এরিক পেট্রি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
এরিক পেট্রি
১৯৫৮ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে এরিক পেট্রি
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামএরিক চার্লটন পেট্রি
জন্ম(১৯২৭-০৫-২২)২২ মে ১৯২৭
নারুয়াহিয়া, ওয়াইকাতো, নিউজিল্যান্ড
মৃত্যু১৪ আগস্ট ২০০৪(2004-08-14) (বয়স ৭৭)
অমোকোরোয়া, বে অব প্লেন্টি, নিউজিল্যান্ড
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনলেগ ব্রেক
ভূমিকাউইকেট-রক্ষক
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৭৫)
২৬ অক্টোবর ১৯৫৫ বনাম পাকিস্তান
শেষ টেস্ট১১ মার্চ ১৯৬৬ বনাম ইংল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১৪ ১১৫
রানের সংখ্যা ২৫৮ ২৭৮৮
ব্যাটিং গড় ১২.৯০ ১৭.৯৮
১০০/৫০ -/১ ২/৬
সর্বোচ্চ রান ৫৫ ১৫১
বল করেছে - ২১
উইকেট - -
বোলিং গড় - -
ইনিংসে ৫ উইকেট - -
ম্যাচে ১০ উইকেট - -
সেরা বোলিং - -
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২৫/- ১৯৮/৩৭
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৭ মার্চ ২০২০

এরিক চার্লটন পেট্রি (ইংরেজি: Eric Petrie; জন্ম: ২২ মে, ১৯২৭ - মৃত্যু: ১৪ আগস্ট, ২০০৪) ওয়াইকাতোর নারুয়াহিয়া এলাকায় জন্মগ্রহণকারী নিউজিল্যান্ডীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৫৫ থেকে ১৯৬৬ সময়কালে নিউজিল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর নিউজিল্যান্ডীয় ক্রিকেটে অকল্যান্ড ও নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস এবং ইংরেজ ক্রিকেটে জেন্টলম্যান দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি লেগ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন এরিক পেট্রি

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯৫০-৫১ মৌসুম থেকে ১৯৬৬-৬৭ মৌসুম পর্যন্ত এরিক পেট্রি’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৯৪৫-৪৬ মৌসুমে হক কাপ প্রতিযোগিতায় ওয়াইকাতোর পক্ষে প্রথম খেলতে শুরু করেন। এরপর ১৯৫০-৫১ মৌসুমে অকল্যান্ডের সদস্যরূপে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১৯৫২-৫৩ মৌসুমে অকল্যান্ড দলে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেন ও দলের নিয়মিত সদস্যের মর্যাদা প্রাপ্ত হন। ১৯৫৪-৫৫ মৌসুমে দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৫৬-৫৭ মৌসুমে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টস ক্রিকেট দল প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে খেলার মর্যাদা লাভ করলে তিনি দলের নেতৃত্বে ছিলেন। ১৯৬০-৬১ মৌসুম পর্যন্ত এ দায়িত্বে ছিলেন তিনি। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে দুইটিমাত্র শতরানের ইনিংস খেলেছেন। উভয়টিই করেছেন ওয়েলিংটন দলের বিপক্ষে। ১৯৫৩-৫৪ মৌসুমে অকল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং উদ্বোধনে নেমে ১৫১[১] ও ১৯৫৯-৬০ মৌসুমে নর্দার্ন ডিস্ট্রিক্টসের সদস্যরূপে পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৩৬ রান করেছিলেন।[২]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে চৌদ্দটি টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন এরিক পেট্রি। ২৬ অক্টোবর, ১৯৫৫ তারিখে লাহোরে স্বাগতিক পাকিস্তান দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ১১ মার্চ, ১৯৬৬ তারিখে অকল্যান্ডে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

১৯৫৫-৫৬ মৌসুমে পাকিস্তান গমনার্থে নিউজিল্যান্ড দলের সদস্যরূপে এরিক পেট্রিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এরপর ঐ একই মৌসুমে ভারত গমন করেন। এ সফরের আট টেস্টের চারটিতে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। ১৯৫৮ সালে দলের সাথে ইংল্যান্ড গমন করার সুযোগ হয় তার। সেখানে পাঁচ টেস্টে নিয়ে গড়া সিরিজের সবকটি টেস্টেই অংশগ্রহণ করার সুযোগ পান। মৌসুমে শেষে জেন্টলম্যানের সদস্যরূপে প্লেয়ার্সের বিপক্ষে খেলেন। উইজডেনে মন্তব্য করা হয় যে, তিনি পরিচ্ছন্ন ও বিশ্বস্ত উইকেট-রক্ষক হিসেবে খেলতেন। স্বীয় ব্যক্তিত্ব গুণে অসম্ভব জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলেন।[৩] ১৯৫৮ সালের ইংল্যান্ড সফরে তরুণ ও অভিজ্ঞতাবিহীন দলের সদস্য ছিলেন। তবে, তার অসম্ভব দৃঢ়তা ও উইকেট-রক্ষণের অভিজ্ঞতা দলকে উজ্জ্বীবনী শক্তি যোগায়।

১৯৫৮-৫৯ মৌসুমে ইংল্যান্ড দল নিউজিল্যান্ড সফরে আসে। এ সফরেই অংশগ্রহণকৃত দুই টেস্ট খেলেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে কিছুদিন বিরত থাকার পর ১৯৬৫-৬৬ মৌসুমে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের মুখোমুখি হন তিনি। ক্রাইস্টচার্চে সিরিজের প্রথম টেস্টে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন।[৪]

অবসর[সম্পাদনা]

১৯৬৬-৬৭ মৌসুম শেষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ১৪ আগস্ট, ২০০৪ তারিখে ৭৭ বছর বয়সে বে অব প্লেন্টি’র অমোকোরোয়া এলাকায় এরিক পেট্রি’র দেহাবসান ঘটে। অকল্যান্ড দলের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ও দীর্ঘদিনের বন্ধু রজার হ্যারিস তার সম্পর্কে মন্তব্য করেন যে, এরিক পেট্রি তার সময়কালে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের সেরা ভদ্রলোক ছিলেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Auckland v Wellington 1953-54"CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০১৭ 
  2. "Northern Districts v Wellington 1959-60"CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০১৭ 
  3. Wisden 1959, p. 226.
  4. "New Zealand v England at Christchurch, 1965-66"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০১৭ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]