কারসাকপে শিলালিপি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
চিত্র:The Karsakpay inscription.jpg
হারমিটেজ মিউজিয়ামে কারসাকপে শিলালিপি

কারসাকপে শিলালিপি (এটিকে তৈমুরের পাথরও বলা হয়)[১] ২৮ এপ্রিল, ১৩৯১[২] কাজাখস্তানের কারসাকপে খনির কাছে উলু তাগ পর্বতমালার একটি পাথরের টুকরোতে খোদাই করা একটি বার্তা। এটি ১৯৩৫ সালে পাওয়া যায়।[২][৩] এতে আরবিতে তিনটি লাইন এবং চাগাতাইতে আটটি লাইন নিয়ে গঠিত, যা পুরাতন উইঘুর বর্ণমালায় লেখা।[৪]

আবিষ্কারের পর, কারসাকপে শিলালিপিটি ১৯৩৬ সালে লেনিনগ্রাদের (বর্তমানে সেন্ট পিটার্সবার্গ) হারমিটেজ মিউজিয়ামে নিয়ে যাওয়া হয়,[২] যেখানে এটি আজ রয়েছে।[৫][৬] শিলালিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে কিভাবে তৈমুর শিলালিপি পাঠকারীদের কাছে প্রার্থনা করে তাকে স্মরণ করতে বলছে।[৭]

শিলালিপিটি ১৯৪০ সালে নিকোলাস পপ্পে কর্তৃক গবেষণা ও প্রকাশ করা হয়। পরে নেপিল বাজিলহান, হাসান এরেন, ওলগা বোরিসোভনা ফ্রোলোভা, এপি গ্রিগোরিভ, এনএন টেলিটসিন, এএন পোনোমারেভ এবং জেকি ভেলিদি টোগান এটির উপর গবেষণা করেছিলেন।[৩]

পরিমাপ[সম্পাদনা]

শিলালিপির পরিমাপ ৮০x৪০ সেন্টিমিটার। খোদাইয়ের গভীরতা ১.৫-২ মিলিমিটার। আরবি এবং চাগাতাই লাইনের মধ্যে দূরত্ব ১৮ সেন্টিমিটার।[২]

বিবরণ[সম্পাদনা]

শিলালিপিটি ১৩৭৮ থেকে ১৩৯৫ সাল পর্যন্ত গোল্ডেন হোর্ডের শাসক তোখতামিশের বিরুদ্ধে অভিযানের জন্য তৈমুর, একজন তুর্কো-মঙ্গোল বিজয়ী এবং তার ২০০,০০০ জন সৈন্যের ক্রসিং এবং বেতপাক-ডালা-এর আধা-মরু অঞ্চলের মধ্য দিয়ে যাওয়ার পথটি উল্লেখ করে।[৬]

১৫শতকের প্রথম ত্রৈমাসিকে লেখা জাফরনামা (বিজয়ের বই ), এর লেখক শরফ আদ-দিন আলী ইয়াজদি সেই অভিযানের একটি ঐতিহাসিক ঘটনা দিয়েছেন:

সেই স্টেপ্পের আনন্দময় জরিপের জন্য, তৈমুর পাহাড়ের চূড়ায় উঠেছিলেন, পুরো সমভূমিটি সবুজ ছিল। তিনি সেদিন সেখানেই ছিলেন, (তারপর) একটি উচ্চ আদেশ বেরিয়ে এল, যাতে সৈন্যরা পাথর নিয়ে আসে এবং একটি বাতিঘরের মতো একটি উচ্চ চিহ্ন সেই স্থানে স্থাপন করা হয়েছিল। দক্ষ প্রস্তর খোদাইকারকেরা এতে সেই দিনের তারিখ খোদাই করে, যাতে সময়ের বুকে অনুস্মারকটি থেকে যায়।[৮]

সম্পূর্ণ পাঠ্য[সম্পাদনা]

আরবি[সম্পাদনা]

আরবি প্রতিবর্ণীকরণ: (আন্তর্জাতিক তুর্কিক একাডেমি দ্বারা) [৩]

চাগাতাই[সম্পাদনা]

চাগাতাই প্রতিবর্ণীকরণ: (আন্তর্জাতিক তুর্কিক একাডেমি দ্বারা) [৩]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Fomin, V. N.; Usmanova, E.R. (২০১৮)। "Chemical-technological analysis of slags from the "Altynshoky" complex" (পিডিএফ): 1। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০২০ 
  2. Ponomarev, A. I. (১৯৪৫)। "ПОПРАВКИ К ЧТЕНИЮ "НАДПИСИ ТИМУРА" (Amendments to the Readings of Timor's inscriptions" (পিডিএফ) (রুশ ভাষায়)। Academy of Sciences of USSR: 222 – 224। 
  3. "Emir Temir'in Yazıtı (Karsakpay //Аltın Şokı anıtı), 1391. Karsakpay Anıtı. Petersburg, Devlet Ermitaj Sergisi Karsakpay Anıtı. N.N.Poppe"। ২ অক্টোবর ২০২০। 
  4. Grigoryev, A. P. (২০০৪)। Historiography and source study of the history of the countries of Asia and Africa। পৃষ্ঠা 3 – 24। 
  5. Trever, Kamilla Vasilyevna; Yakubovskiy, A.Y. (১৯৪৭)। История народов Узбекистана (History of the Peoples of Uzbekistan) (রুশ ভাষায়)। Тревер। পৃষ্ঠা 355। আইএসবিএন 978-5-458-44514-6 } (রেজিষ্ট্রেশন প্রয়োজন)
  6. Allworth, Edward (১৯৯০)। The modern Uzbeks: from the fourteenth century to the present: a cultural history। Hoover Institution Press। পৃষ্ঠা 215। আইএসবিএন 9780817987329 
  7. Brummell, Paul (২০০৮)। Kazakhstan। Bradt Travel Guides। পৃষ্ঠা 203। ওসিএলসি 263068377 
  8. Tizengauzen, V.G. (১৯৪১)। Сборник материалов, относящихся к истории Золотой орды (Collection of materials related to the history of the Golden Horde) (রুশ ভাষায়)। Academy of Sciences of the Soviet Union 
  9. "Altynshoky"। ৬ নভেম্বর ২০২০। 
  10. "A mysterious stone of Timur"। Silk Roads World Heritage। ২০১৬। ২৬ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০২০ 

টেমপ্লেট:Central Asian historyটেমপ্লেট:Turkic inscriptions