কাজেমউদ্দিন আহমেদ সিদ্দিকী
এই নিবন্ধটির একটা বড়সড় অংশ কিংবা সম্পূর্ণ অংশই একটিমাত্র সূত্রের উপর নির্ভরশীল। (সেপ্টেম্বর ২০২১) |
কাজেমউদ্দিন আহমেদ সিদ্দিকী | |
---|---|
জন্ম | ১৮৭৬ |
মৃত্যু | ১৯৩৭ |
নাগরিকত্ব | ব্রিটিশ ভারত |
পেশা | জমিদার |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | শান্তি-সোপান (ফারসি সিরাজুস সালেকিন গ্রন্থের বঙ্গানুবাদ) |
রাজনৈতিক দল | মুসলিম লীগ |
পুরস্কার | খান বাহাদুর |
কাজেমউদ্দিন আহমেদ সিদ্দিকী (১৮৭৬-১৯৩৭) ছিলেন ব্রিটিশ ভারতের একজন বাঙালি জমিদার, রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক।[১]
প্রারম্ভিক জীবন
[সম্পাদনা]কাজেমউদ্দিন আহমেদ সিদ্দিকী ১৮৭৬ সালে গাজিপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বলিয়াদি গ্রামের একটি সম্ভ্রান্ত জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পরিবার প্রথম খলিফা আবু বকরের বংশধর বলে প্রচলিত রয়েছে। পারিবারিক রীতি অনুযায়ী তিনি বাড়িতে গৃহশিক্ষকের অধীনে লেখাপড়া করেছেন। তিনি বাংলা, ইংরেজি, আরবি, ফারসি ও উর্দু ভাষায় দক্ষ ছিলেন।[১]
জীবনী
[সম্পাদনা]নিজ জমিদারি এলাকায় তিনি স্থানীয় জনগণের জন্য রাস্তা নির্মাণের উদ্দেশ্যে জমি দান করেছেন। কড্ডা-কালিয়াকৈর, কালিয়াকৈর-ধামরাই এবং শ্রীপুর-ফুলবাড়িয়া সড়ক তার উদ্যোগে নির্মিত হয়েচিল। তিনি দাতব্য চিকিৎসালয়, হাসপাতাল ও কৃষি জমিতে সেচের ব্যবস্থা করেছেন এবং এ জন্য প্রজাদের উপর কোনো অতিরিক্ত কর ধার্য করা হয়নি। এছাড়া তিনি নতুন দীঘি, পুকুর ও কুয়া খনন করার পাশাপাশি পুরানো দীঘি দীঘি, পুকুর ও কুয়া সংস্কার করেছেন।[১]
বঙ্গভঙ্গ রদ হওয়ার পর ১৯১২ সালের জানুয়ারিতে লর্ড হার্ডিঞ্জ ঢাকা সফরে আসেন। এসময় নবাব সলিমুল্লাহর নেতৃত্বে যে মুসলিম প্রতিনিধি দল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি করার জন্য তার সাথে সাক্ষাত করে তাতে কাজেমউদ্দিন আহমেদ সিদ্দিকীও সদস্য ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোর্টের সদস্য নিযুক্ত হন। তিনি ঢাকা জগন্নাথ কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন।[১]
১৯০৮ সালের জুন মাসে ঢাকায় গঠিত পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রাদেশিক মুসলিম লীগে তিনি সভাপতি নির্বাচিত হন। দলের সেক্রেটারি ছিলেন নবাব স্যার সলিমুল্লাহ।[১]
কাজেমউদ্দিন মুসলিম ছাত্রদের দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের উপর জোর দিতেন। ১৯২৯ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের মুসলিম ছাত্রদের জন্য ৪,২০০ টাকা বৃত্তির ব্যবস্থা করেন এই শর্তে যে যেসব ছাত্র নিয়মিত নামাজ পড়ে তারাই এই অর্থ সহায়তা পাবে। তিনি ইসলামের বিভিন্ন দিক নিয়ে বক্তৃতার ব্যবস্থা করতেন।[১]
অনুবাদ
[সম্পাদনা]তিনি ফারসি ভাষায় রচিত সিরাজুস সালেকিন নামক ধর্মীয় গ্রন্থ শান্তি-সোপান নামে বঙ্গানুবাদ করেছিলেন।[১]
সম্মাননা
[সম্পাদনা]জনহিতকর কর্মকাণ্ডের জন্য ব্রিটিশ সরকার তাকে খান বাহাদুর খেতাবে ভূষিত করে।[১]
মৃত্যু
[সম্পাদনা]কাজেমউদ্দিন আহমেদ সিদ্দিকী ১৯৩৭ সালে মৃত্যুবরণ করেন।