ঊর্ধ্বতন বাছাই বোর্ড

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ঊর্ধ্বতন বাছাই বোর্ড
বোর্ডের রূপরেখা
গঠিত১৯৭২; ৫২ বছর আগে (1972)
ধরনপ্রশাসনিক বোর্ড
যার এখতিয়ারভুক্তগণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
সদর দপ্তরঢাকা, বাংলাদেশ
বোর্ডের নির্বাহী
মূল বিভাগজনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়

ঊর্ধ্বতন বাছাই বোর্ড (ইংরেজি: Superior Selection Board; সংক্ষেপে: এস.এস.বি) বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত একটি প্রশাসনিক বোর্ড। ১৯৭২ সালে বোর্ডটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সরকারি কর্মকর্তাদের পদোন্নতি সংক্রান্ত সুপারিশ করা এ বোর্ডের প্রধান কাজ।[১]

কার্যাবলী[সম্পাদনা]

ঊর্ধ্বতন বাছাই বোর্ড সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কর্মকর্তাদের চাকরির ইতিহাস বিবেচনা করে তাদের পদোন্নতি এবং বেতন স্কেলের সুপারিশ করে থাকে। যেমন: বিভিন্ন সার্ভিস ক্যাডার ও নন-ক্যাডার কর্মকর্তা[২][৩] এবং বিভিন্ন সরকারি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কর্মকর্তাদের বেতনের গ্রেড নির্ধারণ করা এই বোর্ডের কাজ। এর পাশাপাশি ২০০২ সালের পদোন্নতি নীতিমালা অনুসারে উপ-সচিব বা তার চেয়ে উপরের পদে পদায়নের ক্ষমতাও এই বোর্ডের উপর ন্যস্ত।[৪] এছাড়া, বোর্ডটি নিয়োগ সংক্রান্ত কিছু দায়িত্বও পালন করে থাকে।[৫] যেমন: স্বশাসিত কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা প্রধান ও ব্যবস্থাপনা বোর্ডের পরিচালক এবং বিভিন্ন সরকারি বিভাগ ও অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রধানকে এই বোর্ডই নিয়োগ দিয়ে থাকে।[৬] আর, এসকল কর্মকর্তাদেরকে টাইমস্কেল দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা এ বোর্ডের অন্যতম দায়িত্ব।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৭২ সালে তৎকালীন সরকার কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়ার ব্যাপারে যাচাই-বাছাই করে সুপারিশ দেওয়ার জন্য তৎকালীন সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে (বর্তমান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়) ঊর্ধ্বতন বাছাই বোর্ড গঠন করে। এ বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয় মন্ত্রী পরিষদ সচিবকে। আর, আইন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সংস্থাপন মন্ত্রণালয়অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিবদেরকে বোর্ডের সদস্য করা হয়। এর পাশাপাশি যে মন্ত্রণালয় বা বিভাগে পদোন্নতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সেই মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিবকেও সংশ্লিষ্ট সভাগুলোতে আমন্ত্রণ জানানোর বিধান রাখা হয়। এ কমিটির সুপারিশ বিবেচনা করার জন্য পরবর্তীতে অভিজ্ঞ মন্ত্রীদের নিয়ে পদোন্নতি ও নিয়োগ সংক্রান্ত কাউন্সিল কমিটি গঠন করা হয়।[১]

পুনর্গঠন[সম্পাদনা]

বোর্ডটি গঠনের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে এর গঠন কাঠামোতে ব্যাপক পরির্বতন আনা হয়। এর মধ্যে ১৯৯১ সালে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন আসে। সে বছর মহা হিসাবনিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, মুখ্য অর্থসচিব এবং পেশাজীবী হিসেবে অভিজ্ঞ ২ জন অতিরিক্ত সচিবকে বোর্ডের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। একই বছরের নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বোর্ডটির সদস্য পদ লাভ করেন। আর, সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে বোর্ডে সদস্য-সচিবের দায়িত্ব প্রদান করা হয়।[১]

তারপর, ৯০-এর দশকের শেষের দিকে উচ্চ আদালত পদোন্নতি ও নিয়োগ সংক্রান্ত কাউন্সিল কমিটি বিলুপ্ত করতে নির্দেশ দেয়। ফলে এ কমিটির সুপারিশ পুনর্মূল্যায়নের ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর হাতে ন্যস্ত হয়।

আরো দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "ঊর্ধ্বতন বাছাই বোর্ড - বাংলাপিডিয়া"bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২৬ 
  2. "Government Rules and Regulations"www.rhd.gov.bd। ২০২০-০৫-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২৬ 
  3. "193 promoted as jt secy"New Age | The Most Popular Outspoken English Daily in Bangladesh (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২৬ 
  4. Basu, Rumki; Rahman, M. Shamsur (২০১৬-১১-০৩)। Governance in South Asia (ইংরেজি ভাষায়)। Taylor & Francis। আইএসবিএন 978-1-315-39425-1 
  5. বাংলাদেশ গ্যাজেট (পিডিএফ)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  6. "প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, খুলনা বিভাগ"archaeology.khulnadiv.gov.bd (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০২-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২৬