এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরী
এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরী | |
---|---|
![]() ২০১৭ সালে বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী | |
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৩য় মেয়র | |
কাজের মেয়াদ ১১ মার্চ ১৯৯৪ – ১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ | |
পূর্বসূরী | মীর মোহাম্মদ নাসিরুদ্দিন |
উত্তরসূরী | মোহাম্মদ মনজুর আলম |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১ ডিসেম্বর ১৯৪৪ রাউজান উপজেলা, চট্টগ্রাম, ব্রিটিশ ভারত |
মৃত্যু | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭ চট্টগ্রাম ম্যাক্স হাসপাতাল, চট্টগ্রাম | (বয়স ৭৩)
জাতীয়তা | ![]() |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ |
দাম্পত্য সঙ্গী | শাহেদা মহিউদ্দিন (বি. ১৯৮২; মৃ. ১৯৮৬) হাসিনা মহিউদ্দিন (বি. ১৯৮৭) |
সন্তান | মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল সহ ২ পুত্র |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | |
পেশা | রাজনীতিবিদ, সমাজসেবক |
এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরী (১ ডিসেম্বর ১৯৪৪ - ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭) ছিলেন বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার একজন রাজনীতিবিদ। তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ছিলেন।
প্রাথমিক জীবন
[সম্পাদনা]মহিউদ্দীন চৌধুরী ১৯৪৪ সালের ১ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার গহিরা গ্রামে বক্স আলী চৌধুরী বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।[১] তার বাবা রেল কর্মকর্তা হোসেন আহমদ চৌধুরী এবং মা বেদুরা বেগম।
শিক্ষা জীবন
[সম্পাদনা]মহিউদ্দিন চৌধুরী ১৯৬২ সালে এসএসসি, ১৯৬৫ সালে চট্টগ্রাম সিটি কলেজ হতে এইচএসসি এবং ১৯৬৭ সালে ডিগ্রি পাস করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ এবং পরে আইন কলেজে ভর্তি হলেও ছাত্র আন্দোলনে জড়িয়ে পড়ায় লেখাপড়া শেষ করতে পারেননি।
রাজনৈতিক জীবন
[সম্পাদনা]এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরী ছাত্র অবস্থাতেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি ১৯৬৮ ও ১৯৬৯ সালে চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।
একাত্তরে গঠন করেন ‘জয় বাংলা’ বাহিনী। সেই সময় গ্রেফতার হন পাকিস্তানি সেনাদের হাতে। পরে পাগলের অভিনয় করে কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে পালিয়ে যান ভারতে। সেখানে উত্তর প্রদেশের তান্ডুয়া সামরিক ক্যাম্পে প্রশিক্ষণরত মুক্তিযোদ্ধাদের একটি স্কোয়াডের কমান্ডার নিযুক্ত হন মহিউদ্দিন।
এরপর শ্রমিক রাজনীতিতে যুক্ত হন তিনি। যুবলীগের নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হলে প্রতিশোধ নিতে মৌলভী সৈয়দের নেতৃত্বে ‘মুজিব বাহিনী’ গঠন করেন মহিউদ্দিন। ওই সময় ‘চট্টগ্রাম ষড়যন্ত্র মামলা’র আসামি করা হলে তিনি পালিয়ে কলকাতায় চলে যান। ১৯৭৮ সালে দেশে ফেরেন বলে আত্মজীবনীমূলক বইয়ে উল্লেখ রয়েছে।
তিনি ১৯৯৪ সালে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন। ২০০৫ সালের মেয়র নির্বাচনে তিনি ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন মন্ত্রীকে পরাজিত করে তৃতীয়বারের মতো চট্টগ্রামের মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন।[২] ২০০৯ এর নির্বাচনে প্রায় ১ লক্ষ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।
পারিবারিক জীবন
[সম্পাদনা]এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরী ১৯৮২ সালে শাহেদা আক্তার ওরফে শাহেদা মহিউদ্দিনকে বিয়ে করেন। ১৯ অক্টোবর ১৯৮৬ সালে বোমা দুর্ঘটনায় নিজ বাড়িতে শাহেদা মৃত্যবরণ করেন। মহিউদ্দীন- শাহেদা দম্পতীর একমাত্র ছেলে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।[৩]
১৯৮৭ সালে মহিউদ্দিন চৌধুরী হাসিনা মহিউদ্দিনকে বিয়ে করেন। মহিউদ্দীন- হাসিনা দম্পতীর একমাত্র ছেলে বোরহানুল হাসান চৌধুরী।[৩]
মৃত্যু
[সম্পাদনা]এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরী ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭ সালে রাত ৩:৩০ মিনিটে চট্টগ্রামের ম্যাক্স হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]![](http://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/thumb/4/4a/Commons-logo.svg/30px-Commons-logo.svg.png)