ঊর্ধ্বতন বাছাই বোর্ড
বোর্ডের রূপরেখা | |
---|---|
গঠিত | ১৯৭২ |
ধরন | প্রশাসনিক বোর্ড |
যার এখতিয়ারভুক্ত | গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার |
সদর দপ্তর | ঢাকা, বাংলাদেশ |
বোর্ডের নির্বাহী |
|
মূল বিভাগ | জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় |
ঊর্ধ্বতন বাছাই বোর্ড (ইংরেজি: Superior Selection Board; সংক্ষেপে: এস.এস.বি) বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধিভুক্ত একটি প্রশাসনিক বোর্ড। ১৯৭২ সালে বোর্ডটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সরকারি কর্মকর্তাদের পদোন্নতি সংক্রান্ত সুপারিশ করা এ বোর্ডের প্রধান কাজ।[১]
কার্যাবলী
[সম্পাদনা]ঊর্ধ্বতন বাছাই বোর্ড সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কর্মকর্তাদের চাকরির ইতিহাস বিবেচনা করে তাদের পদোন্নতি এবং বেতন স্কেলের সুপারিশ করে থাকে। যেমন: বিভিন্ন সার্ভিস ক্যাডার ও নন-ক্যাডার কর্মকর্তা[২][৩] এবং বিভিন্ন সরকারি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কর্মকর্তাদের বেতনের গ্রেড নির্ধারণ করা এই বোর্ডের কাজ। এর পাশাপাশি ২০০২ সালের পদোন্নতি নীতিমালা অনুসারে উপ-সচিব বা তার চেয়ে উপরের পদে পদায়নের ক্ষমতাও এই বোর্ডের উপর ন্যস্ত।[৪] এছাড়া, বোর্ডটি নিয়োগ সংক্রান্ত কিছু দায়িত্বও পালন করে থাকে।[৫] যেমন: স্বশাসিত কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা প্রধান ও ব্যবস্থাপনা বোর্ডের পরিচালক এবং বিভিন্ন সরকারি বিভাগ ও অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রধানকে এই বোর্ডই নিয়োগ দিয়ে থাকে।[৬] আর, এসকল কর্মকর্তাদেরকে টাইমস্কেল দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা এ বোর্ডের অন্যতম দায়িত্ব।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৯৭২ সালে তৎকালীন সরকার কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়ার ব্যাপারে যাচাই-বাছাই করে সুপারিশ দেওয়ার জন্য তৎকালীন সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে (বর্তমান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়) ঊর্ধ্বতন বাছাই বোর্ড গঠন করে। এ বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয় মন্ত্রী পরিষদ সচিবকে। আর, আইন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সংস্থাপন মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিবদেরকে বোর্ডের সদস্য করা হয়। এর পাশাপাশি যে মন্ত্রণালয় বা বিভাগে পদোন্নতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সেই মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিবকেও সংশ্লিষ্ট সভাগুলোতে আমন্ত্রণ জানানোর বিধান রাখা হয়। এ কমিটির সুপারিশ বিবেচনা করার জন্য পরবর্তীতে অভিজ্ঞ মন্ত্রীদের নিয়ে পদোন্নতি ও নিয়োগ সংক্রান্ত কাউন্সিল কমিটি গঠন করা হয়।[১]
পুনর্গঠন
[সম্পাদনা]বোর্ডটি গঠনের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে এর গঠন কাঠামোতে ব্যাপক পরির্বতন আনা হয়। এর মধ্যে ১৯৯১ সালে সবচেয়ে বড় পরিবর্তন আসে। সে বছর মহা হিসাবনিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, মুখ্য অর্থসচিব এবং পেশাজীবী হিসেবে অভিজ্ঞ ২ জন অতিরিক্ত সচিবকে বোর্ডের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। একই বছরের নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বোর্ডটির সদস্য পদ লাভ করেন। আর, সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে বোর্ডে সদস্য-সচিবের দায়িত্ব প্রদান করা হয়।[১]
তারপর, ৯০-এর দশকের শেষের দিকে উচ্চ আদালত পদোন্নতি ও নিয়োগ সংক্রান্ত কাউন্সিল কমিটি বিলুপ্ত করতে নির্দেশ দেয়। ফলে এ কমিটির সুপারিশ পুনর্মূল্যায়নের ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর হাতে ন্যস্ত হয়।
আরো দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ "ঊর্ধ্বতন বাছাই বোর্ড - বাংলাপিডিয়া"। bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২৬।
- ↑ "Government Rules and Regulations"। www.rhd.gov.bd। ২০২০-০৫-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২৬।
- ↑ "193 promoted as jt secy"। New Age | The Most Popular Outspoken English Daily in Bangladesh (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২৬।
- ↑ Basu, Rumki; Rahman, M. Shamsur (২০১৬-১১-০৩)। Governance in South Asia (ইংরেজি ভাষায়)। Taylor & Francis। আইএসবিএন 978-1-315-39425-1।
- ↑ বাংলাদেশ গ্যাজেট (পিডিএফ)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, খুলনা বিভাগ"। archaeology.khulnadiv.gov.bd (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২০-০২-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-২৬।