উত্তর ম্যানচেস্টার জামিয়া মসজিদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
উত্তর ম্যানচেস্টার জামিয়া মসজিদ
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিইসলাম
শাখা/ঐতিহ্যসুন্নি
অবস্থান
অবস্থান৩ উডেন্স রোড়, চিতাম হিল, ম্যানচেস্টার, যুক্তরাজ্য
স্থাপত্য
ধরনমসজিদ
ওয়েবসাইট
দাপ্তরিক ওয়েবসাইট

উত্তর ম্যানচেস্টার জামিয়া মসজিদ (আরবি: مسجد جمعيه شمال مانشستر)[১] হলো ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার শহরের চিথাম হিল এলাকায় অবস্থিত একটি মসজিদ। এটি "ইবাদুর-রহমান ট্রাস্ট" কর্তৃক কামারুজ্জামান আজমির নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ইউরোপের বৃহত্তম মুসলিম কেন্দ্রগুলোর মধ্যে একটি।[২][৩] মসজিদটি সকলের জন্য উন্মুক্ত। এর প্রধান প্রার্থনা হলগুলোতে শুক্রবারে প্রায় ২৫০০ থেকে ৩০০০ লোক একত্রিত হতে পারে। এছাড়াও ধর্মীয় এবং ঈদ উৎসবে অনুষ্ঠিত একাধিক পরিষেবার সময় ১৫০০০ এরও বেশি উপাসক মসজিদের দরজা দিয়ে হেঁটে যায়।[১]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

উত্তর ম্যানচেস্টার জামিয়া মসজিদটি ইসলামি চিন্তাবিদ, বক্তা এবং লেখক "কামারুজ্জামান আজমি" দ্বারা ১৯৭৫ সালে প্রথম শুরু হয়।[৪]

আজমি ১৯৭৫ সালে প্রতি সপ্তাহে "ব্র্যাডফোর্ড" থেকে ভ্রমণ করে ম্যানচেস্টার এর উইলমসলো রোডের কাছে শাহ জালাল মসজিদে "দরস-ই-কুরআন" দেওয়া শুরু করেন। সে সময় ম্যানচেস্টারে কয়েকটি সুন্নি মসজিদ ছিল। খুব অল্প সময়ের মধ্যে "ভিক্টোরিয়া পার্ক মসজিদ" একজন সুন্নি ইমাম নিযুক্ত করে।

উত্তর ম্যানচেস্টার জামিয়া মসজিদটি আজমির নেতৃত্বে ১৯৭৯ সালে ২৫ বেলট স্ট্রিট, চিথাম হিল, ম্যানচেস্টারে একটি বাড়ি থেকে মসজিদে রূপান্তরিত করার কাজ শুরু হয়। এই ভবনে সুযোগ-সুবিধা খুবই সীমিত ছিল এবং মুসলমানদের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য বৃহত্তর পরিসরে ইসলামি কার্যক্রমের জন্য অসুবিধা হতো। তাই ১৯৮২ সালে একটি জমি ক্রয় করা হয় এবং ১৯৮৪ সালে মসজিদের প্রধান নামাজের হলের সমন্বয়ে ১২০০ পুরুষ ও মহিলাদের নামাজের সুবিধা প্রদানের উদ্দেশ্যে প্রথম ধাপের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। এরপর, ১৯৯০ এর-দশকে ইসলামি শিক্ষার জন্য একটি শিক্ষায়তন এবং ১২০০ জন লোকের জন্য অতিরিক্ত প্রার্থনা সুবিধা নিয়ে মসজিদটির দ্বিতীয় ধাপের কার্যক্রম শেষ হয়।

বর্তমানে তৃতীয় ধাপের প্রকল্পটি একটি বড় কমপ্লেক্স, যা মসজিদটিকে ১০,০০০ জন লোকের জন্য প্রার্থনার সুবিধা, একটি কমিউনিটি হল, ইমামদের বাসভবন, একটি মর্গ, অফিস, গ্রন্থাগার এবং অতিথি কক্ষের সুবিধা প্রদান করে।

প্রভাব[সম্পাদনা]

উত্তর ম্যানচেস্টার জামিয়া মসজিদ প্রতিষ্ঠার পর থেকে ম্যানচেস্টারের উত্তরে একটি প্রাথমিক মুসলিম সংগঠন এবং ম্যানচেস্টার মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য একটি কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়, যা শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য শিক্ষা, বক্তৃতা এবং সেমিনার, মর্গ, গ্রন্থাগার সহ দৈনিক প্রার্থনার সুবিধা প্রদান করে। যা ন্যানোটেকনোলজি অ্যান্ড অ্যাডভান্সড ম্যানুফ্যাকচারিং এর চেয়ারম্যান এবং ন্যানোটেকনোলজি অ্যান্ড বায়োইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের প্রধান এবং সেন্ট্রাল ল্যাঙ্কাশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যানোমেডিসিন এবং ন্যানোইঞ্জিনিয়ারিং রিসার্চ গ্রুপের নেতা অধ্যাপক ওয়াকার আহমেদ তার "তাজ্জালিয়াত-ই-কামার" বইটিতে লিখেন।[৫]

প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এবং ধর্মমন্ত্রী ব্যারনেস সাঈদা ওয়ারসি উত্তর ম্যানচেস্টার জামিয়া মসজিদের প্রধান ইমাম আল্লামা কামারুজ্জামান আজমির সাথে সাক্ষাৎ করেন। ক্ষমতায় আসার পর এটিই ছিল যুক্তরাজ্যের কোনো মসজিদে তার প্রথম সফর।। ব্যারনেস ওয়ার্সি বলেন: "জামিয়া মসজিদ হলো মডেল মসজিদের একটি চমৎকার উদাহরণ, যা তার সম্প্রদায়ের অতি নিকটে পৌঁছায় এবং স্থানীয় মুসলিম জনগণকে গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাগুলো প্রদান করে।"[৬]

কলেজের শিক্ষার্থী[সম্পাদনা]

এখানে ২০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী বিভিন্ন স্তরে নথিভুক্ত রয়েছে। কলেজের পণ্ডিতদের মধ্যে রয়েছে যুক্তরাজ্য সরকারের প্রাক্তন প্রধান বৈচিত্র্য উপদেষ্টা, ক্যাবিনেট অফিস এবং ওয়াকার আজমি।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Google Mosque Map - UK Mosques Directory"Mosques.muslimsinbritain.org। সংগ্রহের তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  2. "UK Mosque Statistics / Masjid Statistics" (পিডিএফ)Muslimsinbritain.org। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  3. Naqshbandi, Mehmood। "UK Mosque/Masjid Directory - via Google Maps, your mobile or your navigator (POI)"Mosques-map.muslimsinbritain.org। সংগ্রহের তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  4. "乐享评级网"Allamaazmi.com। সংগ্রহের তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  5. "Tajjaliyat-e-Qamar"Lite.epaper.timesofindia.com। সংগ্রহের তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  6. Begum, Shelina (৮ আগস্ট ২০১৩)। "PM meets with Manchester's Muslim community"Manchestereveningnews.co.uk। সংগ্রহের তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]