখি
- কম্বোডিয়ার পাখি
- থাইল্যান্ডের পাখি
- মালয়েশিয়ার পাখি
- সিঙ্গাপুরের পাখি
- ব্রুনাইয়ের পাখি
- ইন্দোনেশিয়ার পাখি
- ফিলিপাইনের পাখি
- অস্ট্রেলিয়ার পাখি
- তাইওয়ানের পাখি
- সলোমন দ্বীপপুঞ্জের পাখি
- মালদ্বীপের পাখি
- পাপুয়া নিউ গিনির পাখি
- ১৭৯০-এ বর্ণিত পাখি
- দক্ষিণ এশিয়ার পাখি
- দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পাখি
- ওশেনিয়ার পাখি